"শেখ সাদী (রহঃ)-র একটি গল্প => যখন ক্ষুধা লাগে।"
লিখেছেন লিখেছেন সাঈদ আলী হাছান ০১ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৭:২১:১৮ সকাল
ইরােকের "বসরার" নাম শুনেছেন তো?
.
গোলাপফুলের শহর। খুব বিখ্যাত জায়গা। বসরার স্বর্ণকারের দোকানে বসে গল্প করছিলো এক পথিক। পথিক ঘুরে বেড়ায় এক মরুভূমিতে। যায় এক দেশ থেকে আরেক দেশ।
.
সে বলছিলোঃ "একবার মরুভূমির মধ্যে পথ হারিয়ে ফেললাম সে এক দারুন ভয়ানক অভিজ্ঞতা।
.
এদিকে যাই, ওদিকে যাই, পথ আর খুঁজে পাই না। পেটে খিদে, পিপাসায় বুক ফেটে যাচ্ছে, দুশ্চিন্তায়, ভয়ে আতঙ্কে শরীর হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। ভেবে নিলাম-- আজ আমার জীবনের শেষ দিন। মৃত্যু এখন আমার সামনে উপস্হিত। পথ খুঁজে পাওয়ার উপায় আর পাচ্ছি না।
.
এমন সময় কিছুদূরে দেখতে পেলাম একটা থলে পড়ে আছে। মনটা কিছুক্ষণের জন্য আনন্দে ভরে গেল-- যাক থলেতে খাবার দাবার হয়তো কিছু পাওয়া যাবে। দ্রুত ছুটে গেলাম থলেটার দিকে।
.
হায়রে কপাল, থলেটা খুলে দেখি-- সেখানে একটা মূল্যবান পাথর। আলো ঝলমল করছে। পরম দুঃখে আমি ছুড়ে ফেলে দিলাম। তারপরে আবার খাবারের সন্ধানে পানির সন্ধানে ছুটে বেড়াতে লাগলাম।"
.
স্বর্ণকার পথিককে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো-- "পাথরটা ফেলে দিলে কেন? ওটা সঙ্গে রাখলেই পারতে। পরে ওটা তোমার কাজে লাগতো।"
.
পথিক মৃদু হাসলো। বললো-- "ক্ষুধায় কাতর ব্যাক্তির কাছে সামান্য খাবার ও পানির মূল্য পৃথিবীর সকল মনি মানিক্যের চেয়ে বেশি মূল্যের।
.
# শিক্ষাঃ "বন্ধুরা খাবারে সামান্য লবণ কম হলে, ঝাল বেশি হলে, স্বাধ কম হলে অনেকসময় খাবারের সমালোচনা করি। রাগে অনেকসময় ছুঁড়ে ফেলে দিই, নষ্ট করি। আবার এই খাবারটুকু তাদের সামনে দিয়ে দেখুন যারা দুবেলাও পেট ভরে খেতে পায় না। এই খাবারের বিনিময়ে তারা আপনার গোলামী করতেও রাজী হয়ে যাবে।
.
তাই খাবারের অপচয় না করে খাবারের মূল্য দিতে শিখি। মহান আল্লাহর দয়া ছাড়া এই খাবারের একটি দানাও তৈরী করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন। আমিন।।"
বিষয়: সাহিত্য
৭৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন