"এতো কিপটেমি, কাউন্টামি করে রাজনীতি হয়না"

লিখেছেন লিখেছেন নির্ভেজাল দেশপ্রেমিক ২০ জানুয়ারি, ২০১৮, ০১:০৪:৪৬ দুপুর

বই পুস্তকে পড়েছি সততা একটি মহৎ গুন, তবে আমার মতে “সততা” শুধুমাত্র একটি মহৎ গুনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারেনা। সততা একটি অমূল সম্পদ। এই সম্পদ সৃষ্টিকর্তা সবাইকে দেননা। সততা নামক এই সম্পদের যোগ্য সবাই হতে পারেনা। কত বড় কলিজা থাকলে মানুষ অকপটে নিজের ভাতিজার কথা স্বীকার করতে পারে আমার জানা নাই। তাও একজন রাজনীতিবিদের মূখে। আজকের এই যুগে যেখানে রাজনীতিবিদরা ভিডিও ফুটেজকে অস্বীকার করে সেখানে এমন সোজা সাপটা সরল বক্তব্য বিশ্বাস করা বেশ দূরহ ব্যাপার। আমি একবার নয় দুইবার নয় তিন তিন বার আজাদ ভাইয়ের Shubho Protidin। শুভ প্রতিদিন পত্রিকার মূখামূখি সাক্ষাৎকার পড়েছি। চোখ কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এই যুগে এও কি সম্ভব যে একজন রাজনীতিবিদ ক্ষমতা আদিপত্য সবকিছু থাকার পরও নিজের পুত্র সমতুল্য ভাতিজাকে সেইভ না করে উল্টো তার অপরাদের কথা স্বীকার করে শাস্তি দাবী করছেন। এর জন্যই বলি রাজনীতি করলে আজাদ ভাইয়ের মতো করো, নোংরা রাজনীতি করে নিজের ধ্বংস ডেকে আনা ছাড়া আর কিছু হবেনা। কাউকে ধ্বংস করার হীন ষড়যন্ত্র না করে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করো।

আজ একটি কথা না বলে পারছিনা, মামলায় জড়িয়ে যাওয়ার পর আমার এক বন্ধু আমাকে এসএমএস করে বলেছিলো, তেল মারতে গিয়ে বিপদে পড়েছো। এখন সামলাও। তখন থেকে আমার খুব লজ্জা হচ্ছে, নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছে যে আমারও ঐরকম বন্ধু আছে। থু!!! ঐ রকম বন্ধু বান্ধব আমার দরকার নাই, আমি একাই যথেষ্ট ইনশা আল্লাহ। যারা সাদাকে সাদা বললে তেল বলে এরা আর যাইহোক সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ না, এরা হিংসুক, নিকৃষ্ট প্রকৃতির লোক। আমাদের কিচ্ছু করতে হবেনা নিজেরােই নিজের হিংসার আগুনে পুড়ে ছারখার হবে।

তারাই প্রকৃত দালাল যারা আমাদের দালাল বলার চেষ্টা করে। আমরা দালালি করলেও হালাল উপায়ে করি, খাড়া বেঈমানী করিনা। গত এক সাপ্তাহ রিচার্জ করে এইটুকু বুঝতে পেরেছি, যে ২৯ জনকে মামলায় ঢুকানো হয়েছে তাদের মধ্যে ২৮ জনকেই ঢুকানো হয়েছে শুধুমাত্র আজাদ ভাইকে নিয়ে লেখার জন্যে, লাইক শেয়ার করার জন্যে। যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে এক এক করে তাদের প্রোফাইল ঘুরে আসতে পারেন। এতো জেলাসী করে রাজনীতি হয়না। আমাকে বলা হলো উসকানি দাতা। কই মামলার এজহারে তো এমন কিছু লেখা দেখলাম না। আমি তো নব্য লেখক না, আমার লেখায় যদি এতো যন্ত্রনা মনে জাগে তাহলে এর আগে কেন মামলায় ঢুকাওনি। এই জ্বালার প্রকৃতি কারণ অনেক আগেই বুঝেছি, বলবো বলবো করে বলা হয়নি। এখনো সময় আছে নোংরামী পরিহার করে সুস্থ রাজনীতি চর্চা করুন। যাদের সন্তান মরছে তারাও জানে তিন চার জন মিলে তাদের সন্তানকে মারা হইছে আর আপনারা ২৮ টি পরিবারকে দিলেন বাঁশ। আমাদের খামোখা হয়রানি করে আমাদের পরিবারের অভিশাপ নিচ্ছেন। মানুষকে সামাজিকভাবে হেয় করার মন মানসিকতা দূর করুন দয়া করে। বিষধর সাপের মতো একটার পর একটা দংশন মারতে পারবেন কিন্তু ধ্বংস করা এতো সহজ না। উল্টো আপনাদের লেজ কাটা পড়বে।

বিষয়: রাজনীতি

৪৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File