রূপন্তী নামের ইতিকথা -সাজেদুর আবেদিন শান্ত
লিখেছেন লিখেছেন সাজেদুর আবেদিন শান্ত ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:৩৯:০৮ সকাল
অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে রূপন্তী নামটি কার। আমার সাথে তার কি সম্পর্ক, রূপন্তী নামে আদৌও কেউ কি আছে? নাকি এটা শুধুই কাল্পনিক চরিত্র? তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই লেখা।
রূপন্তী নামটা যে কাল্পনিক চরিত্র এ কথা মোটেও সত্য নয়। সত্য কথা এই যে রূপন্তী নামে কেউ একজন আছে। সে আমার প্রিয়তমা, আমার খুব প্রিয় ভালোবাসার ব্যাক্তি। লোকে তাহাকে কাল্পনিক চরিত্র হিসাবে জানে। আমার প্রিয়তমা পূর্ণবতীর আসল নাম রূপন্তী নয়। রূপন্তী আমার দেওয়া নাম। তাহার এই নাম দেওয়ার যৌক্তিকতা বা স্বার্থকতা হলো আমার কাছে তার রূপের অন্ত নেই। তাই এই নামটি আমি তাহাকে উপহার দিয়েছি ।কেও হয়তো বলে উঠবে আমি হয়তো বেশি প্রশংসা করছি, কিন্তু আমি কোনো মিথ্যা কথা বলি নাই। তাহার রূপ দেখলে বড়ই আশ্চর্য হই; খুবই মায়াবী, দেখলেই তার প্রেমে পড়তে ইচ্ছা হয়।
যাক সে সব কথা আমি তার রূপের কথা বলবো না। আপনারা আমার দেওয়া নাম দেখেই তাহার রূপ বিচার করিবেন। আমি তাহার রূপের কথা বলার জন্য লিখতে বসি নাই। আমি লিখতে বসেছি তার নাম দেওয়ার কারনের কথা। কোথায় যেন পড়েছিলাম ঠিক মনে নেই ভালোবাসার মানুষকে নাকি সুন্দর নাম উপহার দিলে ভালোবাসা বাড়ে। কিন্তু বিশ্বাস করুন তার এ নাম দেওয়াতে আমার প্রতি তার ভালোবাসা একটুও বৃদ্ধি পায় নাই। আপনারা কি ভাবছেন, সে অকৃতজ্ঞ? তাহাকে এতো সুন্দর নাম উপহার দিলাম তবুও আমার প্রতি তার একটুও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় নাই। এখানে আমার বক্তব্য এই যে সত্যি সে অকৃতজ্ঞ নয়। তার ভালোবাসা যে কেন বৃদ্ধি পায় নাই তা সম্পূর্ণই আমার অজানা।
আমার প্রতি তার ভালোবাসা বৃদ্ধি না পেলেও সে আমাকে একটি নাম উপহার দিয়েছে। নামটা আমার খুব ভালো লেগেছে। নামটা যে আমার এতো ভালো লেগেছে সে কথা তাকে কখনই বলা হয়ে উঠে নাই। কোনো এক পড়ন্ত বিকালে প্রাচীন বাংলার রাজধানী করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত মহস্থানগড় এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে গিয়ে প্রিয়তমা পূর্ণবতী আমার এই নাম উপহার দেয়। নামটা যে কেন আমাকে উপহার দিল তা সম্পুর্নই আমার অজানা। ভালো না বাসলেও হয়তো আমাকে তাহার একটু ভালোলাগে তাই হয়তো এ নাম আমাকে উপহার দিয়েছে।
আমার প্রতি তাহার ভালোবাসা বৃদ্ধি না পেলেও তার এই নাম দেওয়া তে তাহার প্রতি আমার ভালোবাসা সাতাশ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সমালোচকেরা হয়তো বলতে পারে সাতাশ গুন বৃদ্ধি পেলো কেনো? এর বেশী বা কম নয় কেনো? সত্যি কথা বলতে কি আমি নিজেও জানি না তাহার প্রতি আমার সাতাশ গুন ভালোবাসা ভালোবাসা বৃদ্ধি পেলো কেনো? আমি শুধু এটা জানি তাহাকে দেখলে আমার হৃদ স্পন্দন বেড়ে যায়, নিজেকে তখন জীবন্ত উম্মাদ মনে হয়। আপনারা কি ভাবছেন যে কি এমন নাম দিলো যার কারনে তাহার প্রতি আমার ভালোবাসা সাতাশ গুন বেড়ে গেলো? দুঃখিত, আমি আপনাদের সেই নামটি বলতে পারবো না। কারণ মানুষ মাত্রই রহশ্যময়, আমিও এর ব্যাতিক্রম নই।
থাক না অজানা আমার নামের এই রহস্য!
বিষয়: সাহিত্য
৫১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন