নাস্তিকতা একটা বিনোদন মাত্র । মূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে নাস্তিকদের খোঁড়া যুক্তি!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মাদ আলী ০২ জুন, ২০১৭, ০৩:৪৬:৫৯ দুপুর
আপনার আশেপাশের কোন নাস্তিককে বলুন, বিজ্ঞানের আলোকে মূর্তি বা ভাস্কর্য তৈরির একটি যুক্তি দেখাতে।
তারা তখন আপনাকে তিনটি চেতনাময় বাণী শুনিয়ে দিবে...
১। মূর্তিটি যার বা প্রতিকৃতিটি যার, তাকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা তার মূর্তি তৈরি করি
২। মূর্তিটি যার তাকে সম্মান ও ভালোবাসা জানাতে তার ভাস্কর্য নির্মাণ করে থাকি
৩। আমাদের জাতীয় পরিচয়, দেশজ সংস্কৃতি তুলে ধরতে আমরা মূর্তি নির্মাণ করি।
একে একে যক্তি গুলোর পেট কেটে দেখুন। বিনোদনের দিব্বা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় কিনা।
>> মূর্তিটি যার বা প্রতিকৃতিটি যার, তাকে স্মরণীয় করে রাখতে এ কাজটি আমরা করে থাকি
--------------------------------------------------------
খুব ভাল কথা। যে ভাল মানুষ তাকে স্মরণীয় করে রাখা হোক এটা সবাই চায়। কিন্তু মূর্তি তৈরি করে তাকে স্মরণীয় করে রাখার যুক্তি কোথাই। আমরা এমন একটা উপায় কেন অবলম্বন করবো যেখানে মৃত বা জীবিত কারো কোন উপকার হয়না। বরং শুধু শুধু অর্থ এবং জমি অপচয় হয়। কোন ভাল মানুষকে স্মরণীয় করে রাখার অন্য কোন উপায় কি নেই?
কাউকে যদি স্মরণীয় করে রাখতে চান, তাহলে তার নামে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল কিংবা ইয়াতিম খানা তৈরি করুন। এতে মৃত ব্যক্তিও স্মরণীয় হয়ে থাকবে, জীবিতদেরও উপকার হবে, দেশ ও জাতির উন্নতি হবে।
উনারা এখানে লা জবাব...
>> মূর্তিটি যার তাকে সম্মান ও ভালোবাসা জানাতে আমরা তার ভাস্কর্য নির্মাণ করে থাকি
------------------------------------------------------------
কাউকে সম্মান দেখাতে যদি তার মূর্তি তৈরি করা লাগে। তাহলে যার মূর্তি নেই তাকে কি অসন্মান করা হয়? কোন মূর্তির প্রতি সন্মান দেখানোর মানেই তো মূর্তি পূজা । শুধু ইসলামে নয়, হিন্দু ও খ্রিষ্টান ধর্মেও মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ (বেদ ও উপনিষদে মূর্তি পূজাকে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে। লেখা বড় হয়ে যাবে তাই রেফারেন্স দিচ্ছিনা। কারো রেফারেন্স লাগলে বলবেন)।
মুসলিমরা মূর্তি দেখালে প্রচণ্ড ঘৃণা ভরে তাকায়।
৫-১০ ভাগ লোকের সন্মান আর প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের ঘৃণা দিয়ে কি কাউকে সন্মান করা যায়?
উনারা লা জবাব...
>> আমাদের জাতীয় পরিচয়, দেশজ সংস্কৃতি তুলে ধরতে আমরা মূর্তি নির্মাণ করি।
-----------------------------------------
ভাল কথা, জাতীয় পরিচয়, দেশজ সংস্কৃতি তুলে ধরতে সকল জাতির ও সব দেশের লোকেরাই চায়। এটা দেশ প্রেম সন্দেহ নেই। কিন্তু বাংলাদেশিদের সংস্কৃতি মূর্তির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে এটা কোন সংস্কৃতির প্রকাশ। আমাদের সংস্কৃতিতে মূর্তি গড়ার সংস্কৃতি কোথায়? এটা ভারতের সংস্কৃতি হতে পারে বাংলাদেশের নয়।
নারীদের উলঙ্গ মূর্তি তৈরি করা কিভাবে একটা দেশের সংস্কৃতি হয়!!
একবার বিমান বন্দরের লালন মূর্তি সম্পর্কে মৃণাল হককে বিবিসি থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ওটা নির্মাণ করতে বিমান বন্দর চত্বর কেন বেছে নিলেন? তিনি উত্তরে বললেন, ‘বাহির থেকে মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেই যেন আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যায়। এ জন্য ওই স্থানটিকে বেছে নেয়া।
কত চমৎকার জওয়াব! বাহির থেকে মানুষ এসেই যেন ধারণা করে বাংলাদেশি সমাজ ও সংস্কৃতি হল একটি পৌত্তলিক সংস্কৃতি। এরা শুধু একতারা দোতারা সেতারা নিয়েই ব্যস্ত থাকে। মৃণালের কথায় প্রমাণ, এটা ছিল বাংলাদেশি জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন।
একই ভাবে মৃণালের গ্রীক মূর্তি ন্যায়ের প্রতীক! এটা এক জগন্য সংস্কৃতির প্রকাশ, যেন বাংলাদেশের মানুষের ন্যায়নীতির ধারক কোন গ্রীক মূর্তি থেকে আগত!
একটি ভাস্কর্য যতই সুন্দর হোক, তা যদি ইসলামি সংস্কৃতির কোনো পরিচয় বহন করে তাহলে তা ভারত বা আমেরিকা তাদের দেশের উন্মুক্ত স্থানে স্থাপন করতে দেবে না। তারা বলবে, ‘এটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ বাংলাদেশে কেন এমন ভাস্কর্য স্থাপিত হবে, যা এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে?
উনারা লা জবাব...
আসলে নাস্তিকতা একটা বিনোদন মাত্র।
যুক্তির কথা বললেও পৃথিবীর সবচেয়ে অযৌক্তিক কাজগুলো তারাই করে থাকে।
মূর্তি- ভাস্কর্য এগুলা কিছুই না। মূল উদ্দেশ্য ইসলামের বিরোধিতা করা।
ইসলামে যদি মূর্তি তৈরি জায়েজ হতো তাহলে এরা মূর্তি ভাঙ্গার আন্দোলনে উঠেপড়ে লেগে যেতো ...
বিষয়: বিবিধ
৭১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন