সংসারে শান্তিস্থাপনে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব!
লিখেছেন লিখেছেন Ruman ১৮ অক্টোবর, ২০১৭, ০১:২৭:০৮ দুপুর
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরিক মিল
একান্তই জরুরী। এই মিলই
একটি সংসারকে মজবুতভাবে বেঁধে রাখতে
পারে। অপরদিকে এ জিনিসের অভাবে সংসার ধ্বংস ও
বরবাদ হয়ে যেতে পারে। এজন্য এব্যাপারে সযত্ন
চেষ্টা করে যাওয়া উভয়ের কর্তব্য।
এÿÿত্রে নারীদের ভূমিকা বেশি। কেননা পুরুষের
তুলনায় নারীকে আল্লাহ তাআলা কোমল
করে সৃষ্টি করেছেন। তার মনটাকেও করেছেন
কোমল। এজন্য নারীর সর্বদা কোমলতা অবলম্বন
করাই শ্রেয়। অপরপক্ষ থেকে যদি কখনও
কঠোরতা আসে তবু মেনে নেয়া উচিত।
তাহলে কঠোরতা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
বরং শীঘ্রই তা নম্রতায় এমনকি ভালবাসায় পরিণত হবে।
কিন্তু এই সত্যটা বুঝতে আমাদের খুব কষ্ট হয়।
কেননা আমাদের সঙ্গে সর্বদা এমন এক শত্রু ওঁত
পেতে আছে, যে আমাদের ক্ষতিই পছন্দ করে।
তাই সহজ বিষয়গুলোকে আমাদের সামনে কঠিন
করে দেখায়। যার ফলে আমরা ধোঁকা খাই এবং ধাঁধায়
পড়ে যাই। আর দুশমন নীরবে হাসতে থাকে।
তবে একবার
যদি আমরা সত্যকে বুঝে নিতে পারি এবং কাঠিন্যের
আবরণযুক্ত সহজ বিষয়টাকে আয়ত্ব
করতে পারি তাহলে এমন পরিতৃপ্তি হাসিল হবে যার
কোন তুলনা হয় না।
অবশ্য পুরুষকেও
মনে রাখতে হবে নারী সৃষ্টিগতভাবে দুর্বল। এ
দুর্বলতার সুযোগে তার
সাথে কঠোরতা করা অন্যায়। কারণ তার দুর্বল
শরীরের মাঝেও একটি হৃদয়
আছে এবং সে হৃদয়ে অনুভব-অনুভূতি আছে। তার
ব্যথিত হৃদয়ের আহ! ধ্বনি পৌঁছে যায় সপ্ত আকাশের
উপরে আরশের উচ্চতায়। সেই
ধ্বনি প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে অন্যরকম
শক্তি নিয়ে। তাই আজ যদি তার প্রতি কঠোরতা করা হয়
কাল এর বদলা নেমে আসবে আরশ থেকে। কারণ
মাযলুমের ফরিয়াদ ও আরশের মালিকের
মাঝে কোনো পর্দা থাকে না। আমাদের
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের
প্রতি কোমল ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন
এবং নিজেও জীবনে তা বাস্তবায়ন
করে দেখিয়েছেন। তাই নবীর উম্মতের জন্যও
জরুরী, নারীর সঙ্গে সদয় আচরণ করা।
মোটকথা, সংসারে শান্তি স্থাপনের জন্য স্বামী-
স্ত্রী উভয়েরই কর্তব্য পরস্পরের প্রতি সদ্ভাব
বজায় রাখা। সচেতন নারী-পুরুষের এ
ব্যাপারে অবহেলা করা মোটেই উচিত নয়। কারণ
স্বামী-স্ত্রীর এ সম্পর্ক শুধু তাদের দুজনের
মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং পুরো একটি গোষ্ঠির
উপর এর প্রভাব পড়বে। কারণ তাদের
থেকে একটি নসল ও বংশধর সৃষ্টি হবে, যারা তাদের
ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠবে। ফলে এই সম্প্রীতি ও
সৌহার্দ্যের প্রভাব সেই নসলের উপর পড়বে।
এভাবে এক একটি পরিবারের সমন্বয়ে যখন
একটি সমাজ গড়ে উঠবে সেই সমাজ কতই না সুন্দর
আর শান্তিময় হবে!
বিষয়: বিবিধ
৭৫৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ এর মানে হল নারীকে শারীরিক আঘাত করলে সে বেশী ব্যথা পাবে বিধায় তাকে কোন শারীরক আঘাত করা যাবে না ।
ক্বুরআনে একটা বিশেষ পর্যায়ে গেলে নারীকে প্রহার তথা শারীরিক আঘাত করার কথা বলা আছে।
কিন্তু সেরকমটা তো মনুষ্য আইন দ্বারা রহিত করে দেওয়া আছে।
নারীরা সৃষ্টিগতভাবে দূর্বল হলেও আইনগতভাবে এরা অনেক শক্তিশালী । তাদের ১ টা মিথ্যা কথা হাজারটা পুরুষের হাজারটা সত্য কথার চেয়েও বেশী গ্রাহ্য হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন