কে এই রুমেলিয়ার হাফিজ
লিখেছেন লিখেছেন হাফিজ দ্যা রুমেলিয়ার মুহাজির ৩০ জুন, ২০১৭, ১১:৫৬:১৭ সকাল
রুমেলিয়া থেকে ইমিগ্র্যান্ট হাফিজ যে কিনা বারলার ছোট্ট একটি গ্রামে বাস করতো, আর দশটা সাধারণ মানুষের মতই তার জীবন, তেমন বিখ্যাত কেউ নয়, গরীব এক লোক ছিল।
এমন বিখ্যাত কোনো কাজও করেন নি যে ইতিহাস তাকে মনে রাখবে। কিন্তু তার নামটা কাকতালীয়ভাবে ইতিহাসের পাতায় উঠে গেছে। কিভাবে?
কালজয়ী ক্লেরিক সাঈদ নুরসীর ছাত্র শিষ্যদের নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। অনুচর, সহচর, সহযোগীদের নিয়ে যদি কিছু জানা যায়। তার ছাত্র শিষ্যদের মধ্যে অনেকেই বিখ্যাত হয়েছিলেন, তার এই নীরব বিপ্লবের সাথি হয়ে অনেকের নাম তুরস্কের ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে।
অপরিচিত এক শিষ্য বা সহযোগীর মধ্যে একজন হলেন ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ মুহাজির হাফিজ আহমাদ। রুমেলিয়া থেকে অভিবাসী হয়ে এই ছোট্ট গ্রাম বারলাতে এসেছেন, তার পরিবার আছে। সাঈদ নুরসী যখন বারলাতে নির্বাসিত হন তখন এই মুহাজির হাফিজের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
সাঈদ নুরসী এক সময় জগৎবিখ্যাত হলেন, আর বারলাতে আশ্রয় দেয়ার কারণে মুহাজির হাফিজের নামটাও ইতিহাসের পাতায় উঠে গেল। কেউ যদি সাঈদ নুরসীর পুর্নাঙ্গ জীবন নিয়ে গবেষণা করে তবে বারেবার এই মুহাজির হাফিজ সামনে চলে আসবে।
নুরসীর নির্বাসিত জীবনের সাথি, প্রধান অনুচরদের একজন মুহাজির হাফিজ। নুরসী বারলাতে ছিলেন প্রায় সাড়ে আট বছর। এই সময়ে তিনি লিখেছলেন সেই জগৎবিখ্যাত গ্রন্থ রিসালায়ে নূর। তিনি লিখতেন, সেটা কপি করে তুলতেন অন্যান্য শিষ্যরা।
সাঈদ নুরসীকে নিয়ে নির্মিত টার্কিশ মুভি হুর আদম বা ফ্রি ম্যান মুভিতেও মুহাজির হাফিজের একটা রোল ছিল।
এবার বারলা নিয়ে বলি, আমার খুব ইচ্ছা এই বারলা ভ্রমণের, নিজের চোখে দেখার, যেখানে সাঈদ নুরসী এসেছিলেন, থেকেছিলেন, দরস দিতেন, রিসালা-ই-নূর লিখতেন। খুব ইচ্ছে। জানি না সেই বারলার গ্রাম এখন দালান কোঠার শহর হয়ে উঠেছে কিনা জানি না, আমি সাঈদ নুরসীর সেই বারলা দেখতে চাই, মুহাজির হাফিজের বারলা দেখতে চাই।
একজন অপরিচিত মানুষকে নিয়ে আমার বাড়াবাড়ির গল্প।
বিষয়: সাহিত্য
৬২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন