অর্থলোভী সরকারী চাকুরীজীবি স্বামী আর ডাইনি শাশুড়ির "যৌতুক" নামক ঘৃনিত শব্দটা বাদ দিয়ে "জামাই মেয়ে আপ্যায়ন আর মেয়ের ভবিষ্যত এর জন্য ১০লক্ষ টাকা" শব্দের খুব সুন্দর নিখুত ব্যাবহারে নিষ্পাপ এক মেয়ের জীবনে দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতনের কাছে হার মেনে,কলেজ থেকে ফেরার পথে রোড আক্সিডেন্টে না ফেরার দেশে চলে যাবার এক সত্য ঘটনা!
লিখেছেন লিখেছেন রানা হামিদ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:৫৬:০৩ দুপুর
২১শে ফেব্রুয়ারি!! আমার নিজের লাইফের কাহিনিটাই তুলে ধরলাম।আমার একটাই ছোট বোন ছিলো।গত জানুয়ারি মাসের ২৮তারিখ কলেজ থেকে ফেরার পথে নওগা সদর থানার বালুডাংগা বাসস্টান্ড থেকে ৩কিলো উত্তরে দারোগার ইট ভাটার সামনে বুড়ির মোড় ব্রিজে আক্সিডেন্টে ট্রাকের চাপায় মারা যায়।
এই ২১শে ফেব্রুয়ারী দিনটা সত্যিই খুব বেশি আমার জন্য কষ্টকর। গত ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১৬তে আমার ছোট্ট বোন আখির বিয়ে হয় ।সেই বিয়ে দেওয়াটাই আমার জীবনের মস্তবড় একটা ভুল ছিল।সেই দিক থেকে আজকে তার ম্যারেজ ডে।আমার এই লিখাটা একরকমের সচেতনতা মুলকও বটে।কারন আমাদের মত ভুল সিদ্ধান্ত যেন আর কেউ না নেয় ।মানুষ এবং পরিবার চিনতে খুব বেশি ভুল করার খেসারত হিসেবে আমার ফুটফুটে সুন্দর বোনের জীবনটা এই দিন থেকেই মৃত্যুর দিন অবধি লাঞ্চিত ,অপমানিত আর অর্থলোভী স্বামী-শাশুড়ির যন্ত্রনার গ্রাসে টাকা টাকা(১০লক্ষ) করে দিনের পর দিন তাকে মরতে হয়েছে নিজের বিবেকের কাছে।এই ১০লক্ষ টাকা নাকি মেয়ের ভবিষ্যৎ এর জন্য।।শ্বামি একজন বিজিবির কর্মকর্তা নাম মোঃমাহমুদ,বর্তমানে কুষ্টিয়া বিজিবিতে অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত আঁছে। তার বাসা আমাদের পাশের এলাকা কালুপাড়া গ্রাম,বালুভরা পোস্ট,থানা জেলা নওগা।বাবা ডি.কে বজলুর রহমান ও ছিলেন বিজিবির রিয়ার্ড প্রাপ্ত অফিস সহকারী কর্মকর্তা স্বামী প্রতিষ্টিত হয়েও নাকি তার ২৪হাজার বেতনে বঊ চালানো সম্ভবনা!! দুষ্ট লোকের নাকি মিষ্টি ভাষা।যার প্রমান আমার বোনের শাশুড়ি নামক অর্থলোভী একটা অমানুষের।আমার মনে হয় তার মিষ্টিভাষীতে কয়লাও সাদা রং ধারন করতে বাধ্য হবে।একটা মেয়ে বিয়ের পর সে তার বাবা, মা, ভাই-বোন,আত্মিয় স্বজন সব কিছু ত্যাগ করে শশুড়বাড়ি যায়।শশুড়বাড়ির ভালবাসা পেতে পেতে আস্তে আস্তে তার বাবার বাড়ির সব কিছু থেকেও শশুড়বাড়িটাই আপন করে নেয়।এইটাই নিয়তি।কিন্তু আমার বোনের জীবনে ঘটেছে তার বিপরীত!ক্লাস নাইনে পড়ার সময় আমার বোনের শাশুড়ি নিজে এসে আমার বোনকে দেখে পছন্দ করে।তার ছেলের জন্য নাকি এর আগে আরো ৭০-৮০টা মেয়ে দেখেছে।বাট কোন না কোন কারনে পছন্দ হয়না।পরে জানলাম টাকার লোভে!!
বিয়ের দেবার সময় কথা ছিলো SSC পাশ করে তাকে ফুলভাবে নিয়ে যাবে আপাতত আমাদের বাসা থেকে ssc দিবে। এর পর আনুষ্টানিকতা হবার কিছুদিন পর পরিক্ষার জন্য আমাদের বাসায় আসে।। ssc পরিক্ষার পরে তার শশুড় বলে, তাকে নাকি মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করতে হবে।কারন তার বংশে তার পরিবারে নাকি এত কম শিক্ষিত যায়না।তাই এখন আর নিয়ে আসা হবেনা।ছেলেকে পড়াইতে পারলে মেয়েকে পারবেন।আরে ব্যাটা বিয়ে দেবার সময় মনে ছিলোনা সেই কথা?? তোদের ছেলের আগে একবার বিয়ে হয়েছিল সেই বঊটা সেই রাতেই প্রেমিক কে নিয়ে পালিয়ে গেছিল।এর পরেও স্বাদ মেটেনি!! এইভাবে তাকে কলেজে ভর্তি করে দেই।এরি মাঝে তার শাশুড়ির ছোট লোকি মন মানষিকতা শুরু।। শাশুড়ি খারাপ হলেও স্বামী যদি ভাল হয় তাহলে সেই সংসার স্ট্রাগল করে হলেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।কিন্তু যেখানে স্বামি হচ্ছে পুরাই আহাম্মক,মা আর মা।তার কাছে মা ছাড়া অন্য সব....মা রাইট না রং সেটাও তার যায় আসেনা। ইসলামিক বিধানে বিয়ের পর যে যার হক তাকে সেটা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।মা থাকবে মায়ের জায়গায় স্ত্রী থাকবে স্ত্রীর জায়গায়।।আমার বোনকে সেই দিক থেকে তার স্বামি একজন সরকারি চাকুরীজিবী হয়েও মায়ের বুদ্ধিতে প্রতিনিয়ত চলে চলে আমার বোন কে দির্ঘ ২বছরে মনে হয় ২হাজার টাকার জামা কাপড় কসমেটিকস কিংবা ভরণ-পোষন দিয়েছে কিনা সেটা বলতে পারবেনা।যতটুকুই পেয়েছে তার ছোট ননদের কাছ থেকে।কারন তার শশুড়বাড়ির একটা মানুষই আমার দৃষ্টিতে ভাল আর জ্ঞানি সেইটা হলো আমার বোনের ছোট ননদ।।অথচ এমন এক পরিবারে আমার বোনকে বিয়ে দিয়েছিলাম যেই পরিবারের আর্থিকতা কিংবা প্রাচুর্যতা, সেই সাথে ছেলে সরকারি চাকুরিজীবী, ছেলের বাবাও রিটায়ার্ড প্রাপ্ত সব দিক থেকেই বেশ ভাল পরিবার।কে না চায় তার মেয়ের বিয়ে ভাল জায়গায় হোক,একটা ভাল পরিবার পাক!! কিন্তু এই অতিরিক্ত ভাল ভাবাটাই কাল হয়ে গেল। এত ভালোর মাঝেই যে থাকে কুচকুচে কালো তার দৃষ্টান্ত স্বচক্ষে দেখেছি আমি নিজেই।।আর যেই ঘড়ে শাশুড়ি নামক অর্থলোভী থাকে সেই ঘড়ে সুখের ছায়া কখনোই আসবেনা।আমার বাবা বিদেশে থাকার কারনে আমার বোনের বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাকেই সব কিছু করতে হয়েছে।বিয়ের শুরুতে আখির শাশুড়ির ভাষ্য ছিলো আমাদের সব আছে, কোন কিছুর অভাব নেই কোন কিছুর কমতি নেই।ছেলে চাকরি করে,মেয়ে দুইটা কোটি পতি, বাড়ি জায়গা জমি সব আছে।আপনারা শুধু জামাই মেয়ের জন্য দোয়া করবেন আর তাদের কে খুশি করবেন।আপনার মেয়ে আমার মেয়ে হয়ে থাকবে।কিচ্ছু দেওয়া লাগবেনা,এমন কি আমরা চুক্তি ।কিন্তু পরবর্তী কালে সেই মহিলার আচরণ, তার চাওয়া পাওয়া,এক্সপেকটেশন টা অনেক বেশি বাড়তে থাকে,যা আমাদের দেবার মত সীমা লংঘন করে।আপ্যায়ন নামক,জামাই মেয়ে খুশি আর মেয়ের ভবিষ্যৎ নামক ১০লক্ষ টাকার জন্য আমার বোনটাকে তার স্বামি,শশুড় আর শাশুড়ি বাসায় বাসায় আর নিয়ে যায়নি।যৌতুক শব্দ তুলে এত সুন্দর শব্দের ব্যাবহারে কেউ এত পারদর্শী হতে পারে তা এদের না দেখে বুঝবেন না।
আখির বিয়েটা হয়েছে মুলত আখির শাশুড়ির জন্য আর আমার মা এর জন্য।আখির স্বামির আগে একটা বিয়ে হয়েছিল তার আপন চাচাত বোনের সাথে জাস্ট ৬কাঠা জমির লোভে।বাট মেয়েটার আফেয়ার ছিলো তাই বিয়ের পরের দিন মেয়েটা তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়।এর পর ৬০-৭০টা মেয়ে দেখেছে।পছন্দ হয়না,ঘটক এসে প্রস্তাব দেয় সব খুলে বলে।তখন আমরা রাজি ছিলাম না।বাট ঘটকের কথা বিয়ে দেন বা না দেন জাস্ট ছেলের বাসায় গিয়ে ছেলে সম্পর্কে জেনে এসে যদি মনে হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নিয়েন।আর বউটা চলে গেছে তার প্রেমিকের সাথে।এই ভাবে একদিন আম্মু তাদের বাসায় যায়।আমার পাশের এলাকার।তাদের স্টাটাস, বাসার গঠন,ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড সত্যকার ভাবেই আমাদের থেকে অনেক উচু।বাট আখির শাশুড়ির কথা বার্তায় আম্মু হ্যা/না কোন উত্তর দেয়নি।বিকেলেই আম্মু ব্যাক হয়ে আসতেই একটু পরে দেখে ছেলের মা ঘটক কে নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির।এসে চারেদিক দেখে শুনে আখিকে দেখে কথা বলে পছন্দ করে।এবং হাত ধরে একটা অনুরোধ করে।তার অনুরোধ ছিলো অনেকটা ছিনিয়ে নেওয়া।আখির হাত ধরে আখির শাশুড়ি বলে,মা তোমার হাত ধরে বলছি তোমাকে একটা জিনিস মেনে নিতেই হবে।আমার অনুরোধ তোমাকে রাখাই লাগবে।পিচ্চি মেয়ে না বুঝেই বলে আচ্ছা রাখব বলেন কি হয়েছে।দেন আখিকে বলে তার ছেলে খুব ভাল,খুব সুন্দর সব পারফেক্ট শুধু একটাই সমস্যা। আর এই সমস্যা তার জন্য না।আখি বলে কি হয়েছে বলেন।দেন আখির শাশুড়ি বলে,আমার ছেলেকে আমার ভাস্তির সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম।মেয়েটার প্রেমিকের সাথে চলে গেছে।মেয়েটাকে আমার ছেলে ছুয়েও দেখেনি মা।তুমি আমার মেয়ে হয়ে আমার বাসায় থাকবে।আমি অনেক মেয়ে দেখেছি তোমার মত মেয়ে পাইনি।তুমি রাজি হও মা।আমার কিচ্ছু লাগবেনা।শুধু তুমি আমার মেয়ে হও।।আখির এই হ্যা শব্দটা তার জন্য অনেক বেদনার।ইভেন ছেলেকে না দেখেই মোবাইলে ভিডিও কলে ঠিক এই সময়ে বিয়ে হয়।।বিয়ে হবার আগে আমরা বসেছিলাম।তাদের কথা কোন কিচ্ছু নিবোনা আমরা।আমাদের সব আছে।কি দিবেন তার সব টা আছে।।আমি বললাম তাহলে ছেলেকে একটা মটরসাইকেল দেই উনাদের কথা সেটাও আছে।।খাট ফ্রিজ কিছুই লাগবেনা।এর পর আমরা বললাম তাহলে ঠিক আছে আমরা মেয়েকে ৬ভরি সোনা দিবো।উনারা আমার বাবার সাথে ভিডীও কলে কথা বললেলন।বাবাও বললেন আপনারা অনেক বড়লোক, আমরা আপনাদের মত না।বাট আখির শশুর শাশুড়ির কথা আমরা মেয়ে চাই।আর কিছুনা।এর পর বিয়ে হয় মোবাইলে ভিডিও কলে।এর পর ৩মাসের মধ্য আখির ননদেরা আনুষ্টানিক ভাবে আখিকে ঊঠে নিয়ে যায়।তখন আমাদের দেওয়া গহনা ছিলো ৪ভরি আব্বু সৌদি আরব থেকে এনেছিল।আর ওইসময় আমরা প্রস্তুত ছিলাম না মেয়েকে ঊঠে দেবার।বাট উনাদের কথা আমাদের বঊকে আমরা নিয়ে আসব।।এই নিয়ে যাবার পর কিছুদিন পর থেকেই শুরু হলো এইটা দায়নি,অইটা দায়নি।।আরে বাবা আমার বাবা এখনো বিদেশে আছেন উনি আসলে আমার বোনকে আনুষ্টানিক ভাবে তুলে দেবার কথা সেটাও উনারা শুনেননি। আমাকে একা সব হ্যান্ডেলিং করতে হয়েছে।তারপরেও বলেছিলাম আব্বু আসুক যা যা লাগবে সব দিবো।আমাদের একটাই মেয়ে একটাই বোন।।।বাট তার লোভি শাশুড়ির কোন কিছুতেই মন জয় হয়না।কেউ তার মেয়ের বাড়ি গেলে খালি হাতে যাবে?? আমরা আমাদের বেস্ট দিয়ে কিছু নিয়ে গেলেও তাদের মন ভরেনা।বাট তারা আমাদের বাসায় আসত একে বারে খালি হাতে।কোন বিস্কুটের প্যাকেট নিয়েওনা।ইভেন মাহমুদ যে জামাই সেও একে বারে খালি হাতে আসবে।আবার যাবার সময় জামাই হিসেবে যা যা দরকার প্যান্ট শার্ট জুতা ইভেন পকেটে ৫হাজার কি ৪হাজার কি যাওয়া আসা বাবদ ভাড়া দিতাম।এতেও তার পছন্দ হয়না।তাকে টাকার বান্ডিল দিতে হবে।।এই ভাবে করতে করতে ssc এক্সাম এর জন্য আমার বাসায় তাকে পাঠানো হলো।এক্সাম শেষ করে নিয়ে যাবার কথা থাকলেও পরে তাদের সুর পালটিয়ে গিয়ে বলে মাস্টার্স পাস করুক।আমার মাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে ১০লাখ টাকা দেবার কথা বলে।আম্মা তবুও ৫লাখ টাকা দিতে রাজি হয়েছিল এতেও মন ভরেনি।এর পর থেকেই শুরু হয় মানসিক টর্চারিং।।প্রতিদিন প্রতিরাতে মাহমুদ আমার নিরপরাধ বোনটাকে টাকা টাকা করে শেষ করে দিত।।ঈদেও আখিকে নিয়ে যেত না।পরে জানলাম আমার মায়ের নাকি ভুলে এই শাস্তি আখিকে দিচ্ছে।কুত্তার বাচ্চাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন রয়েই গেছে তা হলো,আমার বোন কি দোষ করেছিল তোদের কাছে??? তাকে কেন তোরা এইভাবে নির্যাতন করে দিনের পর দিন মেরে ফেললি?? ইভেন আখির ননদ কোন দামি জামা গিফট করলে তার শাশুড়ি আমার বাবা মাকে তুলে কথা শুনাতো।ঢাকায় ননদের বাসায় গিয়ে দামি ভাল খাবার খেলে সেটারো কথা শুনাতো বাবা মা ভাইকে তুলে।।আখির শশুড়বারির একটা জামা নেই তার কাছে।তাকে যেটাই দিয়েছে বা যাই আছে সব টা তার ননদ ববির দেওয়া।ববিকে আখি এবং দুজন দুজনকেই খুব ভালবাসে।ববি আপু আখি মাহমুদকে নিয়ে ফুল ফ্যামিলি নিয়ে কক্সবাজার গেছে বিমানে চড়ে।ফুল খরচ ববির।প্লেনে চড়া থেকে হোটেলের খাবার পর্যন্ত আখিকে তার শাশুড়ি প্রতিনিয়ত সবার সামনে অপমান করেছে।ছোট লোকের জাত বলেছে।এর প্রতিবাদ আখির ননদ করেছে।বাট অই জানোয়ার স্বামী মাহমুদ করেনি।।হোটেলে দামি খাট অনেক ভাড়া আমার বাবা কখনো কি পারত এইসবে আনতে এইভাবে কথার খোটা শুনতে শুনতে রাগ করে আমার বোন ৪তালা থেকে নেমে বেলকুনি গেছে।এইটার জন্য অই কুত্তার বাচ্চা মাহমুদ আমাকে কল দিয়ে খুব বাজে গালিগালাজ করেছে।তার জঘন্য মা অনেক অপমান করেছে সব সহ্য করেছে আমার বোন।। কিছুদিন আগে আখি তার শশুরের সাথে ফোনে কথা বলেছে তার জন্য উমরা হজের টিকেট ছিড়ে ফেলেছে তার শাশুড়ি।।।অথচ এই শাশুড়িই ৮০টা মেয়ে দেখার পর আমার বোন কে চয়েস করে বিয়ে দিয়ে নিয়ে যায়।পরে সেই আর তাকে সহ্য করতে পারেনা।এর কারন আমার ছাদের বাসা,আমার বাবা বিদেশ থাকে,আমি প্রাইভেট বিস্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স করছি,আমার একটাই বোন,আমাদের অনেক টাকা আছে,সব টা তো জামাইয়ের হবে।।পরে যখন দেখে আমরা মধ্যবিত্ত তখন থেকেই আখির উপর টর্চারিং।তার ছেলে এখনো বউ রেখেও দুইটা রিলেশন করে এইটা তার মা নিজেও জানে।তার মায়ের কথা ছেলে মানুষ সব পারে মেয়েরা পারেনা।এলাকার এমন কেউ নেই তাদের কে ভাল বলে।আমরা বিয়ে দিয়েছিলাম ছেলে ভাল জেনে।ছেলে প্রতিষ্টিত সরকারি জব করে।বাট সেই ছেলে মা ছাড়া বউয়ের কাছেও আসেনা এইটা জানতাম না। আজ আমার বলতে দ্বিধা নেই।কারন আমার আখি নেই।।ইভেন আমি তাদের বাসায় গেছি তার মা আমাকেও অনেক বাজে ভাষায় গালি দিয়েছে।যেটা সবাই দেখেছে কেউ কিচ্ছু বলেনি।কারন ২তালা ফ্ল্যাট বাসা আর ৩০লক্ষ টাকা অই মহিলার নামে আছে এই ভয়ে কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারেনা।আসলে এখন বলতে বাধ্য হতে হচ্ছে জন্ম নিচুজাতে হলে হঠ্যাৎ করে বড়লোক হলে মন মানসিকতা যে নিচুই থাকে সেই রকম।আমাদের দিক থেকে বেস্ট দিয়ে কিছু দিলে নিয়ে গেলেও তার চোখে অতি নগন্য।।তাই আমাদের উপর প্রতিষোধ নিতে আমার বোনের উপর মানসিক ভাবে টর্চারিং করত।কোন ঈদ বা প্রোগামে আমার বোন কে শশুরবাড়ি নিয়ে গেলে এমন জঘন্য ভাষা +আচরন তার শাশুড়ি ব্যাবহার করে যার জন্য আমার বোন নিরবে নিরবে কেদেছে।এমনকি গত কুরবানীতে বড় ছেলের বঊ হিসেবেও আমার বোন কে নিয়ে যায়নি। অথচ স্বামি পুরাই হাবাল,বলদ।ইভেন ননদের দেওয়া একটা লাল বিয়ের শাড়িটাও তার শাশুড়ি আটকিয়ে দিয়েছে।কারন ওইটা অনেক দামি তাই!আমার বোনটা যে কয়দিনই সংসার করেছে পেট ভরে খেতেও পারেনি।খেতে লাগলেও তার শাশুড়ি আমাদের পরিবার নিয়ে কথা শুনাতো।বড় মাছ বা কোন ভাল খাবার হলে খেতে বসলে অকথ্য ভাষায় বাবা মা তুলে সেই খাবারের খোটা দিতো।সেই খাবার কি আর ঢোকে!! শুধু গিলা টাই হতো।।আমার ভগ্নিপতীর মত জানোয়ার আমি দুইটা দেখিনি।যে প্রতিদিন ২-৩ঘন্টা ফোনে কথা বলবে, আর সব কথাই টাকা আর টাকাকে ঘিড়ে।।১০লক্ষ টাকা ছাড়া আমার বোন কে কোনদিন নিয়ে যাবেনা।এইটাকা নাকি তার ভবিষ্যৎ! তার চাকরির বেতনে নাকি হবেনা।৫বছর ধরে চাকরি করে ৫টাকা পুজি করতে পারেনি।আমার বোনকে বিয়ে করার পর আখির কথা শুনে একাউন্টে কিছু জমাইছে।প্রতিনিয়ত আখিকে কথা শোনাতো তার নাকি যোগ্য আমার বোন না।তার সাথে নাকি কত্ত মেয়ের বিয়ে ঠিক হতো,কেউ ১০লাখ কেউ ১৫লাখ দিতে চেয়েছিল। একটা মেয়ের সাথে নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছিল তার মা তাকে ৩০লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল।পরে জানলাম মেয়েটার অন্য জায়গায় বিয়ে হবার ৫মাস পর তার প্রেমিকের সাথে চলে গেছে।।। আপন চাচাত বোনকে ৬কাঠা জমির লোভে বিয়ে করেছিল,বিয়ের পরের দিন মেয়েটাই প্রেমিকের সাথে উধাও।। এই রকম অর্থলোভী পরিবারে আমার ইনোসেন্ট বোনটা কে প্রতিনিয়ত মরতে হয়েছে।।আমার বোন তার শশুরের সাথে ফোনে কথা বলা তার শাশুড়ি মেনে নিতোনা।গত তিনমাস আগে তার শশুড় শাশুড়ি আর ননদ উমরা করতে যাবে।ফ্লাইট ১২টা দিকে মে বি।আমার বোন তার শশুরকে কল দিয়ে খোজ খবর জানতেছে বাবা ফ্লাইট কখন ভাল ভাবে যাবেন ইত্যাদি।।পাশ থেকে ওই ডাইনি শাশুড়ি বুঝতে পেরেছে আমার বোন কথা বলেছে,তাই জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করেই শুধু খ্রান্ত হননি।হজে যাবার টিকেট ছিড়ে ফেলে।।এমন ফালতু বেয়াদব শাশুড়ি ইতিহাসে ২টা নেই।। এত কিছুর পরেও আমি প্রতিবাদ করতে চাইলে বা মানুষ দের জানাতে চাইলেও আমার লক্ষি বোন কখনো কাউকে কিচ্ছু বলতে দেয়নি।তার ফালতু স্বামির নামেও কোন প্রতিবাদ করতে দেয়নি কারন আমার বোন তার স্বামিকে খুব ভালবাসত।।আমার বোন মারা যাবার পর তার শাশুড়িকে আমার বোনের শেষ মরদেহ আমার এলাকার মানুষ দেখাতে দেয়নি।কারন আমার বোনের শাশুড়ি জোড় গলায় বলেছিল ১০লক্ষ টাকা ছাড়া সে তার ছেলের বউকে ঘড়ে তুলবেনা।প্রয়োজনে আবার বিয়ে দিবে। ইভেন একটা পাষন্ড জানোয়ারের থেকেও আমার ভগ্নিপতি বেয়াদব একটা ছেলে।কারন আমার বোনকে তো বেচে থাকতেই কিছু দেয়নি,বউ হিসেবে কোন অধিকারই দেয়নি কিন্তু আমার বোনটা মারা যাবার পর একটা রাত তার মৃত্য দেহের খাটিয়ার পাশে পর্যন্ত অই হারামি থাকেনি।মায়ের ফোন পেয়ে আর তার ছোট ভাই এসে তাকে রাত ১১টায় নিয়ে যায়।এর পর জানাজার টাইমে আসে।।এর পর আমাদের বাসায় এসে আমার মাকেও সান্তনা দেবার দুরের কথা তার বাড়ির কাজ নিয়েই সে ব্যাস্ত।তার বাবা মেয়ের ব্যাবসা দেখাশুনার জন্য জানাজা করেই ঢাকাই উধাও।সেই সাথে আমার বোনের কপাল এতটাই ভালো যে,তার শশুর বলতেও সাহস ও পায়নি আখির মরদেহ তাদের গোরস্থানে রাখা হোক।আমার বোনকে আমার পারিবারিক গোরস্থানে শায়িত করে রাখলেও আমার বুকে আছে সে। আমি আমার বোনের স্বামিকে তাকে বলেছিলাম,ভাই আমার বোন বেচে থাকতে আপনি বা আপনার পরিবার কোন ভাবেই তাকে দেখেন নি,তার কোন অধিকার দেননি।ইভেন তার দেনমোহর এর ১লক্ষ টাকাও পরিশোধ করেন নি সেই সাথে আপনারা যে অবিচার তার উপর করেছেন তার মাফ টাও চাওয়ার সুযোগ পাননি এখন আমার এলাকার+আত্মীয়স্বজন মোটামুটি মানুষ হবে তাদের কে মিলাদের এবং সাদা কাপড়ের টাকার কি করব আমি দিব?? যদিও ইসলামিক ভাবে আমার বোন আপনার স্ত্রি।।তার সব সিদ্ধান্ত আপনারই। তখন আমার ভগ্নিপতি বলে ভাই আর লজ্জা দিবেনা।বেচে থাকতে কিছু করতে পারিনি অন্তত এই সময়ের এই টুকু করার সুযোগ টা দেন।তাই উনি বাকিটা করেন বাট নিজে ছিলেন না।সব টা আমাকে আমার পরিবার কে করতে হয়েছে।উনি উনার জমি নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন।ইভেন আমি আমার ভগ্নিপতীর সাথে কোন দিন উচ্চ স্বরে কথা বলিনি।বাট শুক্রবার মিলাদের দিন বলতে বাধ্য হয়েছিলাম।আমার বাবা ইমার্জেন্সি ভাবে বিদেশ থেকে ছুটি নিয়ে আসেসে নিজের টিকেটে।আমার ভগ্নিপতিকে আমি কল দিয়ে বললাম ভাই,কালকে শুক্রবার।আখির মিলাদের দিন।ফজরের নামাজ পড়ে আপনি চলে আসবেন।আমি আব্বু আর আপনি একসাথে কবর জিয়ারত করব।আমাকে অই হারামজাদা কথা দিলো।বাট আসলো ৯:৩০এর দিকে।এসে বাসায় ঢুকে নাস্তা করেই কাহিনি শুরু করল,, আমার মা নাকি সব দায়ী!! ভাগ্য ভালো আমি তার গায়ে হাত তুলিনি।কারন সে আমার বোনের সাথে যা করেছে তার জন্য বোন বেচে থাকতে আমি প্রতিবাদ করতে পারিনি কারন আমার বোন কথা দিয়ে নিছিলো। এই ম্যারেজ ডেতে তার জন্য অনেক কিছু প্লান করেছিলাম,সুন্দর একটা স্পেশাল গিফট করব বলেও ভেবেছিলাম।বাট কে জানত এইবারের ২১শে ফেব্রুয়ারি টা........ আখি বোন আমার অনেক ভাল থাকিস। ২৮শে জানুয়ারি আর ২১শে ফেব্রুয়ারি এই দুইটা দিন জিবনের কালো দিন হয়ে থাকবে।। ক্ষমা করে দিস বোন... ভুল সময়ে ভুল মানুষের সাথে, ভুলে ভরা একটা অসুস্থ অর্থলোভী পরিবারে তোকে বিয়ে দিয়েছিলাম।তবে সেই ভুল মানুষ বিশেষ করে তোর শাশুড়ি আর তোর স্বামীর এমন করুন পরিনতী আল্লাহ যেন করে সেই সাথে সেই পরিবারের যারা যারা তোর উপর অবিচার করেছে,তোর অধিকার থেকে তোকে বঞ্চিত করেছে তাদের প্রাপ্য শাস্তি এমন ভাবে যেন আল্লাহ দেয় যেটা দেখে আরো শত শত মানুষের শিক্ষা হয়।অর্থলোভী এই মানুষ সমাজচক্ষুর আড়ালে যৌতুক শব্দ টা বাদ দিয়ে আপ্যায়ন/জামাই মেয়ের ভবিষ্যৎ শব্দের ব্যাবহার খুব নৈপুণ্য ভাবে নিয়ে এসেছে।আমার বোন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের মাঝেই মৃত্যু বরণ করেনি।সে প্রতিটাদিন প্রতিটামহুরতো মধ্যবিত্ত পরিবারের হবার জন্য লাঞ্চিত হয়ে অপমানিত হয়ে ১০লক্ষ টাকা করে করে মৃত্যুবরণ করেছে, তার স্বামীর থেকে তার শাশুড়ি থেকে তার দেবরের থেকে।এদের কঠিনতম বিচারের অপেক্ষা রইলাম অই নিরব স্রষ্টার কাছে।এদের করুন পরিনতী দেখে মানুষ যেন হায় হায় শব্দটা করে।।এদের বিচার হবেই হবেই।।আমার বোন বেচে থাকলে হয়তো আজকেও নিরব থাকতো এবং আমাদের কেও নিরবে রাখতো কিন্তু এই সব জানোয়ার অর্থলোভী পরিবারের কবলে আর কোন নিষ্পাপ পরিবার যেন না পরে এইটাই প্রার্থনা করি।
আমার বোন টা যে এতটাই ইসলামিক ভাবে জীবন যাপন করত আর এতটাই ধর্য্যশীল যা বর্তমান সময়ের মেয়েদের সাথে তুলনা করার মত না।নিজে সব সময় পর্দার সহিত চলত কুরআন এবং সুন্নাহের সহিত সব সময় চলার চেষ্টা করত।তার ভালবাসার মুল্য তার অর্থলোভী শশুর বাড়ির লোক জন দিতে পারেনি।তার জানাযায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম আর উপস্থিতি প্রমান করেছে এত অল্প বয়সের একটা মানুষ কিভাবে এত মানুষের ভালবাসা জয় করতে পারে।।কলেজে তার অকাল মৃত্যুর জন্য শোক পালন করে মানব বন্ধন করেছে,পত্রিকায় তার ছবি সহ সংবাদ এসেছে।সবার মুখেই একটাই কথা আল্লাহ আখিকে শহীদদের সাথে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক।আল্লাহর নবীর কথা অনুযায়ী আমার বোনের শহীদের মৃত্যু হয়েছে।আমি মন থেকে দোয়া করি আমার বোনটা অনেক ভাল থাকুক।আর কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি হোক তার জুলুম শশুড়বাড়ির প্রতিটা মানুষের।
(আর্থিকদিক থেকে কিংবা সামাজিক ভাবে অনেক উঁচু, অর্থবিত্ত,বিলাসবহুল বাড়ি দেখে সেই সাথে ছেলে প্রতিষ্টিত চাকুরি জীবি এমন টা শুধু দেখেই কেউ কখনো কোন মেয়েকে বিয়ে দিয়েন না।।মানুষ হিসেবে কতটা ভাল সেটাই মুল কথা।)
বিষয়: বিবিধ
২২৪৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দ্বিতীয়ত তারা যখন হারাম যৌতুকের দিকে ইংগিত করেছে তখনই উচিৎ ছিল তাদের সাথে সম্পর্ক ছন্ন করা।
যে মেয়েটা এতটা ইসলাম পরিপালন করে তাকে কিভাবে এক্তা যৌতুক লোভি ছেলের কাছে বিবাহ দিলেন?
সে নামায পড়ে কিনা? ইসলামের মৌলিক নিয়ম মানে কি না সে দিকে একটুও লক্ষ্য না কের এমনকি তাকে ফিজিকালী না দেখেই বিয়ে দিয়ে দেয়াটা ছিল মারাত্বক ভুল।
এমন হারামির গোষ্ঠিকে কেন জানাযায় শরিক হতে দিলেন?
আল্লাহ আপনাদেরকে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দিন আর আপনার মরহুমা বোনকে জান্নাত নসিব করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন