ভুল আর শুদ্ধ
লিখেছেন লিখেছেন সেইন তীরের বাসিন্ধা ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:৪৫:১১ দুপুর
[“বুল ষবই বুল
ঝীবণের পাথায় পাথায় জা লেকা
থা ষভই বুল,
আম্রা আড় কথ করভো বুল ?
শংষোদণ কি হভে ণা
এ বুলের সেশ কোতায় যাণিনা।”]
কি ব্যাপার ! বন্ধনীর ভেতরের লাইনগুলো পড়ে এতক্ষণে আমার শুভাকাঙ্খী, শুভানুধ্যায়ী, সহপাঠি, বন্ধু-বান্ধব, অনুজ, ফেসবুকের বা ব্লগের গুণীজন ও আপামর সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে তাই না ! কারো হাসি পাচ্ছে আবার কারো কারো হয়তো মেজাজটাই গরম হয়ে গেছে উক্ত ক্ষ্যাতমার্কা ভুল বানানের লেখা দেখে। হ্যাঁ হবারই কথা। মাঝে মাঝে আমারও এরকম হাসি পায় ও মেজাজ গরম হয়।
যারা উচ্চ শিক্ষিত নয় এবং নিজেকে খু—ব মোটা তাজা ভাবেন না বা ফেসবুক, ব্লগ কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মোটা মোটা বুলি আওড়ান না তাদের কথা ভিন্ন কিন্তু যারা নিজেকে এক একজন উঁচু মানের নেতা-রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক, শিক্ষক-প্রফেসর, উকিল-ব্যারিস্টার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি হিসাবে পরিচিত করে তুলতে চেষ্টার কোন ত্রুটি করেন না অথচ নিজের মাতৃভাষায় শুদ্ধভাবে দু/চারটি লাইন লিখতে কলম ভাঙ্গেন তাদের ব্যাপারেই আজকের এই লেখা— কবি সম্ভবত: তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই লিখেছিলেন—
“আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।”
পাঠ্যপুস্তকে ভুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইনবোর্ডে ভুল
কবিতার শিরোনাম ভুল, সংবাদের শিরোনাম ভুল, দুই লাইনের মধ্যে ছয়/সাতটা বানান ভুল। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এদের ডিমান্ড অনেক। কিন্তু কেন ? ফেসবুকের বা ব্লগের এসকল হুজুগ ও ভুল দেখতে দেখতে মাথা হেঙ্ হয়ে যাবার পালা। সার্টিফিকেট ধারী শিক্ষিতের কোন অভাব নাই সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিতের বড় অভাব। যেনো আকাল পড়েছে। স্মরণ রাখা প্রয়োজন-
“পুঁথিগত/গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন
নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।”
বিষয়: বিবিধ
৬৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন