রামাদ্বান মাসের ফযীলত ও মর্যাদা
লিখেছেন লিখেছেন সহীহ আমল ১৪ মে, ২০১৮, ০৯:১৯:৫৯ রাত
রামাদ্বান মাস সিয়াম সাধনা ও তাকওয়ার মাস, কল্যাণ ও বরকতের মাস, রহমত ও মাগফিরাত এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের মাস। মহান আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসটিকে বহু ফযীলত ও মর্যাদাপুর্ণ মাস বলে ঘোষনা দিয়েছেন ।
১. রামাদান আল-কুরআনের মাসঃ আল্লাহ তাআলা এতে কুরআন নাযিল করে মর্যাদাপূর্ণ করেছেন। তিনি বলেন,
﴿شَهۡرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلۡقُرۡءَانُ﴾
রামাদ্বান মাস - এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে।’’ (সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৫)
২. এ মাসে জান্নাতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত রাখা হয়, জাহান্নামের দ্বারসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের শৃংখলিত করে রাখা হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَسلسلت الشَّيَاطِين
রামাদ্বান মাস এলে জান্নাতের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হয় জাহান্নামের দ্বারসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের শৃংখলিত করা হয়। (বুখারী, মুসলিম,)
৩. এ মাসে রয়েছে লাইলাতুল ক্বদেরর ন্যায় বরকতময় রাত । মহান আল্লাহ বলেন,
﴿لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ خَيۡر مِّنۡ أَلۡفِ شَهۡر تَنَزَّلُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذۡنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمۡر سَلَٰمٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطۡلَعِ ٱلۡفَجۡرِ ﴾
‘‘লাইলাতুল ক্বদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাত্রে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হন প্রত্যেক কাজে, তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় এ রজনী, ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা আল-ক্বদরঃ ৩-৫)
৪. এ মাস দোআ কবুলের মাসঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إنَّ لِلَّهِ عُتَقَاءَ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ لِكُلِّ عَبْدٍ مِنْهُمْ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابة (রামাদ্বানের) প্রতি দিন ও রাতে (জাহান্নাম থেকে) আল্লাহর কাছে বহু বান্দা মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক বান্দার দোআ কবুল হয়ে থাকে (যা সে রামাদ্বান মাসে করে থাকে)।’’ ( মুসনাদে ইমাম আহমদ)
ত্বাকওয়া অর্জনের এ মুবারক মাসে মুমিনদের উপর অর্পিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, সৃষ্টি হয়েছে পূণ্য অর্জনের বিশাল সুযোগ এবং প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে মহান চরিত্র অর্জনের সুন্দর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। এ অর্পিত দায়িত্ব পালন এবং সুবর্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আজ সারা বিশ্বের মুসলিমদের উচিত চারিত্রিক অধ:পতন থেকে নিজেদের রক্ষা করা, এবং সকল প্রকার অনাহুত শক্তির বলয় থেকে মুক্ত হয়ে হক প্রতিষ্ঠার প্রতিজ্ঞাকে সুদৃঢ় করা, যাতে তারা রিসালাতের পবিত্র দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে এবং কুরআন নাযিলের এ মাসে কুরআনের মর্ম অনুধাবন করতে পারে, তা থেকে হিদায়াত লাভ করতে পারে এবং জীবেনের সর্বক্ষেত্রে একেই অনুসরণের একমাত্র মত ও পথ রূপে গ্রহণ করতে পারে।
পবিত্র রামাদান মাসে যেসব দায়িত্ব ও কাজ শরীয়ত কর্তৃক অর্পিত হয়েছে কিংবা যা পালনে শরীয়ত আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে ও যা বর্জন করতে নির্দেশ দিয়েছে, পবিত্র আল কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সেগুলো সামনের পর্বে বর্ননা করা হবে ইনশাআল্লাহ ।
বিষয়: বিবিধ
৭২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন