আল্লাহর ইহ্সান

লিখেছেন লিখেছেন আনাস ইবনে হাবীব ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:৪৪:১০ বিকাল

পাঠকবৃন্দের অবগতির জন্য কুরআন মজীদ হতে মুত্তাকীদের গুনাবলী সমূহ নি¤েœ উদ্ধৃত করা হলো ঃ-

মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট/গুণাবলী/পরিচয় ঃ

১। তারা গায়েব বিশ্বাস করে ।

২। নামায কায়েম করে।

৩। আল্লাহর দেয়া রেয্ক থেকে ব্যয় করে।

৪। আল-কুরআনসহ সকল আসমানী কিতাবের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে।

৫। পরকালের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।

৬। তাদের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হেদায়েত এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে (২:২-৫)।

৭। তারা আল্লাহর ইবাদত করে (২:২১)।

৮। আল্লাহর আয়াত অমান্য করে না এবং সামান্য মূল্যে উহা বিক্রয়ও করেনা।

৯। তারা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত করে না।

১০। তারা জেনে শুনে সত্য গোপন করে না।

১১। যাকাত আদায় করে।

১২। রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করে। (২:৪১-৪৩)

১৩। তারা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে।

১৪। তারা বিশ্বাস করে যে তাদের প্রতিপালকের সাথে নিশ্চিতভাবে তাদের সাক্ষাৎকার ঘটবে এবং তাঁরই দিকে তারা ফিরে যাবে (২:৪৫-৪৬)

১৫। আল্লাহর কিতাবকে মজবুতভাবে ধারন করে এবং তাহাতে যা আছে তাহা স্মরনে রাখে (২:৬৩)।

১৬। আল্লাহ, ফেরেশাত ও নবী-রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে।

১৭। আল্লাহর ভালবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের প্রিয় ধন-সম্পদ, আত্মীয় স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন, মুসাফীর, সাহায্যপ্রার্থী এবং দাস মুক্তির জন্য ব্যয় করে।

১৮। ওয়াদা পূরন করে।

১৯। অর্থ-সংকট, দুঃখ-কষ্ট, বিপদের সময় এবং হক ও বাতিলের দ্বন্ধ¦ সংগ্রামে ধৈর্য্য অবলম্বন করে (২:১৭৭)।

২০। কিসাসের বিধান পালন করে (২:১৭৯)।

২১। রোযা পালন করে, এতেকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সহিত সহবাস করে না (২:১৮৭)।

২২। পারষ্পরিক ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ-ব্যবহার করে না (২:১৮৮)।

২৩। তারা সুদ বর্জন করে (২:২৭৮)।

২৪। মিথ্যা কাজে আল্লাহকে সাক্ষী বানায় না।

২৫। ক্ষমতা লাভ করলে দুনিয়ায় অশান্তি ও বিপর্যয় সৃষ্টি করেনা, শস্য ক্ষেত এবং মানব বংশ ধ্বংশ করে না।

২৬। নিজের মান রক্ষার চিন্তা তাকে পাপের পথে মজবুত করে রাখে না। (২:২০৪-২০৬)।

২৭। আল্লাহর নাফরমানী ও অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকে (২:২২৩)।

২৮। তারা বলে “হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি আমাদের গুনাহ খাতা মাফ করে দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাচাও।”

২৯। তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, সত্যপন্থী, বিনীত-অনুগত, দাতা এবং রাতের শেষভাগে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায়। (৩:১৬-১৭)।

৩০। তারা জিহাদ পরিত্যাগ করে বা জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহন করা হতে বিমুখ হয়ে নিজেদের কে ধ্বংশের মধ্যে নিক্ষেপ করে না। (২:১৯৫)।

৩১। তারা সৎ কাজ করে। (২:১৯৫)।

৩২। তারা বলে, “হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যান দাও এবং আখেরাতে ও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর (২:২০১)।

৩৩। তারা বলে যে, আমরা আল্লাহর রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা এবং তাদের কথা শুনছি এবং পালন করছি আর বলে যে, হে আমাদের রব, আমরা তোমার ক্ষমা চাই আর প্রত্যাবর্তন তো তোমারই নিকট (২:২৮৫)।

৩৪। তারা বলে যে, হে আমাদের রব যদি আমরা বিস্মৃত হই কিংবা ভুল করি তবে তুমি আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের রব, আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পন করেছিলে আমাদের উপর তেমন কঠিন দায়িত্ব অর্পন করো না। হে আমাদের রব, এমন ভার আমাদের উপর অর্পন করোনা যাহা সহ্য করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন কর, আমাদের ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরূদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর (২:২৮৬)।

৩৫। তারা আল্লাহকে ভয় করে যেভাবে ভয় করা উচিৎ এবং আল্লাহর দ্বীনকে মজবুতভাবে ধারন করে। দলাদলিতে লিপ্ত হয়না এবং আল্লাহর অনুগ্রহকে স্মরনে রাখে (৩:১০২-১০৩)।

৩৬। তারা সত্য-সঠিক পথে স্থিরভাবে দাড়িয়ে থাকে, রাত্রিবেলা আল্লাহর আয়াত পাঠ করে এবং সেজদায় অবনত হয় (৩:১১৩)।

৩৭। সৎ কাজের আদেশ করে, অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে লোকদের বিরত রাখে এবং কল্যানকর কাজসমূহে তৎপর থাকে। ইহারা সৎ ও নেক লোক (৩:১১৪)।

৩৮। আল্লাহ ও রাসূল (সাHappy এর হুকুম মেনে চলে (৩:১৩২)।

৩৯। তারা তীব্রগতিতে চলে স্বীয় প্রতিপালকের ক্ষমা এবং জানাতের পথে (৩:১৩৩)।

৪০। দূরবস্থাতেই হউক আর স্বচ্ছল অবস্থাতেই হউক সব সময়ই নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করে (৩:১৩৪)।

৪১। ক্রোধকে হজম করে এবং অন্য লোকের অপরাধ ক্ষমা করে দেয় (৩:১৩৪)।

৪২। তাদের দ্বারা যদি কোন অশ্লীল কাজ সংগঠিত হয় কিংবা কোন গুনাহ করে নিজেদের উপর যুলুম করে বসে তবে সংগে সংগে আল্লাহর কথা তাদের স্মরন হয় এবং তাঁর নিকট পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থী হয় (৩:১৩৫)।

৪৩। এই লোকেরা জেনে বুঝে নিজেদের অন্যায় কাজ নিয়ে বাড়াবাড়ি করে না (৩:১৩৫)।

৪৪। বাতিলের সাথে হকের দ্বন্ধ¦ সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্থ হওযার পরও হকের আহবানে সাড়া দেয় (৩:১৭২)।

৪৫। হক ও বাতিলের সংগ্রামে তারা বাতিলকে ভয় করে না বরং বলে যে আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম কর্মকর্তা (৩:১৭৩)।

৪৬। সকল অবস্থায়ই আল্লাহকে স্মরন করে এবং আসমান ও জমীনের সৃষ্টি ও সংগঠন সম্পর্কে চিন্তা-গবেষনা করে (৩:১৯১)।

৪৭। নেককার লোকদের সাথে মৃত্যু কামনা করে (৩:১৯৩)।

৪৮। আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠাবান ও অবনত (৩:১৯৯)।

৪৯। বাতিলপন্থীদের মোকাবিলায় দৃঢ়তা ও অনমনীয়তা প্রদর্শন করে (৩:২০০)।

৫০। সত্যের খেদমতের জন্য সর্বক্ষন প্রস্তুত থাকে (৩:২০০)।

৫১। আত্মীয়সূত্র ও নিকটত্বের সম্পর্ক বিনষ্ট করা হতে বিরত থাকে (৪:১)।

৫২। ইয়াতীমদের মাল-সম্পত্তি তাদের নিকট ফিরিয়ে দেয়। তাদের মাল হজম করে ফেলেনা এবং ভাল মাল খারাব মালের সাথে বদল করে না (৪:২)।

৫৩। নিজেদের ক্ষতি হলেও ইনসাফের ধারক হয় এবং আল্লাহর ওয়াস্তে সাক্ষী হয়। নিজেদের নফ্সের খাহেশের অনুসরন করে না এবং সুবিচার ও ন্যায়পরায়নতা থেকে বিরত থাকে না (৪:১৩৫)।

৫৪। কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্ধেষের কারনে তারা সুবিচার থেকে বিরত থাকে না (৫:৮)।

৫৫। আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের উপায় অন্বেষণ করে এবং তাঁর পথে সংগ্রাম করে (৫:৩৫)।

৫৬। আল্লাহর নিদর্শনে বিশ্বাস করে (৭:১৫৬)।

৫৭। আল্লাহর রাসূল যে সকল বস্তু/বিষয়কে হালাল বলেছেন তারা তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করে এবং যাহা হারাম বলেছেন তা তারা হারাম হিসেবে গন্য করে (৭:১৫৭)।

৫৮। আল্লাহর কিতাব দৃঢ়তাসহকারে ধারন করে এবং উহাতে যা কিছু আছে তা স্মরনে রাখে (৭:১৭১)।

৫৯। মূর্খ লোকদের সহিত জড়িয়ে পড়ে না (৭:১৯৯)।

৬০। শয়তান যদি কখনও উস্কানী দেয় তখন আল্লাহর নিকট পানাহ চায় (৭:২০০)।

৬১। শয়তানের প্ররোচনায় কোন খারাপ খেয়াল তাদেরকে স্পর্শ করলে তারা সংগে সংগে সতর্ক হয়ে যায় এবং তাদের জন্য সঠিক কল্যানকর পথ ও পন্থা কি তাহা তারা সুষ্পষ্টরূপে দেখতে পায় (৭:২০১)।

৬২। তারা নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক সঠিকভাবে গড়ে তোলে (৮:১)।

৬৩। তাদের দিল আল্লাহর স্মরনে কেপে উঠে। আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় (৮:২)।

৬৪। আল্লাহর উপর আস্থা এবং নির্ভরতা রাখে (৮:৩)।

৬৫। শরয়ী ওযর ব্যতীত জানমালসহ জিহাদে অংশ করা থেকে বিরত থাকে না বা বিরত থাকার অনুমতি চায়না (৯:৪৪)।

৬৬। আল্লাহ তায়ালা তাদের হৃদয়-মন এবং তাদের মাল-সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে খরিদ করে নিয়েছেন। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে এবং মারে ও মরে (৯:১১১)।

৬৭। আল্লাহ তায়ালার দিকে বারবার প্রত্যবর্তনকারী, তাঁর বন্দেগী পালনকারী, তাঁর প্রশংসার বাণী উচ্চারনকারী, তাঁর জন্য জমীনে পরিভ্রমনকারী, তাঁর সম্মুখে রুকু ও সিজদায় বিনীত এবং আল্লাহর নির্দিষ্ট সীমা রক্ষাকারী (৯:১১২)।

৬৮। তারা যুদ্ধ করে সেই সত্য অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যারা তাদের নিকটবর্তী রয়েছে। তারা (সত্য-অমান্যকারীরা) তাদের মধ্যে দৃঢ়তা ও কঠোরতা দেখতে পায় (৯:১২৩)।

৬৯। পরিবার-পরজনকে নামায শিক্ষা দেয় আর নিজেরাও উহা দৃঢ়তার সহিত পালন করতে থাকে (২০:১৩২)।

৭০। তারা না দেখেও তাদের রবকে ভয় করে এবং কিয়ামত সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত (২১:৪৯)।

৭১। নিজেদের নামাযে ভীতি ও বিনয় অবলম্বন করে, বেহুদা কাজ থেকে দূরে থাকে, যাকাত আদায়ে কর্মতৎপর হয়, নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে (নিজেদের স্ত্রীদের ছাড়া), তাদের আমানত ও ওয়াদা-চুক্তি রক্ষনা-বেক্ষন করে এবং নামাজসমূহের পূর্ণ হেফাযত করে (২৩:২-৯)।

৭২। তারা তাদের রবের নিদর্শনাবলীতে ঈমান রাখে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করেনা, তাদের রবের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে এই বিশ্বাসে তাদের যাহা দান করবার তাহা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে (২৩:৫৮-৬০)।

৭৩। তারা আল্লাহর স্মরনে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর তাসবীহ করে (২৪:৩৬)।

৭৪। ব্যবসা-বানিজ্য, কেনা-বেচা তাদেরকে আল্লাহর স্মরন, নামায কায়েম করা ও যাকাত আদায় করা থেকে গাফেল করে দেয় না (২৪:৩৭)।

৭৫। সেইদিনকে তারা ভয় করতে থাকে যেদিন দিল উল্টে যাওয়া এবং চক্ষু পাথর হয়ে যাওয়ার অবস্থা দেখা দিবে (২৪:৩৭)।

৭৬। জমীনের বুকে তারা ন¤্রতার সহিত চলা-ফেরা করে, আর যাহেল লোকেরা তাদের সাথে কথা বলতে আসলে বলে দেয় যে, তোমাদেরকে সালাম।

৭৭। রাত্রি অতিবাহিত করে তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে এবং দন্ডায়মান থেকে।

৭৮। আল্লাহ তায়লার নিকট প্রার্থনা করে, “হে আমদের প্রতিপালক! আমাদের হতে জাহান্নামের শাস্তি বিদুরিত কর, উহার শাস্তি তো নিশ্চিত বিনাশ।

৭৯। তারা খরচ করলে- না বেহুদা খরচ করে, না কার্পন্য করে; বরং দুই সীমার মাঝখানে মধ্যম নীতি অবলম্বন করে।

৮০। আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদকে ডাকেনা, আল্লাহর হারাম করা প্রাণকে অকারণে ধ্বংশ করে না, আর না ব্যভিচারে লিপ্ত হয় (২৫:৬৩-৬৮)।

৮১। তারা মিথ্যার সাক্ষী হয়না; আর কোন অর্থহীন বিষয়ের নিকট দিয়ে অতিক্রম করতে হলে তারা শরীফ মানুষের মতই অতিক্রম করে।

৮২। আল্লাহর আয়াত শুনিয়ে নসীহত করা হলে তারা উহার উপর অন্ধ ও বাধির হয়ে পড়ে থাকেনা।

৮৩। তারা দোয়া করতে থাকে “হে আমাদের রব, আমাদের স্ত্রীদের ও সন্তানদের দ্বারা আমাদের চক্ষু সমূহের শীতলতা দাও এবং আমাদিগকে পরহেজগার লোকদের ইমাম বানাও (২৫:৭২-৭৪)।

৮৪। তারা জমীনে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চায় না এবং বিপর্যয় ও সৃষ্টি করে না (২৮:৮৩)।

৮৫। কাফের ও মুনাফেকদের অনুগত্য করে না (৩৩:১)।

৮৬। আল্লাহর উপর ভরসা করে (৩৩:৩)।

৮৭। মুত্তাকী স্ত্রীলোকেরা বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন করে না- যাতে দৃষ্ট ব্যক্তি লালসা করতে পারে, বরং সোজাসুজি স্পষ্ট কথা বলে, নিজেদের ঘরে অবস্থান করে এবং পূরাতন জাহেলী যুগের মত সাজগোজ করে বেড়ায়না, নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও রাসূরের আনুগত্য করে (৩৩:৩২-৩৩)।

৮৮। মুত্তাকী পুরুষ ও স্ত্রী লোকেরা মুসলমান, মুমেন, আল্লাহর অনুগত, সত্য পথের পথিক, ধৈর্যশীল, সাদকাদানকারী, রোজাপালনকারী, অধিক মাত্রায় আল্লাহর স্মরনকারী (৩৩:৩৫)।

৮৯। কোন বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যে ফায়সালা দিয়েছেন তারা নিজেরা তার বিপরীত কোন ফয়সালা গ্রহণ করে না (৩৩:৩৬)।

৯০। তারা হক কথা বলে (৩৩:৭০)।

৯১। আল্লাহ তায়ালার রহমতের আশা পোষণ করে (৩৯:৯)।

৯২। তারা সদাচরন করে (৩৯:১০)।

৯৩। দ্বীনকে আল্লাহর জন্য খাটী ও নিষ্ঠাপূর্ণ করে দিয়ে একমাত্র তাঁরই বন্দেগী করে (৩৯:১১)।

৯৪। তাগূতের পূজা হতে দূরে থাকে (৩৯:১৭)।

৯৫। মনযোগ সহকারে কথা শুনে এবং যাহা উত্তম তা গ্রহণ করে (৩৯:১৮)।

৯৬। সত্যকে তারা সত্য বলে মানে (৩৯:৩৩)।

৯৭। তারা সেই লোকদের ইচ্ছা-বাসনার অনুসরন করে না, যাদের কোন বিষয়ে ইল্ম নেই (৪৫:১৮)।

৯৮। তারা বলে আল্লাহই আমাদের রব পরে উহার উপর দৃঢ়ভাবে অটল থাকে (৪৬:১৩)।

৯৯। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে “ হে আমাদের রব! তুমি আমাদের তওফীক দাও, আমি যেন তোমার সেই সব নিআমতের শোকর আদায় করি যা তুমি আমাকে ও আমার মাতা-পিতাকে দান করেছ এবং যেন এমন নেক আমল করি যাতে তুমি সন্তুষ্ট হবে। আর আমার সন্তানকেও নেক বানিয়ে আমাকে শান্তি দাও। আমি তোমার সমীপে তওবা করছি এবং আমি অনুগত, অবনত বান্দাদের মধ্যে শামিল আছি। (৪৬:১৫)।

১০০। তারা খূব বেশী প্রত্যাবর্তনকারী (অর্থাৎ তারা অবাধ্যতা ও প্রবৃত্তির লালসা-বাসনার পথ ত্যাগ করে আল্লাহর আনুগত্যের ও তার সন্তুষ্টির পথ অবলম্বন করে, অধিক পরিমানে আল্লাহকে স্মরন করে এবং নিজের সব ব্যাপার তাঁর প্রতি রুজু করে এবং খুব বেশী সংরক্ষনকারী (অর্থাৎ আল্লাহর সীমাসমূহের, তাঁর নিষেধগুলোর, তাঁর ন্যাস্ত করা দায়িত্ব ও আমানতগুলোর হেফাজত করে), সব সময় নিজেকে যাচাই করে দেখতে থাকে নিজের কথা ও কাজে কোথাও নিজের প্রতিপালকের নাফরমানি তো করছি না? [টীকা নং-৭ ও ৮, পৃ: নং-৯১০, তরজমানুল কুরআন মজীদ, আধুনিক প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত (৫০:৩২)]

১০১। রাত্রিকালে তারা খুব কম সময়ই শয়ন করে এবং রাত্রের শেষ প্রহরে তাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাদের ধন-মাল থেকে প্রার্থনাকারী ও বঞ্চিতদেরকে তাদের হক প্রদান করে (৫১:১৬-১৯)।

১০২। তারা একমাত্র আল্লাহর উপরই ভরসা রাখে, স্ত্রী ও সন্তান-সন্তাতিদের ব্যাপারে সতর্ক থাকে (৬৪:১৩-১৪)।

১০৩। স্বীয় মনের সংকীর্ণতা হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকে কারণ এটা হচ্ছে কল্যাণ ও সফলতা লাভের উপায় (৬৪:১৬)।

১০৪। বিচার দিবসকে সত্য মানে এবং আল্লাহর আযাবকে ভয় করে (৭০:২৬-২৭)।

১০৫। নিজেদের আমানতসমূহের রক্ষনাবেক্ষন, নিজেদের ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি রক্ষার বাধ্যবাধকতা পালন করে এবং সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে পরম সত্যতার উপর অবিচল থাকে (৭০:৩৩)।

বিষয়: বিবিধ

৫৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File