আপনি হতাশ, প্রেমে ব্যর্থ, পারিবারিক কলহ, পরীক্ষায় ফেল তবে পড়ুন
লিখেছেন লিখেছেন মেহেদী হাসান হাসিব ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:৪১:১৩ দুপুর
প্রচন্ড হতাশ অবস্থায় আমরা বিভিন্ন কারণ খুঁজে বের করি মৃত্যুর জন্য। অথচ আমরা এমন একটি কারণ খুঁজে বের করি না বাঁচার জন্য।
আমি চাকুরীহীন, প্রেমে ব্যর্থ, পরিবারের লাঞ্চনা, সবকিছুতে ব্যর্থতা-- হতাশাক্রান্ত হয়ে এমন ১০০ টির বেশি কারণ আপনি খুঁজে বের করতে পারবেন আপনার বেঁচে না থাকার জন্য। পারলে খুঁজে বের করুন এমন মাত্র ১০ টি কারণ যা আপনার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন। ---আপনি আপনার বন্ধুদের খুব হাসাতে পারেন। তারা আপনাকে বলেছিল আপনাকে কমিডিয়ান বানাবে। আপনি বেঁচে না থাকলে তাদের হাসাবে কে? কে হবে কমিডিয়ান? একবার ভেবে দেখুন-কে আপনার হাসির অপেক্ষায় বসে আছে? তার জন্য বেঁচে থাকুন। একরাশ হতাশা কিছু ভালর কাছে কিছুই নয়। আপনি হতাশ হয়ে বসে আছেন ও-দিকে আপনার আসনে অন্যকেউ স্থান করে নিচ্ছে। হতাশাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে প্রতিযোগীতায় লাগুন। আপনি মানুষ জাতির কলঙ্ক-- যদি আপনি মনে করে থাকেন আপনাকে দিয়ে কিছুই হবে না। হতাশা নিমিষেই চলে যাবে-- শুধু ভাবুন আজকে আপনি হতাশ হয়ে আছেন, নিশ্শই এমন একটি দিন কাটিয়েছেন যে দিনটা আপনার সবচেয়ে আনন্দের দিন ছিল। ঐ-দিনটার কথা ভাবুন। আপনার কি ফিরে পেতে ইচ্ছে করে না সেই দিনটার মত আনন্দমুখর দিন নাকি আপনার ইচ্ছে করে, মরেই যাই আনন্দতো আর পাওয়া সহজ নয়?
বিশ্বাস করুন-সুখী হওয়া, আনন্দ লাভ এসব খুব সহজ। শুধু আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে। ধীর হয়ে শান্ত হয়ে নির্জনে বসুন। পাঁচ মিনিট নির্জনে বসে চোখ বন্ধ করে সব হতাশা সাময়িক সময়ের জন্য দূরে রেখে জোরে জোরে করেকটা নিশ্বাস নিন। তারপর আস্তে আস্তে নিশ্বাস ভিতরে নিন, তারপর মুখে দিয়ে নিশ্বাস ছাড়ুন আস্তে আস্তে। এভাবে কয়েকবার করার পর এখন আবার আস্তে আস্তে নিশ্বাস ভিতরে নিন, তারপর নাক দিয়ে নিশ্বাস আস্তে আস্তে ছাড়ুন। আপনার মাথায় কোন চিন্তা আনবেন না। খেয়াল রাখুন এবং মনোযোগী হন কিভাবে নিশ্বাস নিচ্ছেন আর বের করছেন। পাঁচ মিনিট পর চোখ খুলুন এবং অনুভব করুন চারপাশটা কত সুন্দর। মাথার উপর আকাশটা কত বিশাল.. কত পাখি উড়ে যায় ডানামেলে। এবার ভাবুন--আপনার হতাশার কারণ কী? কেন আপনি হতাশা থেকে মুক্ত হতে পারছেন না? হতাশ হওয়ার কারণ খুঁজে বের না করে খুঁজে বের করুন কিভাবে হতাশা থেকে বের হবেন। কিসের ডিপ্রেশন, কিসের হতাশা, কিসের দুশ্চিন্তা? কেন হচ্ছে? কিভাবে হতাশা হচ্ছি? কিভাবে মুক্তি পাব? এভাবেই ভাবনার ফলে একটা সমাধান আসবে। তারপর সমাধান বা সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়ার পর--মনের সুখে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। আপনি মানুষ, সামান্য এই হতাশা আপনাকে যদি এত দুর্বল করে দেয় তাহলে জানোয়াররা এর থেকেও অনেক শ্রেয়।
এমন দিনটির কথা ভাবুন যেদিন আপনার মনে হয়েছিল আপনার বাঁচতে হবে আর আজ নাকি আপনি মরতে চান! আপনি আজ মৃত্যুকে আহ্বান করছেন আর পৃথিবীর অন্য প্রান্তে হয়ত হাজার হাজার মানুষ বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করছে। প্রবল আকাঙক্ষা রাখুন, এটা কিছুই নয়। আস্থা রাখুন--জগত যেমন আপনার সাথে খারাপ করেছে হয়ত তার থেকে বেশি ভাল কিছু আপনার জন্য অপেক্ষারত। ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন। মনে খুলে ইশ্বরকে ডাকুন, তার উপর ভরসা রেখে আবার নতুন জীবনে ফিরে আসুন। মৃত্যু আহ্বান সহজ, কিন্তু বরন করা কঠিন। হতাশার কাছে জীবনের আনন্দের মূল্য নেই। যতই হতাশ থাকুন আনন্দ করার কারণগুল খুঁজে বের করুন এবং আনন্দ করুন। নিজে হতাশা থাকলে অন্যের হতাশাকে মুক্তি দিতে সাহায্য করুন। পৃথিবীটা অনেক সুন্দর-- এই বলে তাকিয়ে সুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। দেখবেন সত্যিই সুন্দর।
জগতের কুৎসিত মানুষগুলকে ভাল লাগার কারণ বের করুন। আপনি পারবেন... অবশ্যই পারবেন। শিব খেরা বলেছেন-- দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
৪৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন