পরকিয়া প্রেম,একটু সচেনতা আপনার মতামতের অপেক্ষায়।

লিখেছেন লিখেছেন কিংবদন্তী আশিক ১৮ মে, ২০১৭, ০১:২২:৫৮ দুপুর

বিষয়: পরকিয়া প্রেম।

একটি সচেতন ও শিক্ষামুলক পোস্ট।

একটু সচেনতা আপনার মতামতের অপেক্ষায়।

মানুষ বেঁচে থাকার জন্য যা বেশি প্রয়োজন

হয় তা হচ্ছে খাদ্য।মানুষ পশুপাখি,

পোকামাকর এবং কি গাছপালা সব

কিছুই বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন

হয়। বিশেষ প্রকার এর প্রাণি বিশেষ প্রকারের খাদ্য শৃংঙ্গল এর উপর নির্ভশীল।

কিন্তু প্রাণীকুলে এমন কিছু প্রাণী

আছে যে যা সামনে পায় তাই খায় মানে

অম্নিভোরাজ বা সর্বভোগ। মনুষ্য সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যাদের কাছে রিতিনিতি,ধর্ম কোন কিছুরই মানে রাখেনা।

তাদের পারিপার্শ্বিক ক্ষুদা এবং প্রয়োজন মেটাতে তারা পশুর চেয়ে অধম হতে বিবেগ এ বাধেনা। পাপ পূর্ন্যর হিসাব এদের গোত্রের বাহিরে।

আসুন দেখা যাক এমনি পরকিয়া প্রেমের রক্তাক্ত ভবিষ্যৎ।

গ্রামের গরিব ঘরের ছেলে ভার্সিটিতে পড়ুয়া

আবির।তারুন্ন্যের উম্নাধনা আর রোমান্টিক

আবেগ,এসবকে তারা করে ফিরে অভাব আর দারিদ্র,জীবন যোদ্ধে জয়ী হতে সে বেচে নেয় সহজ পথ।

অন্যদিকে সে টিউশনি করায় ক্লাস টেন পড়ুয়া মেয়ে সুমনাকে,সুমনা আর তার মা একসাথে থাকে বাবা প্রবাসি।

ভার্সিটি পড়ুয়া আবির অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে টিউশনি করা ছাত্রির মায়ের সাথে। তার উদ্দেশ্য ছিলো দুইটি এক তার মাকে প্রেমিকা হিসেবে ভোগ করা আর তার কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নেওয়া। ছাএী মা সালমা সে যেন আবির এর জন্য ছিল রুপকথার সোনার ডিম পারা এক রাজহাঁস। কিন্তু এ রুপকথার শেষ অন্ত কি তারা কি জানত না।

আবির নিয়ামিত পড়াতে আসে সুমনাকে এবং তার মায়ের সাথে দিন দিন বেড়েই চলছে সর্ম্পের বাধ। কিন্তু তার পাশাপাশি আবির সুমনার উপর ও চোখ যায়,মিষ্টি

কথার ফুলঝুরি আর নানান রকম আবেগি

কথায় সে চেষ্টা করে সুমনাকে তার প্রেমের জালে ফাঁসাতে।অন্যদিকে সুমনা জানত না তার মায়ের সাথে তার অবাদ মেলামেশার কথা। আস্তে আস্তে কিছুদিন পর সুমনা,আবিরকে মনে মনে পছন্দ করা শুরু করে কিন্তু এখনো প্রকাশ পায়নি সেটা। হঠাৎ একদিন সুমনা স্কুল থেকে একটু তারাতারি বাড়ি ফিরে আসে এবং

বাড়িতে এসে দড়জা বন্ধ দেখে অনেক বার কলিংবেল দেয় কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় কলিং এর শব্দ শোনা যায়নি।

সে বাহিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সে দিকে বাড়িওয়ালা করিম চাচা এসে বলল পিছনের জানালা দিয়ে নক করতে সে

কথা শোনে সে গেল জানালা দিয়ে নক

করতে। জানালার পর্দা সরাতেই যেন তার হার্টবিট বেড়ে যায়,তার মায়ের সাথে শিক্ষক এর মেলামেশার চিত্র দেখে তার মাথায় আকাশ ভেংগে পরে। সে আস্তে আস্তে চিন্তত মনে কোথায় গিয়ে বিবেগ এর ঠান দিবে সে ভাবতে পারছেনা। এক যায়গায় অনেক্ষন বসে থাকায় বকাটেদের পারি জমানো দেখে সে বাড়ি ফিরে যায়।

বাড়ি ফিরে মায়ের বকাজকা শোনে কিন্তু

তবুও মায়ের এই সম্পর্কের কথা লজ্জায় জেন মুখফুটে বলতে পারছেনা সে।

অবশেষ এ একদিন তার মা গেল তার

ফুফুর বাসায় তাকে আর কাজের মেয়েকে বাড়িতে রেখে। আবির তার নোংরা চোখ পরা সুমনাকে রাতে তার রুমে জৈনিক

হামলা চালায় এবং সে ব্যর্থ হয় সুমনা তাকে

একাটা চড় মারে। সে ক্ষোভে সে পরের দিন আবার পুরোপুরি তৈরি থেকে সুমনার উপর হামলা করে সে সফল হয় তার ইজ্জত

নেওয়াতে। সুমনার মা বাড়ি ফিরে এবং সুমনা তার মাকে ধরে কান্না করে তার মা ভাবলো হয়তো তিনি বাড়িতে নেই সে জন্য তার এত কান্না কিন্তু কাহিনি অন্য কিছু যা লজ্জায় মায়ের কাছে প্রকাশ করতেপারেনি। অবশেষ সুমনা গর্বে দেখা দেয় অনাগত এক

সন্তান মেডিকেল রিপোর্ট ও সেটাও বলছে।

ব্যাপারটা তার মা কোন মতেই মেনে নিতে পারেনি,এবং সুমনাকে অনেক মারধর করে তার মা,অনেক বার জিজ্ঞাস করার পর ও সে মুখ খোলে বললতে পারিনি সে পশুটার কথা যে তার মাকেও ভোগ করছে প্রতিদিন। অবশেষে ঘৃণায় লজ্জায় সুমনা আত্মহত্যার পথবেছে নেয়।পরিশেষ এ মৃতু সজ্জায় সুমনার হাতে একটা কাগজের টুকরা সে লিখে যায় তার সকল কথা। কাগজে লিখা ছিল,মা আমি তুমার একমাত্র সন্তান আজ

অবৈধ ভাবে মারা যাচ্ছি।জানি তুমার অনেক কষ্ট লাগবে,কিন্তু মা মন শক্ত করো কারন আমার আজকে এই করুন পরিনতির জন্য দায়ী আর কেওনা মা!!!!

দায়ী তোমার অবৈধ সজ্জাসংগি আবির!!! সে কোন দিন তোমাকে ভালবাসেনি শুধু তোমাকে ব্যবহার করেছে,আর তোমার

অনুপস্থিতিতে অসাবাভিক আক্রমন করেছে

আমার উপর। যার ঘৃণার দায়ে বোর হয়েছি আমি আর তাই বাধ্য হয়ে এই অকাল মৃত্যর পথ বেছে নিতে হয়েছে আমাকে। তবুও

ভাল লাগছে মা! আমার মৃতু দিয়ে হলেও

তোমার চোখের ঝড় আমি তারতে পেরেছি।ভাল থেকে মা সব সময় বিদায়।

পরিশেষ আবিরকে খুন করতে বাধ্য হয়েছিল সুমনার মা।আর এভাবেই একটা পরকিয়া প্রেমের ইতি টানে।

শিক্ষা: আবির যে অপরাধ করেছিল তা ছিল সিমাহিন,মায়ের সংঙ্গে মিথ্যা প্রেমের ছলনাতো ছিলই,শেষ টা মেয়ের শ্রিয়তা হানি যা ছিল ক্ষমার অযোগ্য। সেক্ষেত্রে অপরাধ মায়ের ছিল স্বামির অবর্তমানে অনৈতিক সম্পর্ক আবির এর সাথে জরানো যার মাসুল দিতে হয়েছিল তার গর্ভের সন্তানের মৃত্যু দিয়ে। আমাদের মনে রাখতে হবে সম্পর্ক আমাদের কাছে টানে আর ভালবাসা তাকে মহান করে। আমাদের মনে রাখতে

হবে,নিতিবর্জিত কোন সম্পর্ক সুন্দর কোন

ফলাফল ডেকে আনতে পারেনা।শুধুই ডেকে আনে এক কালো ছায়া, যা ছায়ায় আকালেই পাপিষ্ঠ হতে হয় কিছুনিষ্পাপ মুখ। তাই সুন্দর জিবনে গঠন করুন সুন্দর ভাবে বাচঁতে শিখুন।

ধন্যবাদ।

বিষয়: বিবিধ

১৮৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File