মৃত্যুর পর আমাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিবেন না! ইউএনওর কাছে মুক্তিযোদ্ধার চিঠি
লিখেছেন লিখেছেন ইমরান আশরাফ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৬:৪২:১৯ সন্ধ্যা
আজ প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্টায় নিউজটি পড়ে শুধু কষ্ট লাগেনি অনেক আক্ষেপ লাগে।দেশমাতৃকার টানে সম্মুখযুদ্ধে লড়েছেন।একাত্তরের রণাঙ্গনের এই বীর সেনানীর বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায়।পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধি।তবে সেই বীর উপাধি এখন আর চান না।চান না মৃত্যুর পর দাফনের সময় রাষ্ট্রীয় মর্যাদাও।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর চিঠি দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন।
তিনি বলেন প্রকৃত একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেকের তাড়না আছে।অনেক ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বীর উপাধি পেয়ে আছেন।এর প্রতিবাদস্বরূপ তিনি "বীর" উপাধি বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন একজন সাধারন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাচতে চান।কারণ,ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারাও তো দাফনের সময় একই মর্যাদা পান।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বয়োবৃদ্ধ। অনেক মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছে।অনেক মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষাবৃত্তি করছে।তারা পাচ্ছেনা মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননা কিংবা ভাতা।দিনে দিনে তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।বাড়ছে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা।
চিঠিতে তিনি আরো বলেন,স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সঠিক তালিকা হয়নি।ভবিষ্যতে হবে এমন বিশ্বাসও নেই।কারণ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা ঠেকাতে সারা দেশ থেকে দরখাস্ত গেছে।কিন্তু কোনো কাজে আসেনি।এর মূলে রয়েছে অনেক অনেক মোটা টাকার লেনদেন।
সত্যি খুব দুঃখজনক।মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে যে অশুভ খেলা শুরু হয়েছে তার সূরাহা হওয়া অতীব জরুরী।প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে তাদের সম্মাননা ও ভাতা প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি।অন্যদিকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার এমন অভিব্যপ্তি আর শুনতে চাইনা।
বিষয়: বিবিধ
৬৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন