নারীর সামগ্রিক অবস্থার উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ
লিখেছেন লিখেছেন নুর হুসাইন ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০১:১১:১০ দুপুর
বেশ কিছু সিনিয়র নারী শিক্ষাবিদের সাথে আমার আলোচনা হয়েছে- যাদের সবাই বিভিন্ন বিষয়ে পিএইচডি করেছেন এবং তাদের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাকিরা সহযোগী অধ্যাপক। তারা আমাকে জানালেন, নারীদের সার্বিক অবস্থা সন্তোষজনক নয়। বিশেষ করে মুসলিম নারীদের অবস্থা। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের শিক্ষায় গুরুত্ব কম দেয়া হয়। ছেলেরা শিক্ষা কমবেশি পায়, উচ্চ শিক্ষা নিতে পারে; কিন্তু মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় এবং বিয়ে দেয়ার পর তারা আর পড়তে পারে না। ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ মেয়ের ক্ষেত্রে বিয়ের পরে তাদের আর পড়ার সুযোগ থাকে না। ফলে বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, মুসলিম নারী সমাজে তার যে দায়িত্ব পালন করার কথা, সেটা তারা করতে পারছেন না। মানুষ যে আল্লাহর খলিফা, মুসলিম নারীও যে আল্লাহর খলিফা ও একই রকম খলিফা এবং পুরুষের মতোই খলিফা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গেলে যা লাগে সেটা হচ্ছে তার শিক্ষা। খলিফার দায়িত্ব কখনোই পালন করা যাবে না, যদি তিনি পর্যাপ্ত শিক্ষা না পান।
আমাদের সমাজে, মুসলিম সমাজে, এমনকি সারা দুনিয়ার বেশির ভাগ জায়গায় বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে (কোথাও বেশি, কোথাও কম) নারীরা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন না। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারছেন না। এ প্রসঙ্গে তারা আমার বক্তব্য জানতে চেয়েছেন। সেখানে আমি যা বলেছিলাম-
গত পঞ্চাশ বছরে যে উন্নতি হয়েছে, সেটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সেই উন্নতি হলোÑ এখন তাত্ত্বিকভাবে এটা মেনে নেয়া হয়েছে যে, নারীর অধিকার আর পুরুষের অধিকার প্রায় এক। ‘প্রায় এক’ বললাম এ কারণে যে, তারা যেকোনো চাকরিতে যেতে পারেন। এখন খুব বড় আলেমও বলবেন না যে, মেয়েরা চাকরিতে যেতে পারে না এবং তারা এ কথাও বলবেন না যে, তারা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতে পারে না।
আজকে এটা স্বীকৃত হয়ে গেছে যে, নারীরা রাজনৈতিক নেতৃত্বে যেতে পারেন, তারা সংসদ সদস্য হতে পারেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও হতে পারেন, তারা দলের নেত্রী হতে পারেন; যেমন- মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি নবাগত আজিজাহ হচ্ছেন দলের নেত্রী এবং একই সাথে উপ-প্রধানমন্ত্রী।
বিষয়: বিবিধ
৪৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন