নাস্তিক মাসুদ প্রেক্ষাপট
লিখেছেন লিখেছেন মানলে শাল বা সার না মানলে শোলা বা বার ১৭ মে, ২০১৮, ০১:১০:১৯ দুপুর
তথাকথিত ও স্বঘোষিত মুফতি মাসুদকে এখানে মিঃ মাসুদ হিসাবে সম্বোধন করা হল। সে ধর্ম ত্যাগী হলে, তা তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু তাকে আমি দেখছি ইসলামের রীতিনীতি ও আচারে সালাম দিচ্ছে, দাঁড়ি, টুপি, নাম ও টাইটেল ব্যবহার করে মানুষদের ধোকা দিয়ে চলেছে। মুসলিম বিদ্বেষপূণ বর্ণনা প্রচার করলে - হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি-খ্রীষ্টানদের নিকট হতে সুবিধা ও প্রশংসা পাওয়া যায় এবং তাদের মনবুঝে তোষণ করার কারণে ও তাদের উপাসনা করার কারণে তাদের হতে টুপাইস কামাই করছ হয়তোবা। একত্ববাদের উপাসনা ছেড়ে দিয়ে এতগুলো উপাসকদের কিভাবে সন্তুষ্ট করবে? শুধু হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেব-দেবী, তার উপর আরো বৌদ্ধ, ইহুদি এবং খ্রীষ্টানদের দেব-দেবী ত আছে।একত্ববাদ ছেড়ে দিয়ে এতগুলোর উপাসন করে তাল সামলাতে পারবে ত?
মিঃ মাসুদ এর অনেক গুলো ভিডিও দেখেছি, অনেক ভিডিওতে সে অনুপম আদর্শের অধিকারী, The hundreds নামক গ্রন্থে সর্বকালের মহামানব হিসাবে প্রথম স্থানে রাখা আমাদের প্রিয়তম রাসুল সঃ এর সম্পর্কে কুৎসা রটনা করে চলেছো, আমাদের স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার ও ইসলাম (যার মাধ্যমে আমরা মানুষকে মানুষ হিসাবে, মাকে মা হিসাবে, পিতাকে পিতা হিসাবে, বোনকে বোন হিসাবে, মেয়েকে মেয়ে হিসাবে চিনিয়েছে এবং নিজের স্ত্রীকে স্ত্রী হিসাবে চেনার জ্ঞান পেয়েছি এবং সবোর্পরি other than Muslim তার সাথে যথাযথ ব্যবহার ও সহনশীলতা শিখিয়েছে, আমার এ ধর্ম) সর্ম্পকে শুধুই নিগেটিভিটি শিখলে এবং প্রচার ও প্রকাশ প্রত্যক্ষ করলাম। তার পূর্বের জীবনে ছাত্রবস্থায় কোন ভাল কিছুই এই ধর্ম পাঠে শেখনি? সে কি শুধু নিগেটিভিটি শিখেছিল? অথবা কোন ভালো কিছুই কি আমার ধর্মর মাঝে অবলোকিত হয়নি? কোন বিষয়ের উপর কোন ব্যক্তির ১০০ শত ভাগ খারাফ প্রকাশ করলে বুঝতে হবে ঢাল মে কুচ কালা হায়।
সে যদি সুন্দরতম ধর্ম ইসলাম ত্যাগ করে নিজেদের উপাসক নিজেরা বানানোর ধর্ম যদি গ্রহণ করে এবং ঐ ধমের্র এতো অসঙ্গতি হাতে বানানো উলঙ্গ দেবী, শিব লিঙ্গ অর্চনা তার কি চোখে পড়ে না? বরং তাকে দেবতা আকষর্ন করছে, মনে হচ্ছে। মনে হয় হয়তোবা তার কোন বদআমলের কারণে তার কোন কপাল পোড়া বদনসিব হলে কার কি করার আছে? মনে রাখা জরুরী – যারা আজ দুনিয়াতে, তারা কেনো ১০০ বছর আগে যেমন পৃথিবীতে আসতে পারোনি আবার কেনো ১০০ বছর পরেও কেনো ইচ্ছেমতো এই পৃথিবীতে থাকতে পারবেনা। মানুষের ক্ষমতা কতটুকু? কোন ব্যক্তি ১ পা উঠানোর পর আরেক পা উঠাতে অক্ষম। আর সে যদি ২ পা ওঠাতে সক্ষম হয় তাহলে সে যেনো ১০ তলা হতে লাফ দিয়ে উড়াল দাও। পাখি কিন্তু ঠিকই ২ উঠিয়ে উড়াল দিচ্ছে। তাকে পারতেই হবে। সে অনেক জ্ঞানী হিসাবে নিজেকে জাহির করছে। সে না অনেক চালাক। তার কুজ্ঞান যদি এতই বেশী হয় পৃথিবী সীমারেখা ছেড়ে অন্যত্র কেনো চলে যাওয়ার ক্ষমতা রাখো না? কুজ্ঞান এজন্য বললাম তার চালাকি দিয়ে অনেক মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভুতি আঘাত করেছে। ইহার প্রতিদান একদিন তাকে পেতেই হবে। বিশ্বাস করো আর নাই করো একবার মরে দেখো, ফিরে আসা যেমন সম্ভব নয় তেমনি শোধরানোও সম্ভব নয়। যেমন মায়ের স্তনের দুধ একবার বেরিয়ে আসলে আর ফেরানো সম্ভব না। মনে রাখা জরুরী মানুষের আমল-বদআমলই তার ডেস্টিনেশেন দেখাবে। কেউ যদি সদাই করতে দোকানে যায় অজান্তে অচল টাকা নিয়ে, তা ধরা পড়ার পর, বাসা হতে পাল্টিয়ে নেয়া সম্ভব। কিন্তু একবার চলে গেলে আর ফেরা বা শোধরানো অসম্ভব। যেমন যে চলে গেছে দাদার দাদা, তার দাদার দাদা। যাদের আমরা বংশধর তাদেরও আমরা যেমন চিনিনা তেমনি আমাদের কেউই চিনবেনা। যারা আমাদের বংশধর হবে ও আসবে এ দুনিয়াতে।
বাকী থাকবে আমাদের শুধু আমল-বদআমল। সৃষ্টিকতার্ একজনই আছেন। একাধিক থাকলে বিশ্ব ভ্রমাণ্ডে টক্কর যেমন লেগে যেতো। আমাদের ভয় করা উচিত তাঁকেই।
একটা ভিডিও তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিত সঞ্চালকের নিকট ও মিঃ মাসুদ নিকট আমার নিচের জিজ্ঞাসাগুলো। তারা এই জিজ্ঞাসগুলো উত্তর দিয়ে যেনো যায়, এই মুহূর্তে তাদের উত্তর পালানোর কথা নাইবা বলি। মিঃ মাসুদের যেমন মনে কোশ্চেন আসে, তেমনি আমারও তথাকথিত... ও বুদ্ধিজীবীর নিকট আমার নিচের জিজ্ঞাসাগুলো। আমি কোন কোন নাস্তিকের নিকট প্রশ্ন রেখে উত্তর পাইনি বলে আপনাদের নিকট প্রশ্নঃ
মহাবিশ্ব নিয়ে পরে জিজ্ঞাসা, আগে এ বিশ্ব নিয়ে জিজ্ঞাসা।
১। তুমি কেনো তোমার এই মা-বাবার ঔরসে না এসে অন্য আদমের ঔরসে আসোনি?
২। তুমি কেনো বাংলাদেশে না এসে কেনো অন্য কোন মহাদেশের দেশে জন্মাওনি তোমার ইচ্ছেমতো?
৩। তুমি মানুষ না হয়ে, কেনো একটা কুকুর প্রাণী হওনি?
৪। কেনো তুমি ১০০ বছর আগে তুমি পৃথিবীতে আসোনি আবার ১০০ বছর পরেও কেনো তুমি পৃথিবীতে থাকতে পারবেনা?
৫। একই পরিবারের একই পাতিলের খাওয়ার খেয়ে বাপ হচ্ছে বুড়ো, ছেলে হচ্ছে যুবক, মেয়ে হচ্ছে যুবতি, এবং পিতা কেনো ছেলের বাপ নয়, বাপ কেনো ঐ ছেলের পিতা নয়, তা কেনো? খাবার ত সমান।
৬। সবাই সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে চায়, কিন্তু কেউ পায়, কেউ পায় না কেনো?
৭। সবাই সুস্থ থাকতে চায়, কিন্তু সুস্থ থাকে আবার কেউ অসুস্থ হয় কেনো? যে ডাক্তার যে রোগের চিকিৎসা করে কখনো কখনো ঐ একই রোগে ঐ ডাক্তার কেনো মারা যায়?
৮। মানুষ এক পা তোলে দাঁড়ানোর পর আরেক পাঁ কেনো ওঠাতে পারেনা? অথচ পাখি দুই পা উঠিয়ে উড়তে পারে কেনো?
৯। যে লোকটি ২ মণের বস্তা নিয়ে দৌড়াতে পারে, তার ডাইরিয়া হওয়ার পর, স্রেফ মুখে বসা মাছি কেনো তাড়াতে পারেনা? তার ত শক্তি আছে কথা বলে তর্ক করার। ভিডিওর সেল্প ডিক্লারড নাস্তিক মিঃ মাসুদ ও বহু শিক্ষিত সঞ্চালক সাহেব প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন।
বলা হয়ে থাকে অল্প জানা লোক নাস্তিক হয়। আর বেশী জানা লোক আস্তিক। কারণ আস্তিক ব্যাক্তি তার জ্ঞানের গভীরতা দিয়ে সর্বত্রই মহান প্রভূ আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নিদশর্ন খুজে পায়। সেজন্য চাঁদে প্রথম নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন অথবা নীল আম্রস্ট্রং ইসলামে রিভার্ট হয়েছে। আমরা জানি, আলোর গতি ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল। আর সূর্য হতে পৃথিবীতে আলো আসতে ৮ মিনিট ৩০ সেকেণ্ড সময় লাগে। সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহ-উপগ্রহ ঘূণায়মান ইহাদিগকে সৌরজগত বলা হয়। এমন সৌরজগতের মতো আর সৌরজগত বা নক্ষত্রজগত থাকতে পারে। সৌরজগতের সৌরজগতকে গ্যালাক্সি বলা হয়। বিজ্ঞানীরা বলে
এই মহাবিশ্ব হতে এমন নক্ষত্রের আলো আজো পৃথিবীতে পৌছেনি। বৃহষ্পতি পৃথিবীর চেয়ে ১৩০০ গুণ বড়। এই মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা কি নাই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! অবশ্যই তিনি আছেন এবং থাকবেন অনন্তকাল ধরে এমনকি যখন মানুষও ছিলনা। চোখে সকস্ত কিছু স্রষ্টার সৃষ্টি। স্রষ্টা সৃষ্টির মতো সাদৃশ্যপূর্ণ নন। এই বিশ্ব ভ্রমাণ্ড তাঁর কুদরতের কব্জায় রয়েছে। তাকেঁ ঘুম ত দুরের কথা তন্দ্রাও স্পর্শ করে না। স্পর্শ করলে এই বিশ্ব ভ্রমাণ্ড কিভাবে আপন আপন গতিপথে চলতে পারতোনা। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরীক নাই। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউর হতে জন্ম নেননি। সেজন্যে প্রত্যেক প্রাণীকে অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। বলা হয় পৃথিবীতে মানুষ প্রজাতির বয়স মাত্র ৪০ হতে ৫০ হাজার বছর। আর পৃথিবীর বয়স কোটি বছর। তাহলে মানুষ কিভাবে নাস্তিক হয়?
এই আধুনিক যুগে আজো মহাবিশ্বের অনেক কিছু আমাদের অজানা। কেননা স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা যতটুকু মানুষদের জানার অধিকারে দিয়েছে ততটুকুই জানছে। এর বেশী নয়।
নাস্তিকের বলে – ইহুদি-খ্রীষ্টানরা সবকিছু আবিষ্কার করছে, আর মুসলিমরা আবিষ্কার করতে পারেনা, শুধু ব্যবহার করে। এই কথাটা ঠিক নয়। কেননা জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস পবিত্র কোরআন। আর পবিত্র কোরআন নাযিল হওয়া শুরু হয়েছে ষষ্ঠ শতাব্দী হতে। নবী ও রাসুল পৃথিবীতে আভির্ভূত হয়েছেন সেই হযরত আদম আঃ হতে। সুরায় বাক্কারায় আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা বলেন – আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা আদম আঃ কে সমস্ত কিছুর নাম (পৃথিবীতে যত কিছু আসছে ও আসবে) শিক্ষা দিয়েছেন। মুহাম্মদ রাসুল সঃ হলেন নবী ও রাসুলের পরম্পরায় শেষ নবী ও রাসুল সঃ। সেজন্য রাসুল সঃ পূর্বের সকল নবী ও রাসুলদের সত্যায়ন করেন।
আর পাশ্চাত্যে রেনেসার যুগ শুরু হয়েছে বহু পরে তথা চর্তূদশ-ষোড়শ শতাব্দী থেকে । আর ইতিহাস ঘেটে দেখলে দেখা যায় এই জ্ঞান-বিজ্ঞান মুসলিমদের হাতেই ছিল। মুসলিমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক অবদান রেখেছে। যার সূত্রধরে বর্তমান আধুনিক যুগের জ্ঞান-বিজ্ঞান বিকশিত ও রূপ লাভ করেছে। এরপর কোন পিরিয়ডে মুসলমানেরা আল্লাহর সুবাহানাহু তায়ালার ভয় থেকে দুরে সরে গিয়ে ক্ষমতার লোভ-লালসা ও ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে যাওয়ার তা হাত হতে ছুটে যায়। মুসলিমদের জন্ম হয়েছে একত্ববাদের মূল তৌহিদে বিশ্বাস করে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার হুকুম তামিল করে এবং নিজেকে মানব কল্যাণে ব্রত করবে। যে শিক্ষা আমরা পাই রাসুল সঃ জীবনাদর্শ হতে। তিনি সর্বকালের, সর্বযুগের কিয়ামত পর্যন্ত মহামানব রাসুল সঃ একাধারে সবকিছু (আল্লাহর মনোনিত ধর্ম দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রনায়ক দুনিয়াতে তার জীবন চালাবে তার প্রকৃষ্ট প্রমান তাঁর পুরো কর্মময় জীবন Islam is the complete code of life) করে বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। আপনা ঘরের মালিক যদি ঐ ঘরে বসবাস না করে তাহলে ঐ ঘরে মাকঢ়ষা বাসা বাধেঁ। পৃথিবীটা একটা জগৎ সংসার। একটা সংসারে একেক জন্য একেক কাজ করে। যেমন কেউ চাষ করে আবার কেউ তা কাটে, আবার কেউ তা ভাঙ্গে, আবার কেউ তা বাজারে বিক্রয় করে। আবার কেউ বাজার হতে আনে, আবার কেউ বাজার হতে আনার পর কোথাও ঘরের মালিক আবার কোথাও কাজের বুয়া রান্না করে এরপর খাওয়া হয়। এই যে, শ্রেণীভেদে কতপ্রকার মানুষ প্রসেসের সাথে অনেক প্রকার মানুষ জড়িত। সেজন্য কেউ ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউ ঘর নির্মাতা, আবার কেউ রোগী। ইহা নিয়ে ঝিগর তোলার কি আছে? অমুকে অমুক বিষয়ে অবদান রেখেছে। রেখেছে ত তাতে কি হয়েছে? একেক শ্রেণী একেক জায়গায় অবদান রেখে চলেছে। ইহা দেখি নাস্তিকরা বলে- তারা আসলে মুসলিমদের ইতিহাস না জেনে, না বুঝে ও উপরোক্ত প্রসেস না বুঝে, এমন কথা ও মন্তব্য করে চলেছে। ঐ যে বলে - শিশুরা চকোলেটের প্যাকিং এর উপরিভাগ দেখে মাতোয়ারা। কিন্তু ২০ লাখ টাকার বাণ্ডিলের মধ্যে কত না চকোলেট লুকিয়ে আছে, সে কথা শিশুর জ্ঞান না থাকায় কিভাবে বুঝবে। সেজন্য বলা হয় – মূর্খ লোক জ্ঞানী জানেনা। পক্ষান্তরে একজন জ্ঞানীলোক মূর্খকে জানে ও চিনে। কেননা জ্ঞানী ব্যক্তি একসময় মূর্খ ছিলো।
সমগ্র পৃথিবী একটা জগৎ সংসার। এখানে যদি কোন মানবকুল আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালাকে না চিনে, না মানে এবং অস্বীকার করে তাঁর রাজত্বে এতটুকু কমবে না যতটুকু সুঁইয়ের আগায় ওঠে। পক্ষান্তরে কেউ সমস্ত মানবকুল আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালাকে মানে, তাঁর আদেশ-নিষেধ যথাযথ পালন করে তাঁর রাজত্বে এতটুকু বৃদ্ধি পাবেনা যতটুকু তেমনি সুঁইয়ের আগায় ওঠে। এককথায় আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা তাঁর রাজত্ব পরিচালনার জন্য কারো মুখাপেক্ষি নন। আল্লাহ সুবহানাহু ও তায়ালাকে তাঁর পরিচিতি নিয়ে চেনাটাই জরুরী, তারপর হুকুম পালন। সেজন্য বলা হয় – আবু জাহেল অর্থাৎ মূর্খের পিতা। এই আবু জাহেল একসময় তাকে বলা আবুল হাকাম অর্থাৎ প্রজ্ঞার পিতা। সে যখন তার স্রষ্টার পরিচয় জানল না, তারপর মানলনা, সে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হলো মূর্খের পিতা আবু জাহেল। তেমনি বলা – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মূর্খ হয়ে মারা গেছে। কেননা সে তার স্রষ্টার পরিচয়ই জানলনা। এই শিক্ষা শিক্ষা নয়, যে শিক্ষা তার স্রষ্টার পরিচয় শেখায় না। তাবৎ দুনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে যতধরণের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা শেখানো হয়, তার মূল্ উদ্দেশ্য হলো পেট পালন। তার স্রষ্টার পরিচয় পাওয়ার শিক্ষা কোথায় পাওয়া যায়। সেজন্য আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পবিত্র কোরআনে সুরা আর রাহমান এ প্রথম আয়াতে বলেন- ১। দয়াময় তিনি, ২। শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন অতঃপর ৩। সৃষ্টি করেছেন মানুষ। আমরা আপাতঃদৃষ্টিতে দেখছি মানুষ প্রথমে জন্ম নিচ্ছে এরপর কোরআন শিখছে। ইহার ব্যাখ্যা হলো – মানুষ হওয়ার জন্য কোরআন শিখতেই হবে মানতে তার স্রষ্টাকে, এরপর সে নিজেকে মানুষ বলে দাবী করতে পারে। পক্ষান্তরে ঐ পদ্ধতি যদি না হয় তার মাঝে মনুষ্যত্ব আসবেনা, পশুত্ব পশুর আচরণ ও ব্যাখ্যা বিশ্লষণ। যেমন আজ পাশ্বাত্যে পবিত্র কোরআনের জ্ঞান না থাকার দরুন – ছেলে ছেলে বিয়ে, মেয়ে মেয়ে বিয়ে। আবার মা ছেলেকে বিয়ে, আবার বাপ তার মেয়েকে বিয়ে। আবার কোথাও একেবারে উলঙ্গ। দু হাত-পা হলেই মানুষ হয় না। মানুষ হওয়ার জন্য স্রষ্টার বাতলানো পবিত্র কোরআনের জ্ঞান সমৃদ্ধ আলো দ্বারা আলোকিত কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হয়। তা না হলে ইহা হল পশুত্ব পর্যবসিত হয়। পৃথিবীর আসার উদেশ্যই হলো – আল্লাহর পরিচয় জানা ও মানা। এখন যদি তার পৃথিবীতে আসার উদ্দেশ্য বানায় মারনাস্র আবিষ্কার করে ও বানিয়ে মানবকুল ধ্বংস করবো। ইহা করলে কে কি করার আছে তাকে বিরত রাখার। কেননা সেই তার ইচ্ছা ও কর্ম দিয়ে জাহান্নামে যাওয়া পথে নিজেকে সপেঁ ও ঠেলে দিচ্ছে।
যখন স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তখনই আসছে। সে এদেশে না এসে কেনো ঐ দেশে আসতে পারেনি অথবা ঐ দেশে না এসে এদেশে আসতে পারেনি। অর্থাৎ তাকে যেখানে ও যখন স্রষ্টায় পাঠিয়েছেন সেখানেই সে আসছে। এখানে বলে রাখা সমিচিন – সমগ্র পৃথিবীর সকল মানুষ যদি আল্লাহকে অস্বীকার করে আল্লাহ এমন ক্ষমতাবান তিনি মহাবিশ্বে আরেকটা জগতে গুণকির্তন করার অন্য কোন প্রাণী সৃষ্টি করতে পারেন। যা এই পৃথিবীর কোন প্রাণী নাও জানতে পারে। তাহলে কথা হলো কেনো আমরা আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালাকে চিনবো এবং মানবো। মানুষ তাঁর নিজের জন্যই কল্যানের পথ রচনা না করলে কার কি করার আছে। পিপিলিকা যদি দেখে শুনে নিজের আত্মাকে আগুনে সমর্পন করে। তাকে কে আবার ধরার। সে নিজেকে আগুন হতে বাঁচানো চিন্তা ও কাজ করতে পারতো। সে কেনো ভালো বেচে না নিয়ে খারাপটা যদি বেচে নেয় কার কি করার আছে?
নাস্তিকেরা তার স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার না করে পক্ষান্তরে নিজেকে অস্বীকার করে এবং আবু জাহেল হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার সত্ত্বা (চোখে দেখা সকল তাঁর সৃষ্টি) এবং সৃষ্টির সাথে স্রষ্টা সাদৃশ্যহীন এবং সেই মহা সত্ত্বা রাব্বে করীমের অস্তীত্ব আমার উপরের ১০টি প্রশ্নের উত্তরের মাঝে এবং উপরের আলোচনার মাঝে খুঁজে নেয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৬৯৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন