হুজুরদের আমার ভীষণ ভালো লাগে।
লিখেছেন লিখেছেন Ruman ২৮ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:৫৮:০৫ সকাল
হুজুরদের আমার ভালো লাগে। ভীষণ ভালো লাগে। এজন্যই তাঁদের সঙ্গে মেলামেশা বেশি।
.
তাঁদের সবকিছু ব্যাতিক্রম। সবসময় একটা পরিপাটি ভাব। শুভ্র পোশাকে কেমন যেন বেহেশতি আবহ। আঁতরের মিষ্টি গন্ধ। মুখে মিষ্টি ব্যবহার। শান্ত-শিষ্ট আচরণ। কেমন যেন কোমল মোলায়েম।
.
কথা শুনতে ভালো লাগে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতেও কেমন শান্তি শান্তি লাগে। সবার কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন। ছোট হোক বা বড়। এই ব্যাপারটা বেশ লাগে। আমাদের মতো ইগো প্রবলেম বা প্রেস্টিজ ভয় কখনো দেখি নাই।
.
সুশৃঙ্খল চলাফেরা। আড্ডাবাজি নাই। চায়ের দোকানে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা আকামে কাটায় না। সাধারণ মানুষের মতো সামান্য কথা কাটাকাটিতে উত্তেজিত হয়ে ঝগড়া বাঁধায় না।
.
যে রসিকতায় আমরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ি, তাঁরা মুচকি হাসিতে সেরে ফেলে। মার্জিত ব্যবহার। জীবন যাপনে একটা মুগ্ধতা ছড়ায়।
.
তাঁদের জীবনের পরিসর ছোট। ব্যপকতা কম। তাই চাহিদা কম। ফলে টেনশন কম। যেন সুখী মানুষের উদাহরণ।
আবার পরিবারের দায়িত্বও সুচারুরূপে পালন করেন।
আজ পর্যন্ত শুনি নাই কোনো হুজুর মাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে এসেছে বা মা-বাবাকে অবহেলা করেছে অথবা ভাইয়ের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়ে আলাদা থাকছে।
.
ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, স্বামী হিসেবে তারা অতি উত্তম। স্ত্রীর প্রতি ব্যাপক অনুরাগ লক্ষ্য করেছি। স্ত্রীকে ছোট করে কথা বলা, খোঁচা দিয়ে কথা বলা, উত্তেজিত হয়ে মার দেয়া এসব কিছুই তাঁদের চরিত্রে দেখি নাই। তাঁদের ইনকাম কম। কিন্তু স্ত্রীরা সন্তুষ্ট।
.
চারপাশে স্ত্রীর অযাচিত ঘ্যানর ঘ্যানর শুনি। কিন্তু হুজুরদের বউদের ক্ষেত্রে কখনো এরকম শুনি নাই। স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ নিয়ে সালিশ বহু দেখেছি, কিন্তু হুজুরদের মধ্যে এমন সমস্যা দেখিনি।
.
তাঁদের স্ত্রী সন্তুষ্টির ব্যাপারটা আগে আমার কাছে রহস্য ছিলো। জ্ঞান বাড়ার সাথে সাথে বিষয়টি ক্লিয়ার হলাম। তারা আসলে অন্যদিক দিয়েও স্ত্রী সন্তুষ্ট করতে তুলনামূলকভাবে এগিয়ে। হুজুরদের পৌরুষত্ত্বের আধ্যাত্মিক এবং সায়েন্টিফিক কারণ এখন বুঝতে পারি। এইটা অবশ্য খোলামেলা আলোচনার বিষয় না। কিন্তু সবাই আমার মতো খোলামেলা না। তাই কবো না।
.
খেয়াল করলে দেখবেন পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রীদের মধ্য হুজুরদের বউ খুবই নগন্য। লাখে একটা হয়তো। যদিও আমি দেখিনি এখনো।
.
যাক সে কথা ......মূকমাফি মেয়েরা হুজুরদের গুরুত্ব বুঝে না বলেই অনাগ্রহ বোধ করে।
.
আমার কাছে হুজুরদের জ্ঞান এবং জ্ঞানের গভীরতা সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি ঠেকে। ফাউল কথাবার্তা শুনি না তাঁদের মুখে। কথা বলেও বুঝে শুনে। দায়িত্বশীল। অথচ জবের ক্ষেত্রে তাদের প্রায়োরিটি কম।
.
ফ্যামিলিতে একজন হুজুর থাকলে সেই ফ্যামিলির মূল্যবোধ স্পষ্টভাবে আলাদা হয়ে ধরা পড়ে।
.
তাঁদের সঙ্গে থাকলে নিজেকে পাপী পাপী লাগে। একটা জড়তা কাজ করে। হুজুরের পাঞ্জাবী সাদা। আমার শার্টও সাদা। কিন্ত তাঁদের সঙ্গে থাকলে মনেহয় আমার শার্ট ময়লাযুক্ত।
.
তাঁদের সঙ্গতায় পাপ থেকে দূরে থাকার বাসনা জাগে। যেমন আমি আগে মেয়েদের ছবিতে কমেন্ট করতাম। যেহেতু সুন্দরীদের প্রশংসায় আমি বিশেষ পটু - তো কমেন্ট হতোও সেই লেভেলের। কিন্তু লিস্টে হুজুর ঢোকা শুরু করার পর আমি সেইটা বন্ধ করে দিয়েছি। লজ্জা লজ্জা লাগে।
.
উপরে অনেকবার হুজুরদের তুলনা দিতে গিয়ে অন্যান্যদের সাধারণ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেছি। কারণ আমার চোখে হুজুরেরা অসাধারণ।
শৌর্যে, বীর্যে, ধৈর্যে, জ্ঞানে, চরিত্রে সবদিক দিয়ে তাঁরা উন্নত।
আই জাস্ট লাভ হুজুর।
বিষয়: বিবিধ
৯২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন