যোদ্ধা
লিখেছেন লিখেছেন মন্জুরুল হাসান প্রিন্স ২৮ মার্চ, ২০১৭, ১০:৪৩:৩০ রাত
১)
ছেলেটি ভীষণ প্রেমিক ছিলো।
হঠাৎ যুদ্ধ শুরু হলে, সে সিদ্ধান্ত নেয় যুদ্ধে যাবার।
যুদ্ধ তাকে আরো বেশি সাহসী হতে শেখালো,
যদিও সে পরিশ্রমী এবং সাহসী হওয়া সত্বেও
কখনো একটি প্রজাপতির পাখাও ছিড়ে দ্যাখেনি ;
প্রেমিকাকে চুমু খেতে গিয়েও থেমে গেছে বারবার।
এমন ছেলেকে দিয়ে যুদ্ধ হবেনা
বরং তার ফুলের দোকানে চাকরি করা উচিৎ,
তাও কি সে পারবে!
যার একটি গোলাপ ছিঁড়তে গিয়ে হাত কেটেছে হাজারবার।
ব্যারাকে গভীর রাত। যুদ্ধের সকল প্রস্তুতিপর্ব শেষ।
ছেলেটি এক হাতে বন্দুক অপর হাতে একটি গোলাপ তুলে ভাবছে
কোনটা সবচে শক্তিশালী?
ফুল না বুলেট!
যুদ্ধ না ভালবাসা!
পাপড়ি না বারুদ!
হঠাৎ সাইরেন বেজেঁ ওঠে।
ছেলেটি সম্মুখ যুদ্ধে অগ্রসর হয়
এবং হৃদপিণ্ড থেমে যাবার আগ পর্যন্ত সে লড়েছিলো।
২)
তার কবরের উপর চাষ হলো একশো গোলাপ গাছ (যেহেতু তারা জেনেছিলো, যোদ্ধার কবরের গোলাপ টকটকে লাল হয়)
এবং উৎকৃষ্ট মানের একশো গোলাপ তুলে
প্রতি বিজয় দিবসে অর্ঘমাল্য দেওয়া হয় তার হত্যাকারিদের।
ছেলেটি ভাবছে, কার শক্তি বেশি?
ফুলের না রক্তের!
ভুলের না মৃত্যুর!
পাপড়ির না আগুনের!
হ্যাঁ। ছেলেটি খুব প্রেমিক ছিলো, দেশ প্রেমিক।
যে কিনা রক্তের দামে দিয়ে গ্যাছে কিছু তাজা গোলাপ।
বিষয়: সাহিত্য
৭৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন