রাশেদের বাবাকে ছাত্রলীগ সভাপতির ফোন, ‘আপনার ছেলেকে গুম করে ফেলব’
লিখেছেন লিখেছেন নুর হুসাইন ০৮ জুলাই, ২০১৮, ০২:৩২:২৪ দুপুর
কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে গ্রেফতারের আগের দিন তাকে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই দিন রাশেদের বাবাকে ফোন করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেছিলেন, ‘আপনার ছেলেকে গুম করে ফেলা হবে।’শনিবার বিকালে রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন রাশেদের বাবা নবাই বিশ্বাস। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসগুলোতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অতি দ্রæত গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও রিমান্ডে নির্যাতন বন্ধ, সরকারকে ছাত্রলীগের হামলায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দাবি জানানো হয়। কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়।‘সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও গুমের প্রতিবাদে নির্যাতিত পরিবারের পক্ষে’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাশেদের মা ছালেহা বেগম, রাশেদের স্ত্রী রাবেয়া আলো, বোসংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ। নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটি না করে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে করছেন বলেও জানান তারা।এ সময় রাশেদের বাবা নবাই বিশ্বাস বলেন, ‘রাশেদকে গ্রেফতারের আগের দিন ঝিনাইদহ ছাত্রলীগের সভাপতি রানা আমার মোবাইল নম্বরের জন্য কয়েকজনকে আমাদের বাড়িতে পাঠায়। এরপর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ আমার মোবাইলে ফোন দেয়। ফোনে আমাকে বলে- আপনি কেমন সন্তান জš§ দিয়েছেন, সে তো একটা কুলাঙ্গার। ছেলেকে এসব থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন, না হলে গুম করে দেয়া হবে।’মোবাইলে হুমকির পর বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরপর আবার ১০ জন কর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমার ঘাড় ধরে হুমকি দিয়ে যায়। পরদিন আমার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়।’তবে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহান সোহগের কাছে পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি তা অস্বীকার করেন।রাশেদের বাবা বলেন, ‘আমরা ছেলের খোঁজে শাহবাগ থানায় গেলে আমাদের দেখে তারা হাসেন। আমরা এখন পর্যন্ত রাশেদের সঙ্গে দেখা করতে পারি নাই। কোথায় আছে, কী অবস্থায় আছে, আমরা কিছুই জানি না। অনেকেই বলে, আমি নাকি জামায়াত-শিবিরের লোক, আমি নাকি রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ৬ মাস। আমি একজন সাধারণ দিনমজুর, কাজ করে খাই। আমার এবং আমার পরিবারের কোনো নিরাপত্তা নেই, আমরা নিরাপত্তা চাই।’
বিষয়: বিবিধ
৫০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন