মৃত্যু
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:১১:৩৪ রাত
মৃত্যু এমন এক শরবতের পেয়ালা যা সবাইকে পান করতে হবে, কবর এমন এক দরজা যা দিয়ে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে।
_____________________________________________
আমাদের জীবনের শেষ অতিথি যার নাম ‘মালাকুল মাউত’। তিনি কেবল একজন ফেরেশতা। তার নাম হজরত আজরাইল আ:। তিনি সে কাজই সম্পাদন করেন যে কাজের জন্য তিনি আদেশানুবর্তী।
মৃত্যু এমন এক শরবতের পেয়ালা যা সবাইকে পান করতে হবে, কবর এমন এক দরজা যা দিয়ে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। ছোট-বড়, ধনী-গরিব সবাইকেই মরতে হবে। কোনো শক্তি ও সম্পদের বিনিময়ে তাকে পেছানো যায় না। শক্তিহীন ও শক্তিধর সবাইকে এর সামনে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে ‘তোমাদেরকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছি, পুনরায় মাটিতেই ফিরিয়ে আনব এবং তা থেকেই তোমাদেরকে পুনরুথান করব। (সূরা- তোয়াহা, আয়াত-৫৫)
‘মৃত্যুর লক্ষ্য হলো সবাইকে আল্লাহতায়ালার কাছে ফিরিয়ে নেয়া এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।’ (সূরা- আম্বিয়া, আয়াত-৩৫)
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে ‘তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরও অবস্খান করো, তবুও।’ (সূরা-নিসা, আয়াত-৭৮)।
আল্লাহপাক কুরআন মাজিদে আরো বলেছেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে মৃত্যুকে নির্ধারিত করেছি।’ (সূরা- ওয়াকিয়াহ, আয়াত-৬০)।
‘প্রত্যেক প্রাণীকে মরতে হবে। অত:পর তোমাদেরকে আমার কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’ (সূরা-আনকাবুত, আয়াত-৫৭)
মৃত্যু এক মিনিটও বিলম্বিত করবে না। নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত সময়ে অবশ্যই মৃত্যু হাজির হয়ে যাবে এবং প্রাণবায়ু বেরিয়ে যাবে। ‘প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুর নির্ধারিত সময় যখন উপস্খিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না।’ (সূরা-মুনাফিকুন, আয়াত-১১)।
পবিত্র হাদিস শরিফে এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, হজরত ইবনে ওমর রা: বর্ণনা করেন, আমরা দশ ব্যক্তি রাসূলে পাক সা:-এর দরবারে উপস্খিত ছিলাম। এক আনসারী প্রশ্ন করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ সা:, পৃথিবীতে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি কে? এরশাদ হলো, ওই ব্যক্তি সবচেয়ে বুদ্ধিমান, যে সব সময় মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং তার জন্য সর্বদা প্রস্তুতি নিতে থাকে। আর তারাই ইহকাল ও পরকালে সম্মানের পাত্র হবে।
আবু হোরায়রা রা: বর্ণনা করেন, হজরত নবী করিম সা: এরশাদ করেছেন : লোক সকল! দুনিয়ার ভোগবিলাস যে বস্তুতে সম্পূর্ণ বিলীন করে দেবে, সেই মৃত্যুকে কখনো ভুলে থেকো না; সব সময় স্মরণে রেখো। (তিবরানি, নাসাঈ)।
মৃত্যুর কথা ভুলে থাকা আমাদের উচিত নয়। মৃত্যু মানুষের সব আমল বিচ্ছিন্ন করে দেয়। মানুষ যেখানেই থাকুক না কেন, মৃত্যুদূত তার কাছে পৌঁছবেই। মালাকুল মাউতের কব্জা থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সব সময় এই প্রর্থনা করি মৃত্যুর সময় আমাদের জবানে জারি করে দেবেন কালেমা তাইয়্যিবা
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’।
বিষয়: বিবিধ
৫৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন