মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন
লিখেছেন লিখেছেন রাজ্যহীন সম্রাট ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৯:৩৮:০১ সকাল
অত্যাচারীদের কোন ধর্ম নেই, তাদের নিকট ধর্ম একটি বাহানা মাত্র, ধর্মের দোহাই দিয়ে এক শ্রেণীর জনশক্তিকে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তারের সার্থে ব্যবহার করাই অত্যাচারীদের মেইন উদ্দেশ্য৷
গেল নির্বাচনে আমেরিকান বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচন কে সামনে রেখে ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন এবং সফলও হয়েছেন৷
ভারতে বিধান সভা/ রাজ্য সভার নির্বাচন গুলির অবস্থাও একই রকম, ধর্মের দোহাই দিয়ে ধর্মীয় সম্প্রদায়ীক শক্তির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আবিষ্কার করতে স্বার্থক হন৷
বাংলাদেশের বেলায়ও পরিস্থিতি এর ব্যতিক্রম নয়, ক্ষমতা লিপ্সুরা নির্বাচনের সময় বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা এবং ধর্মীয় স্থান সমুহে চক্কর লাগান বেশী, কেহ কেহ ওমরা পালন করে জাতীর সামনে সুফি সাজেন৷
বার্মার পরিস্থিতিও এর ব্যতিক্রম নয়, ন্যাড়া অধ্যুষিত এই মুলুকটিতে যুগ যুগ ধরে ক্ষমতাশীনরা ন্যাড়াদেরকে ব্যবহার করে আসতেছে দুর্বল জনগোষ্ঠি মুসলমানদের বিরুদ্ধে, ফলে কিছুদিন পরপর এই ন্যাড়া সম্প্রদায় নীরিহ মুসলিম জনগোষ্ঠির উপর পৃথীবির নৃশংস এবং বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসতেছে৷
এমন পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় হয়ে তাদের পাশে দাড়িয়ে বিভিন্ন সহযোগিতা মুলক কাজে নিজেকে শরিক করা৷
স্বাধীনতার যুদ্ধে প্রতিবেশী রাস্ট্র ভারত বাংলাদেশীদেরকে শুধু আশ্রয় দেয়নি, বরং হাতিয়ার এবং যুদ্ধের কলা কৌশলের প্রশিক্ষনও দিয়েছিল, তাহলে মায়ানমারের বেলায় কেন আমাদের সরকার নীরব? রোহিঙ্গারা তো মাতৃভূমির অধিকারের জন্য লড়তেছে এবং মরতেছে, তাহলে কেন আমাদের প্রশাসন নীরব? কেন তারা আমাদের বাঁধা দিচ্ছে?
আমাদের এখন করনীয় হচ্ছে, এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে অস্থায়ী আশ্রয় দিয়ে তাদের যুবক শ্রেণীকে বিভিন্ন দূর্যোগের মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রশিক্ষন এবং সহযোগিতার মাধ্যমে আদের জাতীয় চেতনাকে স্বজাগ করে তোলা৷
যদি এমনটা না করা হয়, তাহলে সারা জিবন চিল্লা চিল্লি করলেও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সম্ভব হবেনা৷
তাই সরকার প্রশাসনের প্রতি বিনিত নিবেদন, আপনারা এই ব্যপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন হলে আশাবাদী
লেখক কাজী সফি আবেদীনঅ
বিষয়: রাজনীতি
৬৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন