ইউএস বাঙলা এয়ারলাইন্স এক্সিডেন্ট নয় হত্যাকান্ড।
লিখেছেন লিখেছেন Ruman ১৩ মার্চ, ২০১৮, ০৪:০২:৪১ বিকাল
গতকাল বিকেলে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকান্ডে স্তম্ব পুরো বিশ্ব। এটাকে এক্সিডেন্ট না বলে আমি হত্যাকান্ড বলি। কেন হত্যাকান্ড বললাম? একাধিক যৌক্তিক কারনে সেটাকে এক্সিডেন্ট বলা যায়না। নিচে বর্ণীত এতোগুলো স্বীকৃত কারন থাকার পরে ও ৫০জনের মৃত্যুকে আমি এক্সিডেন্ট বলেই কী বেঁচে যেতে পারবো?
দায়ী কারা? আশ্চর্য হয়ে যাই "ইউএস বাঙলার" কতৃপক্ষ এতোটা পাষণ্ড লোভী কী করে হয়। সামান্য কিছু অর্থ ও নিজের আভিজাত্যের জন্য এতোগুলো মানুষকে মৃত্যুকূলে ঠেলে দিলেন। কোনো দূর্ঘটনার জন্য মূলত দুটি কারণ থাকে
(১) পরিবহনের যান্ত্রিক সমস্যা।
(২) ড্রাইভারের অসচেতনতা।
ইউএস বাংলা বিমানটি এক্সিডেন্টের কারণে এই দুটি বিষয়ই পাওয়া যায়।
(১) এই বিমানটিই দুবছর পূর্বে সৈয়দপুর বিমানবন্ধরে রানওয়ে থেকে ছিটকে পরেছিলো, এটিকে পুরোপুরি মেরামত না করে কেবল একটি পার্টস পরিবর্তন করেই গুঁজামিল সার্ভিস দিচ্ছিলো এই কদিন। আর এই বিমানটিই রানওয়েতে জ্বলে গেছে নেপালে।
(২) পাইলটকে কতোটা মানসিক চাপে রেখে বাধ্য করা হয়েছিলো এর রুপটি দেখুন।
(ক) গত পরশু রাত ৯ টায় চাকুরী থেকে ইস্তফা পত্র কোম্পানি প্রধানের কাছে জমা দিয়েছেন উক্ত পাইলট। অর্থাৎ সদ্য চাকরি থেকে রিজাইন নেওয়া একজন পাইলটকে দিয়ে বাধ্য করা হয়েছে।
(খ)পাইলটকে গতকাল সকাল ০৭.৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমে ড্রাইভিং সিটে বসে এবং ৯.৩০ মিনিটে ঢাকায় আসতে হয়েছে। আধা ঘন্টা পর আবার সকাল ১০.০০ টায় ড্রাইভিং সিটে বসে চট্টগ্রাম ফ্লাই করে ১২টায় ঢাকায় আসতে হয়েছে।
(গ) এই সদ্যরিজাইন নেওয়া পাইলটের উপর এয়ারলাইন্স কম্পানি তাকে কেমন যেনো শাস্তি দিতে চেয়েছেন, উনি কেন রেজাইন নিয়েছেন? আবার তাঁকে দুপুর ১২.৩০ মিনিটে কাঠমুন্ডু ফ্লাই করতে হয়েছে। সাড়ে তিন ঘন্টায় পরপর তিনবার (দুইবারে চার বার) ফ্লাই করতে হয়েছে, কতটা মানসিক চাপে ছিলেন তিনি?
আর নেপালের বেমানবন্দরের কর্মকর্তাদের কথা দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে পাইলট নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। কেনো পাইলটকে এভাবে হয়রানি করে এত্তোগুলো মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হয়েছে?? বিমান কতৃপক্ষের কাছে জবাব চাই। এটা কোনো এক্সিডেন্ট নয় এটাকে বলা যায় ৬০জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা।
ইউএস বাঙলার কতৃপক্ষকে কঠিন থেকে কঠিন প্রকাশ্য শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে পরবর্তিতে কোনো অপরাধীই এতো মানুষের জীবন নিয়ে হলিখেলা না খেলতে পারে। আর একটি অযোগ্য বিমান কী করে বিমানবন্দর থেকে উড্ডায়ন করে? এটিও আমার বোধগম্য নয়। এর জন্য বিমানবন্দর কতৃপক্ষকেও রিমান্ডে নেওয়া হোক। এই জন্য দেশের প্রত্যেকটা মানুষ তার তার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখুন।
বিষয়: বিবিধ
৯৪১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যারা এতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ইনভলড্ (বাংলাদেশ বা নেপাল) সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা লাগবে।
আর নেপালকে সাহায্য করা উচিত যাতে তাদের ভয়ংকরতম বিমানবন্দর সুন্দরতম বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করা যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন