"মগের মুলুক" বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সতর্ক হওয়ার বিকল্প নেই

লিখেছেন লিখেছেন এম আর তালুকদার ১০ নভেম্বর, ২০১৭, ০৫:৩৮:৩১ বিকাল



বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মগদের সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ তাদের পুরনো ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।বার্মিজরা ঐতিহাসিকভাবেই বর্বর, নিষ্ঠুর। মানুষের গলায় দড়ি বাঁধা, হত্যা, সম্ভ্রমহানি, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া বৌদ্ধদের পুরনো অভ্যাস। ‘ইস্ট ইন্ডিয়া ক্রোনিকলস’-এর বর্ণনায় জানা যায়, ১৭১৮ সালে বার্মার বৌদ্ধ রাজা দক্ষিণবঙ্গ তছনছ করে অন্ততঃ এক হাজার ৮০০ জন সাধারণ অধিবাসীকে ধরে নিয়ে যায়। বন্দিদের রাজার সামনে হাজির করা হলে বৌদ্ধ রাজা সেখান থেকে বেছে বেছে এক দলকে তার নিজের দাস বানায়, আর অবশিষ্টদের গলায় দড়ি বেঁধে ক্রীতদাস হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেয়। মগের মুলুক বলতে‘জোর যার মুলুক তার’ বুঝায়। এ বাগধারা মিয়ানমারের উপজাতি মগদের বর্বরতা ও দস্যুপনা থেকেই এসেছে।

অসভ্য বর্বর হিংস্র বৌদ্ধ মগরাই ৪০০ বছর আগেও অত্যাচার ও লুটপাট চালাতো। তখনকার আমলের মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী দিল্লি থেকে নিযুক্ত, তৎকালীন বাংলা-প্রদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থানকারী শাসনকর্তা বা সুবেদার, পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে চলে গিয়েছিলেন। দস্যু ‘মগ’ উপজাতিরা যা ইচ্ছা তাই করেছিল। অর্থাৎ তখন সরকার ছিল না, মোগলদের পরিবর্তে দেশের মালিক হয়ে গিয়েছিল মগ দস্যুরা। মুলুক শব্দটির অর্থ দেশ বা এলাকা ইত্যাদি। পর্তুগিজ নৌদস্যুদের সঙ্গে যখন বৌদ্ধ মগরা হাত মিলিয়ে বাংলার উপকূলীয় এলাকায় সম্ভ্রহরণ-লুণ্ঠন-হত্যার মতো জঘন্য কর্মে লিপ্ত হয়, তখন থেকেই ‘মগ’ ও ‘মগের মুলুক’ জাতি ও দেশবাচক শব্দ দুটি অরাজকতার নামান্তররূপে ব্যবহৃত হতে থাকে।

(তথ্যসূত্র : বঙ্গে মগ-ফিরিঙ্গি ও বর্গির অত্যাচার, মুহম্মদ আবদুল জলিল, বাংলা একাডেমি, পৃষ্ঠা ২৫)

মুসলিম নির্যাতনের ইতিহাস

স্বাধীন রাজ্য আরাকানে ২০০ বছরের মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে ১৬৩৫ খ্রিস্টাব্দে। সেখান থেকেই শুরু আরাকানি মুসলমান তথা রোহিঙ্গাদের ভাগ্যবিপর্যয়ের। এরপর ১৭৮৪ সালে আরাকান স্বাধীনতা হারায়। বর্মি রাজা বোধাপোয়া আরাকান দখল করে নেন। ঘোর মুসলিমবিরোধী রাজা বোধাপোয়াও অসংখ্য মুসলমানকে হত্যা করেন। ১৮২৫ সালে ব্রিটিশরা বার্মা অধিকার করলে আরাকান বার্মার একটি প্রদেশ হিসেবে ব্রিটিশ শাসনের অধিকারভুক্ত হয়। বার্মায় ব্রিটিশ শাসনের অব্যবহিত পরেই ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব অঙ্কুরিত হতে থাকে।

১৯০৬ সালে রেঙ্গুন কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশবিরোধী ইয়াং মেনস বুড্ডিস্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীকালে এটি জেনারেল কাউন্সিল অব বার্মিজ অ্যাসোসিয়েশন (জিসিবিএ) নাম ধারণ করে। জিসিবিএর পাশাপাশি বর্মি বিশুদ্ধবাদিতার স্লোগান তুলে ‘দো বা মা’ (আমাদের বর্মি সংগঠন) নামে আরো একটি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠে। এরা নিজেদের থাকিন (মাস্টার) বলে পরিচয় দিতে থাকে। থাকিনরা বিদেশি খেদাও আন্দোলনের নামে মিয়ানমারে বসবাসরত ভারতীয়দের বিরুদ্ধে প্রচারণার সূচনা করে সারা বার্মায় তা ছড়িয়ে দেয়। ভারতীয়বিরোধী মনোভাবের এই ঢেউ আরাকানেও এসে পৌঁছে। শত শত বছর ধরে বংশপরম্পরায় আরাকানে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদেরও দুর্ভাগ্যবশত ভারতীয় হিসেবে পরিগণিত করা হয়।

থাকিনদের নেতা অং সান সু চির বাবা অং সান বার্মার স্বাধীনতার লক্ষ্যে বর্মিদের সংগঠিত করতে থাকেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হলে অং সান জাপান চলে যান এবং জাপানের সহায়তায় স্বাধীনতা লাভের উদ্দেশ্যে সেখানে বার্মিজ ইনডিপেনডেন্ট আর্মি (বিআইএ) গঠন করেন।১৯৪২ সালে আকিয়াবে জাপানি আক্রমণ শুরু হলে ব্রিটিশরা আকিয়াব ত্যাগ করে, আর এ সুযোগে থাকিনরা আরাকানকে রোহিঙ্গামুক্ত করার পরিকল্পনা আঁটে। তারা নির্দেশ দেয়, যেসব মুসলমানের অবয়ব রাখাইনদের মতো নয়, বাঙালিদের মতো, তাদের অবিলম্বে আরাকান ত্যাগ করতে হবে।

রোহিঙ্গারা সর্বপ্রথম জুলুমের শিকার হয় ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে। বার্মার খ্রিস্টান রাজা সে সময় আরাকান দখল করে নেন। এরপর রোহিঙ্গারা বড় ধরনের নির্যাতনের শিকার হয় ১৯৪২ সালে, যখন জাপান বার্মা দখল করে নেয়। এসব নির্যাতনের সব মাত্রা ছাড়িয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়ন-নির্যাতন শুরু হয় ১৯৬২ সালে, সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের পর থেকে। নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করে ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের ফলে। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর বাতিল হয়ে যায় রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব। তখন থেকে মানুষ হিসেবে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারও অচল হয়ে পড়ে।

১৯৪২ সালে জাপান বার্মা দখল করার পর স্থানীয় মগরা জাপানি সৈন্যদের সহায়তা নিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। ইতিহাসে এটি ১৯৪২ সালের গণহত্যা নামে খ্যাত। তখন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করা হয় স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৪৭ সালের শাসনতান্ত্রিক নির্বাচনে ইংরেজদের দেওয়া ‘সন্দেহভাজন নাগরিক’ অভিধার কারণে মুসলমানদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

উ ন নামক শাসক আরাকান থেকে মুসলমানদের বিতাড়নের উদ্দেশ্যে ১৯৪৮ সালে মগ সেনাদের নিয়ে Burma Territorial Force গঠন করে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। পরিকল্পিতভাবে মুসলিম বুদ্ধিজীবী, গ্রামপ্রধান, আলেম-ওলামা, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয় এবং মুসলমান অধ্যুষিত গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, আর সেখানে মগদের জন্য বসতি নির্মাণ করা হয়।

১৯৬২ সালের ২ মার্চ উ নকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর নে উইন সংখ্যালঘুদের সব সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করে দেন। ১৯৬৪ সালে রোহিঙ্গাদের সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয় এবং ১৯৬৫ সালের অক্টোবর থেকে Burma Broadcasting Service থেকে প্রচারিত রোহিঙ্গা ভাষার সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বার্মা সরকার ১৯৭৩ সালে উত্তর আরাকানে Major Aung Than operation ও ১৯৭৪ সালে Sabe operation নামে রোহিঙ্গা উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ফলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জীবন রক্ষার্থে যুদ্ধবিধ্বস্ত দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলাদেশে এসে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করে। সে সময় তৎকালীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় অবস্থান ও চরমপত্রের কারণে বার্মা সরকার বিতাড়িতদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। তারপর তিন বছর যেতে না যেতেই সামরিক জান্তা ‘কিং ড্রাগন অপারেশন’ নামে রোহিঙ্গা উচ্ছেদে ভয়াবহ অভিযান শুরু করে।

১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৯০ এবং ২০১২ সালে রোহিঙ্গা উচ্ছেদে বর্বরতম অভিযান পরিচালনা করে বার্মার সামরিক জান্তা। শতাব্দীকাল ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চলা নির্মম নির্যাতনের বিষয়টি এখন গোটা বিশ্বের সামনে পরিষ্কার। এটাও স্পষ্ট যে শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই তাদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে।

জেনারেল নে উইন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সব মিয়ানমার সরকারই মৌলিক মানবাধিকার বন্ধ রেখে রোহিঙ্গাদের সার্বিক বিনাশের খেলায় মত্ত। রোহিঙ্গারা পৃথিবীর অন্যতম রাষ্ট্রবিহীন মানুষ। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রবিহীন ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে করা সব ধরনের অপরাধকে বৈধতা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের কোনো অনুচ্ছেদই সেখানে মানা হচ্ছে না। জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এ কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে রোহিঙ্গারা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী, কিন্তু এ ব্যাপারে তারা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

বলার অপেক্ষা রাখে না যে মিয়ানমারে যা হচ্ছে, তা এককথায় জাতিগত বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক হামলা। এর নেপথ্যে এক ব্যক্তির নাম বারবার উঠে আসছে। তাঁর নাম আশিন উইরাথু। তিনি বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু। ১৯৬৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ১৪ বছর বয়সে স্কুল ত্যাগ করে পাদরিয়ানা জীবন গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী ও মুসলিমবিদ্বেষী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। ২০০৩ সালে তাঁর ২৫ বছরের সাজা হয়। কিন্তু ২০১০ সালে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে তাঁকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হন। বর্তমানে তাঁর ৪৫ হাজার ফলোয়ার আছে। ২০১৩ সালের ১ জুলাই সংখ্যায় টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন ছেপেছে। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে বৌদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী। তিনি নিজেকে মিয়ানমারের ‘বিন লাদেন’ আখ্যায়িত করে থাকেন। নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চেয়ে কয়েক শ গুণ বেশি বর্বরতায় লিপ্ত। (সূত্র : বিবিসি হিন্দি)

তাদের মূলমন্ত্র ‘৯৬৯’। এই তিন সংখ্যা বৌদ্ধ ধর্মের প্রতীক। বৌদ্ধ ধর্মে বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘ—এ তিন রত্নের নাম হলো ত্রিরত্ন। অর্থাৎ বুদ্ধরত্ন, ধর্মরত্ন ও সংঘরত্ন। বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘ বলতে এখানে গুণাবলির গুণকীর্তন করা হয়েছে। ত্রিপিটকে বুদ্ধের প্রধান ৯টি গুণ, ধর্মের ছয় গুণ ও সংঘের ৯ গুণের কথা বলা হয়েছে। এমন বিশ্বাস থেকে এসেছে ‘৯৬৯’।

‘অহিংসা পরম ধর্ম’, ‘জীব হত্যা মহাপাপ’—এসব নীতিকথা বলে গেছেন গৌতম বুদ্ধ। মানবতাবাদী হিসেবে জগত্সংসারে তিনি বেশ খ্যাতিও কুড়ান। প্রবর্তন করেন বৌদ্ধ ধর্ম। এ ধর্ম অনুসরণ করে মিয়ানমারের বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু বাস্তবে আমরা কী দেখছি মিয়ানমারে! তাহলে কি মিয়ানমারের বৌদ্ধদের দৃষ্টিতে মুসলমানরা ‘জীব’-এর সংজ্ঞায় পড়ে ?

বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন :

*২৪ এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে দৈনিক জনকণ্ঠ এক বিশেষ প্রতিবেদন ছেপেছে শিরোনাম হলো, ‘পার্বত্য এলাকায় নতুন অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টায় ভাবনাকেন্দ্র’।

*২৬ নভেম্বর, ২০১৬ দৈনিক আমাদের সময় লিখেছে, “সেনাবাহিনীর সহযোগী ‘৯৬৯’ সশস্ত্র গোষ্ঠী।

*২৯ এপ্রিল, ২০১৭ দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে, “পাহাড়ে নতুন আতঙ্ক ‘৯৬৯’।

*২৫ এপ্রিল, ২০১৭ দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদনের শিরোনাম হলো, ‘পার্বত্য অঞ্চলে নতুন আতঙ্ক ৯৬৯। ’

মানবজমিন লিখেছে, ‘ধর্মীয় উগ্রপন্থী হিসেবে ৯৬৯ জন পরিচিত হলেও তাদের রয়েছে সশস্ত্র গ্রুপ। সংগঠনটির ভাণ্ডারে রয়েছে হালকা থেকে ভারী অস্ত্রের বিশাল মজুদ। সন্ত্রাসী সন্ন্যাসী আশিন উইরাথু বর্তমানে এই সংগঠন পরিচালনা করেন। এদিকে তাদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চলে থাকা জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের সশস্ত্র গ্রুপের। বাংলাদেশে তৎপর ওই দুই সশস্ত্র গ্রুপকে নতুন করে স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে জুম্ম ল্যান্ড গঠনের। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জুম্ম ল্যান্ড গঠন করার জন্য বিভিন্ন রূপরেখাও তৈরি করা হয়েছে। কী ধরনের সরকার হবে পাহাড়ে, তারও একটি ছক সাজানো হয়েছে। পাহাড়কে এমন অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে যে বাংলাদেশ সরকার থেকে পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করে নিজেরাই সরকার গঠন করে স্বাধীন জুম্ম ল্যান্ড গঠন করবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকার প্রশ্রয় না দেওয়ায় পার্বত্য জেলাগুলোতে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। ’

এ বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সতর্ক হওয়ার বিকল্প নেই।

ছবিঃ গুগল, তথ্য সূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন সংবাদ পত্র।

http://www.somewhereinblog.net/blog/mrttalukder/30218198

বিষয়: বিবিধ

৭০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File