বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া
লিখেছেন লিখেছেন জিলাপি ২৯ জুন, ২০১৭, ০৫:২৩:১৮ বিকাল
ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার পর এবার আবার আগামীকাল ৩০ জুন শুক্রবার ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবারের ছুতা কর জমাদান। বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিকই বন্ধ থাকবে।
বন্ধের দিনে ব্যাংক খোলা রাখার এই যে কালচার চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, তারা কি কখনো পরিসংখ্যান নিয়েছে যে উদ্দেশ্যে ব্যাংক খোলা রাখতে বলেছে সে উদ্দেশ্যের কত পার্সেন্ট পূরণ হয়েছে? আগামীকাল ট্যাক্সপেয়ারদের সুবিধার্থে ব্যাংক খোলা থাকবে। কিন্তু কতজন আগামীকাল ট্যাক্স জমা দিলো সেটাও যাতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করে।
এটা এ জন্য, ব্যাংকগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। তারা জনগণের টাকা নিয়ে ব্যবসা করে। একটা দিন ব্যাংক খোলা রাখতে হলে যে পরিমাণ খরচ হয় ইলেক্ট্রিসিটি, কর্মীদের ভাতা, আপ্যায়ন ইত্যাদি বাবদ, সেটার ভর্তুকি নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ব্যাংক দেবে না। দ্বিতীয়ত, আন্তঃব্যাংক লেনদেনগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমেই নিষ্পন্ন হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বন্ধ থাকলে সেটা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। ধরুন আপনি একজন ট্যাক্সপেয়ার। আপনি ব্যবসা করেন বা চাকুরিই করেন। আপনার কোনো পার্টি বা কোনো আত্মীয় একটা চেক দিলেন। তার অ্যাকাউন্ট এক্সিম ব্যাংকে। আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যাংক এশিয়ায়। আপনি আপনার ট্যাক্সের টাকা জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে চেকটা ব্যাংক এশিয়ায় দিয়ে এলেন। কিন্তু আপনার উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। কারণ ব্যাংক এশিয়া চেকটা বাংলাদেশ ব্যংকের মাধ্যমে ক্লিয়ার করতে পারবে না।
এই যে সিদ্ধান্তগুলো এগুলো হয় আবেগের ঠেলায় বা চাপের ঠেলায়। কারণ ব্যবসায়ীরাই রাজনীতি চালায়। তাদের কথা না মানার দুঃসাহস বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজের যেহেতু অফিস করতে হচ্ছে না, তাই ৩৬৫ দিন ব্যাংক খোলা থাকলেই বা তাদের কী?
যাদের হাতে দেশের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ, তারা এ রকম আবেগীয় সিদ্ধান্ত নেবে, এটা মানা যায় না। সব কিছুই হওয়া উচিত বাস্তবতার নিরিখে।
বিষয়: বিবিধ
৫৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন