সেই দিন এই দিন, তফাৎ তবে আসমান জমীন!!
লিখেছেন লিখেছেন Ruman ০৩ নভেম্বর, ২০১৮, ০৮:১০:৩০ রাত
জনৈক মুরুব্বী বলেছিলেন, পলিটিশিয়ানরা এমনই ধ্রুত ও কপোট ক্ষমতার অধিকারী যে, তারা আসমানকে জমীন ও জমীনকে আসমান রুপে রুপান্তর করতে পারে।
কথাটি যদিও কথার কথা, তবুও এর রয়েছে আংশিক বাস্তবতা। সেই যথার্থতা বুঝতে অনেক সময় লেগেছে আমার।
গতকালের বেসূর আজকের সূরের তরী।
এযে মাঝিমাল্লার গান। তরীর যাত্রীদের সংগীত আজ ভিন্নমোহের তালে। খুব অনুভব করছি আজ খুব অনুভব করছি।
নাস্তিক বিরোধী আন্দোলনে যে গাড়ীর চাকা পাঙ্কচার করে দেয়া হয়েছিল, সে গাড়ীই আজ নতুন ফিটনেসে ঢাকার পথে।
চাকার প্রতিটি ঘূর্ণি আজ যন্ত্রণার শেল হয়ে বিঁধছে শাপলায় আহত হৃদয়ে। নিরবে গিলছে মধুর মত। যেই চাকা থামিয়ে দেয়া হয়েছিল আজ তারই কোলে যাচ্ছি, বন্দনার গান গাইতে; তার বন্দনা, যার বন্দনা করা নাকি পাপ..... কি করবো? কি করার আছে? মুরুব্বীদের নজর থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় যে আজ বড্ড বেশি তাই, কিছুটা বন্দনা গাই
ক্ষমা করিছ শাপলা! তোর আততায়ীদের বন্দনা গাওয়া দায়িত্ব বলে ফতওয়া দিয়েছে তোরই মুরুব্বীরা। আমার আর কি আছে করার?
কে যেন বলেছিলেন, ধর্ষণ যখন নিশ্চিৎ উপভোগ করাই শ্রেয়। কথাটি কি সত্য?
জানিনা। তাই হচ্ছে; হাত-পা যে বাঁধা।
আমারও চিৎকার করে বলতে মন চায় ".......... দেহ পাবি কিন্তু মন পাবিনা"
কিন্তু বিশ্বাস কর, আমি নায়িকা না। আমি দিশে হারা নায়ক।
সেই দিনের আশেকের একটি গল্প ছিল।
সামনে উত্যাল পদ্মা। সরিয়ে নেয়া হয়েছিল সব পাড়াপাড়ের পারাবত। ওপারে যেতে হবে তবুও। ঝাপ দিয়েছিল আশেক। তবুও যেতে পারেনি।
আর আজ! সেই একই পদ্মা। একই জল। একই স্থল। একই যাত্রী। একই প্রতিরোধী। কিন্তু দৃশ্যপট আমূল ভিন্ন।
বরযাত্রীর সেবায় পাড় করতে বাসর সাঁজে নদীতে ভাসছে ফেরী। সাইরেনের আঁওয়াজটিও আজ সাদর অভ্যর্থনার শানাই।
আমি মোহিত কি না, এমন প্রশ্ন করে লজ্জা দিওনা কেউ।
একটি গল্প বলি, সেটাই শোন।
ভারত বর্ষের এক আল্লাহ'র পাগল ক্বাবা জিয়ারতের স্বপ্ন পুষছে বহুদিন। নেই টাকা-কড়ি, নেই সামর্থ। দূরত্ব ঘোচানোর নেই বাহন। কিন্তু হাজারও সীমাবদ্ধতা কি করে স্বপ্নচারী আশেকের পধ রোধে? পায়ে হেটেই রওয়ানা দিলেন কাবার পথে।
অবিরাম ভানে চলা ক্লান্ত পদ যুগল হঠাৎ থমকে দিল আরব সাগর।
আশেক কি করে পাড়ি দেবে তা?
কাঁদলেন তীরে বসে। চোখের লোনা জলে সিক্ত হলো শুকনো বালুর চর। একেকটি চিৎকার চলে গেল দিগন্ত অবদি। লোনা ঢেউ ফিরিয়ে দেয়নি তার আর্তনাদ।
তখনই এক সাধু আসলো। কাঁধে মমতার ছোঁয়া পেয়ে আরষ্ঠ চোখজোড়া তুল্ল পাগল।
আগত মুসাফির বল্লো, হজ্বে যাবে? কাঁধে ওঠো। ওপারে পৌঁছে দেই।
চোখ খুলে আশেক দেখলেন ঐতো তার প্রাণের কা'বার গিলাফ।
হজ্ব শেষে একই দৃশ্যায়ণ।
এপাড়ে ফিরে আশেক টেনে ধরলেন মুসাফিরের জামার আঁচল।
কে হে বন্ধু, পাগলের আঁখি করলে শীতল? কি করে শোধবো তোমার ঋণ?
বলে ভাই, আমি তোমার বন্ধু নই। আমি ইবলিশ! তোমার একেকটি চিৎকার গগণভেদি আরশে পৌঁছছিল। লেখা হচ্ছিল একেকটি কবুল হজ্বের পূন্য। আমি সইতে পারিনি তা। পাবি পা। একটা হজ্বের পূন্য পা। তাই করেছি উপকার।
আশেকের চোখ হলো বড়। বলে কি? ফের লুটালো বালুতটে। আফসোসের কান্নায়।
(এটি একটি গল্প মাত্র। কোনো দলীল নয়)
এটিই কি সেই নূরাণী সুরতে ধোকা?
যাক সে কথা। এবার কিছু বন্দনা না হলে কি স্টাটাস পূর্ণ হয়। চলুন। তবলা বাঁজান।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই দয়াবান। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাহাজ্জুদ পড়েন, নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত ও তাসবীহাত আদায় করেন। তিনি ইয়াতীমদের নিজ হাতে ইফতার করাণ, মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। তিনি সুযোগ হলেই হজ্বব্রত পালন করেন, ওমরাহ করেন। তিনি এদেশের আলেমদের খুবই ভালোবাসেন।
তিনি আল্লাহকে ভালোবেসে কেবল তার সন্তুষ্টির জন্য নবীর ওয়ারিশদের দীর্ঘ দিনের বঞ্চিত হক্ব ফিরিয়ে দিয়েছেন। কওমীদের শিক্ষার স্বীকৃতি দিয়ে তিনি দয়ার অনুপম নিদর্শণ ও স্বাক্ষর রেখেছেন। তার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ উন্নয়ণশীল দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনিই আমাদের চোখে উঠিয়েছেন, তিনি এর রুপকারও। তার নিজস্ব শত অর্জণে তিনি আজ 'মাদার অব হিউম্যানিটি' মানবতার মা।
তাকে একটু শুকরিয়া না জানালে কি অকৃতজ্ঞতা হয় না?
আগামী কালের শোকরাণা মাহফিল সফল হোক।
সফলতার জন্য মাদারীপুর থেকে ২০টি গাড়ির বহরে ছুটে চলছি ঢাকার পথে। পূর্ণ খরচ বহন করছেন, আমাদের মাদরীপুরের মাটি ও মানুষের নেতা, লৌহ মানব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌপরিবহন মন্ত্রী, শ্রমিক নেতা, ইসলাম ও আলেমদের বন্ধু, বীর মুক্তি যোদ্ধা জনাব শাজাহান খান।
আমি আসছি। আপনিও আসুন।
দলে দলে যোগ দিন।
আগামী কালের শোকরাণা মাহফিল সফল করুন।
বিষয়: বিবিধ
৯১৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন