আদর্শিক আইডল চিনতে পারাটা সফলতার প্রথম ধাপ।
লিখেছেন লিখেছেন Ruman ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:০৮:৫৩ রাত
আজকের নতুন প্রজন্ম আইডল চিনতে বড়ই সমস্যা করছে, আরো আশ্চর্য হচ্ছি ১২বছর কওমি মাদরাসার ফ্লোরে মাজা ঘষতে ঘষতে ক্ষয় হয়ে যাওয়া সেই ছাত্রটিও যখন আইডল চিনতে ভুল করে, তখন আফসোস প্রচন্ডভাবে বেড়ে যায়।
যখন দেখি, বুয়েটের ছেলেটি খুব সাধারণ পাঞ্জাবী পরিধান করে কাকরাইল মাসজিদে শুয়ে থাকে। আর কওমি ছাত্রটি মুক্তমনা হওয়ার আশায় "মুভ ফাউন্ডেশনে" নাম লেখায়, আর আমাদের তথাকথিত ইসলামিক পোর্টালগুলো তার আদর্শ জাতীর সামনে তুলে ধরে, তখন আমি আশংকিত থাকি এটাও কওমিদের মুক্তমনা বানানোর ষড়যন্ত্র কি না?
কওমি মাদরাসার ছাত্র হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেলে পড়াশোনা করলেই আইডল হওয়া যায়না। আইডল হতে হলে ভিতটা মজবুত হতে হয়। সারা জীবন স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে পড়েও যেই ছেলেটা সাধারণ পাঞ্জাবি পরিধান করে ভার্সিটিতে যায়, বন্ধুদের শত ব্যঙ্গত্মকতার মাঝেও নিজেকে ঠিক রাখে, তার চেয়ে আইডল আর কে হতে পারে??
প্রতি বৃহস্পতিবার কাকরাইল মাসজিদে গেলে এমন শত শত আইডলের সাক্ষাত পাবেন। তারা আমাদের আইডলদের মতো মুক্তমনা নয়, আমাদের আইডলদের যেমন রংপুরে ৬জন মুসল্লির মৃত্যু তার ভিতরে নারা দেয়না, হিন্দুদের পোড়া ঘর দেখে তার হ্রদয় উথলে উঠে, হিন্দু মহিলার আহাজারি প্রোফাইল পিক দিয়ে শিরোনাম দেয় "এটাই বাংলাদেশ"
ছিহ! ছিহ! ছিহ! আমরা লজ্জিত এমন ছাত্র কওমি মাদরাসা থেকে বের হয়েছে। এটা কওমি মাদরাসার কলংক। সর্বত্র আজ মুক্তমনাদের হিরিক পরেছে এতে গা জরিয়ে দিচ্ছে কওমি ছাত্ররাও। আহ আফসোস! শত আফসোস!
বিষয়: বিবিধ
৯২৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার নিজের খালাতো ভাই ছিল। যিনি আলীয়া মাদ্রাসায় থেকে পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ ভর্তি হয়, আমারও পাঁচ বছরের বড় ছিল। এফ.রহমান হলে থাকতো, একদিন আমার হল(Asanullah Hall) থেকে তার হলে গেলাম। দেখলাম, সিগারেট টানছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। এটা আমলের ব্যাপার। পড়ে জানলাম ,সে জুয়াও খেলত। বুঝলাম তার অবনতি হয়েছে। কিছু বলার ছিল না। আজ আর বাংলাদেশে থাকি না, জানি না, কি করেন তিনি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন