‘মার জন্য খারাপ লাগে’ :মাহমুদুর রহমান
লিখেছেন লিখেছেন শিলা ১৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৫:২৯:১৭ বিকাল
মাহমুদুর রহমান। আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। কারো কাছে অসম্ভব প্রিয়, আর কারো কাছে অসম্ভব অপ্রিয়। তাকে নিয়ে নানান মহলে নানান আলোচনা-সমালোচনা। বছর চারেক হলো, তিনি সংবাদপত্র-জগতে এসেছেন। এখন তিনি পেশাদার সম্পাদক।
মাহমুদুর রহমানের জন্ম পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায়, ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই। বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ এবং জাপানে সিরামিকস-এ করেছেন উচ্চতর ডিপ্লোমা।
ডিসেম্বরের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১’র বিচারকের স্কাইপি সংলাপ তার পত্রিকায় ছাপা হয়। পরে তার নামে করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে তিনি কারওয়ান বাজারে তার পত্রিকার অফিসে অবস্থান করছেন। রোববার তার এ ‘অবরুদ্ধ-জীবনের’ এক মাস হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে নতুন বার্তা ডটকমের মুখোমুখি হন মাহমুদুর রহমান। সংশ্লিষ্ট নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি তার মত প্রকাশ করেন অত্যন্ত খোলামেলাভাবে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন হাসান সাঈদ।
নতুন বার্তা ডটকম: আপনার অবরুদ্ধ দিন-রাত কেমন কাটছে?
মাহমুদুর রহমান: ৩০ দিন ধরে এ অবস্থা। এক্ষেত্রে পজিটিভ দিকও আছে। সবসময় পত্রিকায় সময় দিতে পারছি। একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ থাকছে। প্রায় দিনই রাত দুটো বেজে যায়। পড়ন্ত বেলায় সংবাদপত্র-জগতে এসেছি। শেখার যতটুকু ফাঁক তো ছিলই। সেটা এখন পূরণ করতে পারছি। আর একটা বিষয় হলো, এখন নিরিবিলি লিখতে পারছি। সামনের বইমেলায় আমার লেখা দুটো বই আসছে। আর একটা আসছে আমার সম্পাদনার বই। সেটা সুশাসন ও দুর্নীতি বিষয়ে।
আর, অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকার একটা কষ্ট তো আছেই। সবসময় নিজেকে আবদ্ধ মনে হয়। যতটা না শারীরিকভাবে, তার চেয়ে মানসিকভাবেই যেন বেশি অবরুদ্ধ। নিজেকে আর স্বাধীন নাগরিক মনে হয় না। পরিবার থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন। পরিবারে আমার মা ও স্ত্রী আছেন। মায়ের বয়স ৭৫। এ বয়সে তার একমাত্র সন্তানকে ছেড়ে তিনি আছেন। এটা ভেবে খুবই খারাপ লাগে।
নতুন বার্তা ডটকম: অনেকে বলছেন, আপনি বাইরে বের হলে গ্রেফতার বা গুম হয়ে যেতে পারেন।
মাহমুদুর রহমান: হ্যাঁ, সঠিক ও বাস্তবসম্মত আলোচনা হচ্ছে। বাইরে থেকে গ্রেফতার, আর অফিস থেকে গ্রেফতার- এক্ষেত্রে আদর্শগত একটা পার্থক্য আছে। লড়াই করছি পত্রিকার সম্মান বাঁচানোর জন্য। দেখুন, একটা সংবাদপত্রের রিপোর্টারের কাজ হলো রিপোর্ট জমা দেয়া। আর সম্পাদকের কাজ, রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেয়া। আপনারা জানেন, সম্প্রতি ‘আমার দেশ’ পত্রিকায় একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, রিপোর্টটি প্রকাশ করা দরকার। তাই সেটি প্রকাশ করেছি। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু সরকার আমার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় দিয়েছে। এর আগে, ২০১০’র মাঝামাঝি সময়ে আমাকে গ্রেফতার করা হয় একজন নাগরিকের জিডির ভিত্তিতে। কিন্তু এবারের সিচ্যুয়েশন ভিন্ন। এবার আমার নামে মামলা করেছেন একজন আইনজীবী। যে ধরনের মামলা করা হয়েছে, তাতে আসামি জামিন-অযোগ্য। প্রয়োজন মনে করলে সরকার যেকোনো সময় আমাকে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু সেটা করছে না। এখানেই রহস্য। যদি বাইরে বের হই, তাহলে হয়তো সরকারের কোনো লোক আমাকে গুম করতে পারে। গুম করে হয়তো বলতে পারে, ‘না, আমরা তো গ্রেফতার করিনি।’ সে হিসেবে অফিসই আমার জন্য নিরাপদ।
নতুন বার্তা ডটকম: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন আপনার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানবাধিকার সংগঠনই নীরব। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
মাহমুদুর রহমান: এক্ষেত্রে আমার জবাব দেয়া কঠিন। জবাব ওই মানবাধিকার সংগঠনগুলোই ভালো দিতে পারবে। তবে আমার বক্তব্য হলো, এই সংগঠনগুলোতেও রাজনীতিকরণ হয়েছে। দেখা যায়, কোনো এক সরকারের সময়ে কোনো কোনো মানবাধিকার সংগঠন খুব তৎপর, আবার অন্য কোনো সরকারের সময় তাদের সেই তৎপরতা দেখা যায় না।
দিল্লির ঘটনাই ধরুন। সেখানে এক তরুণী যৌন নির্যাতনের শিকার হলো। এ ঘটনার পরে বাংলাদেশেও এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমাদের দেশের নারীবাদী সংগঠন ‘জাতীয় মহিলা পরিষদ’ এক্ষেত্রে নীরব। তাদের কোনো অবস্থান এখানে নেই। নব্বইয়ের দশকে ইয়াসমিন লাঞ্ছনার ঘটনার কথাই ধরুন। সেসময় এ ব্যাপারে তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আন্দোলনে নামে। জাতীয় মহিলা পরিষদও ছিল ব্যাপক সক্রিয়। সেই মহিলা পরিষদ কিন্তু এবার নীরব। আবার, আরেকটি ঘটনার কথা বলি। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ২০ জন মহিলাকে গ্রেফতার করা হলো ৫৪ ধারায়। এ ধারায় কেউ আটক হলে সাধারণত কোর্টে তাদের জামিন দেয়া হয়। আবার মহিলা ও শিশুর বেলায় জামিনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো বাধাই নেই। কিন্তু তাদের জামিন দেয়া হলো না, বরং রিমান্ডে নেয়া হলো। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। কিন্তু কোনো নারীবাদী সংগঠন এ ব্যাপারে কথা বলেনি। তার মানে, এ সংগঠনগুলোতেও রাজনীতিকরণ হয়েছে। আমার ধারণা, মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে আমার ব্যাপারেও এ রকমটি হতে পারে।
নতুন বার্তা ডটকম: আপনি একটি মূলধারার পত্রিকার সম্পাদক। আপনার অবরুদ্ধ অবস্থায় অন্য পত্রিকার সম্পাদকরা একটা বিবৃতি দিতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করেননি। এর কারণ কী হতে পারে বলে আপনার ধারণা?
মাহমুদুর রহমান: ‘আমার ধারণা’ বলার আগে একটা ঘটনা বলি। কয়েকদিন আগে চ্যানেল আইয়ে একটা টক শো হচ্ছিল। সঞ্চালক মানবজমিনের মতিউর রহমান চৌধুরী। অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। আপনি যে প্রশ্নটা করলেন, সেটিই নালিশ আকারে মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে তুলে ধরেন জনাব আসিফ নজরুল। সঞ্চালক নিজেই তো সম্পাদক। তিনি একবাক্যে উত্তরটা দিয়ে দিলেন-‘হীনম্মন্যতা’। অর্থাৎ মতিউর রহমান চৌধুরীর সাহেব বলতে চেয়েছেন, হীনম্মন্যতার কারণেই সম্পাদকরা এ কাজটি করছেন না।
যাহোক, এটা তো হলো তার উত্তর। আমার উত্তর হলো- এক্ষেত্রে তিনটা কারণ থাকতে পারে। এক. তারা (সম্পাদকরা) হয়তো সরকারকে ভয় পাচ্ছেন। আমি সাহস করেছি, কিন্তু তারা করতে পারছেন না। দুই. আমি অন্য পেশা থেকে এ পেশায় এসেছি মাত্র চার বছর হলো। এ কারণে হয়তো তারা আমাকে তাদের লোক মনে করতে পারছেন না। ওনাদের একজন হিসেবে আমাকে ভাবতে হয়তো তাদের সমস্যা হচ্ছে। যদিও এটাই সত্য যে, অনেকে আগেভাগেই ভেবে বসেছিল, আমি হয়তো ‘অলঙ্কারিক এডিটর’ হয়ে থাকব, কিন্তু তাদের সে ধারণা সত্য হয়নি। তিন নম্বর কারণটা হলো- একটা প্রফেশনাল জেলাসি তাদের থাকতে পারে। এটা সত্য, ‘আমার দেশ’ অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র। সরকার বিজ্ঞাপন শূন্য করে রেখেছে। কিন্তু পাঠকপ্রিয়তায় (সার্কুলেশনে) আমরা দ্বিতীয়। ইন্টারনেট র্যাঙ্কিংয়েও (অ্যালেক্সা র্যাঙ্কিং) দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে আমরা তৃতীয়। বাংলাদেশে আমার দেশই একমাত্র পত্রিকা, যেটির দাম ১০ টাকা। অনেকে ভেবেছিল, হয়তো সার্কুলেশন কমবে। কমেনি, বরং বেড়েছে। এ কারণে আমার মনে হয়, প্রফেশনাল একটা জেলাসি তাদের (সম্পাদক) থাকতে পারে।
নতুন বার্তা ডটকম: সাংবাদিক ইউনিয়ন দ্বিধা-বিভক্ত। এক অংশ আপনার পক্ষে, আরেক অংশ নীরব। এ বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন?
মাহমুদুর রহমান: অনেকের ব্যাপারটা এরকম- ‘আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারীর খারাপ দিকটাও আমার কাছে ভালো। আর যদি ভিন্ন মতাদর্শের হয়, তাহলে তার ভালো দিকটাও আমার কাছে খারাপ।’ আসলে এ সমাজ অসুস্থ। মূল্যবোধ হারিয়ে গেছে। তবে, তারা (সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যপক্ষ) যে নীরব, এখানে একটা বিষয় আছে। তারা কিন্তু আমার বিরুদ্ধে মাঠে নামেনি। অর্থাৎ তাদের বিবেক তাদের বাধা দিচ্ছে। আবার ওই পক্ষ যে একেবারেই নীরব তা কিন্তু নয়। সম্প্রতি বাংলাভিশনে একটা টক শো দেখলাম। সেখানে ইকবাল সোবহান চৌধুরী (বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের অপর একাংশের সভাপতি) বলেছেন, ‘একজন সম্পাদককেও হাইকোর্ট জামিন দিলেন না!’ তিনি এটির সমালোচনা করেছেন। আবার আমার বিরুদ্ধে করা মামলার ব্যাপারে প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় সাংবাদিক এবিএম মূসা। আসলে এ কথাই সত্য যে, পরিবর্তন আসছে। আমি আশাবাদী, একদিন তারাও (সাংবাদিক ইউনিয়নের অপর অংশ) আসবে।
নতুন বার্তা ডটকম: অপ্রিয় হলেও সত্য, বলা হয়, আপনি যতটা না সম্পাদক, তার চেয়ে বেশি বিএনপির লোক। এই সমালোচনাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
মাহমুদুর রহমান: এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক সমালোচনা। কারণ, বিএনপির সদস্যও আমি নই। বিএনপিতে আমার কোনো পদও নেই। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে টেকনোক্র্যাট কোটায় বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান হই। পরে সেখান থেকে আমাকে জ্বালানি উপদেষ্টা করা হয়। দলীয় কোনো অনুষ্ঠানে কখনো যাইনি। অনেক সাংবাদিক নেতা আছেন, যারা দলীয় অনুষ্ঠানে মঞ্চেও উঠেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার বেলায় তা ঘটেনি।
আমার ক্ষেত্রে এ ধরনের যে সমালোচনা হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিছুদিন আগে জাতীয়তাবাদী ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাব) ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতির পদ থেকে সরে এসেছি। সেগুলো একটি দলের সমর্থিত সংগঠন। কাজেই সে দুটি সংগঠনে যেহেতু আমি আর এখন নেই, কাজেই আমার বিরুদ্ধে এখন আর এ ধরনের সমালোচনার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের সমালোচনা এখন অসত্য প্রচার। কয়েকদিন আগেও একটি প্রভাবশালী দৈনিক আমার নামের আগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা’ কথাটি যোগ করতো। পরে আমাদের অফিস থেকে তাদের অভিযোগ করা হয়। তারা তা শুধরে নিয়েছে। কয়েকদিন আগে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকাটি বিএনপির রাজনীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপে। সেখানে আমাকে তুলে ধরা হয় ‘জিয়া পরিবারের পরিচিত বন্ধু এবং বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পরামর্শদাতা’ হিসেবে। দ্বিতীয়টি মিথ্যা। জিয়া পরিবারের সঙ্গে অবশ্যই আমার সুসম্পর্ক আছে। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে তো বিএনপিরই অনেকের সুসম্পর্ক আছে এবং ছিলও। আসলে, আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হচ্ছে, একদিন সেই ভুল ভাঙবে।
নতুন বার্তা ডটকম: অনেকেই বলছেন, আপনি একটা লড়াইয়ে নেমেছেন। আপনি এ লড়াইয়ে নামলেন কেন?
মাহমুদুর রহমান: এক্ষেত্রে তিনটা কারণ। এক. সংবিধান অনুযায়ী চিন্তা-বিবেক ও মত-প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। সম্পাদক হিসেবে তো সেটি আমার আছেই। তথ্য অধিকার আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো সংবাদ সত্য হলে তা প্রচার করা যাবে। সত্য বলা ও সত্য প্রকাশ করা তো সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানেরই কাজ। আমি সত্য প্রকাশ করতে চাই।
দুই. আমার বয়স ৫৯। মোটামুটি সফল পেশাজীবী জীবন কাটিয়েছি। আমার শত্রুরাও তা স্বীকার করবেন। দেশের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে আমি মাত্র ৩২ বছর বয়সে এমডি হয়েছি। বিদেশের একটি কোম্পানির ডিরেক্টর হয়েছি ৩৬ বছর বয়সে। আমার চেয়ে কম বয়সে কেউ এ পদে যেতে পেরেছেন বলে আমার জানা নেই। আবার গত সরকারের আমলে বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জ্বালানি উপদেষ্টাও যে বয়সে হয়েছি, সে বয়সে অন্য কেউ সে পর্যায়ে গেছে কি না আমার জানা নেই। সিরামিক ওয়ার্ল্ডেও জড়িত ছিলাম। সেখানেও সফল। আমি এখন সংবাদপত্রের সম্পাদক। এখানেও আমি সফল হতে চাই।
তিন. সাধারণ মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। জেল থেকে বের হওয়ার পরও সেখানকার দুর্নীতি নিয়ে বই বের করি। বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়েও লিখছি। এর আগে টিআইবির একটা রিপোর্ট বলেছে, দেশের সবচেয়ে দুর্নীতি বেশি হয় বিচার বিভাগে। আসলে এ কথাই সত্য, কোনো দেশের বিচার বিভাগ যদি স্বচ্ছ হয় তাহলে সেদেশে শান্তি আসবেই। আমি সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাই।
লড়াই করে কী হবে- এটা একটা প্রশ্ন। আমার কী হবে তা জানি না। হয়তো গুম হব, গ্রেফতার হব, জেলে থাকতে হবে। তবে আমার দেশ জয়ী হবে ইনশাল্লাহ।
নতুন বার্তা ডটকম: আপনাকে ধন্যবাদ।
মাহমুদুর রহমান: নতুন বার্তা ডটকমকেও ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
২০৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন