সুন্দরি মেয়ে দেখলেই ছেলেদের হৃদয়ের মরুভূমিতে পানির ঢেও বয়ে যায়।

লিখেছেন লিখেছেন Ruman ৩১ আগস্ট, ২০১৭, ০৭:৫৩:০৮ সকাল

মেয়েদের নিয়ে ছেলেদের একটা কৌতুহল সবসময় থাকে। সুন্দরি মেয়ে দেখলেই ছেলেদের হৃদয়ের মরুভূমিতে পানির ঢেও বয়ে যায়। কিন্তু একটা সুন্দরি মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে আনার পর প্রথম রাত, প্রথম মাস বা প্রথম বছর যে অনুভূতি থাকে সময় গড়াবার সাথে সাথে সেই অনুভূতি বা আকর্ষণের মধ্যে ভাটা চলে আসে। কারণ দুনিয়ার যে কোন সৌন্দর্য এক জায়গায় স্থির থাকে, তার মাঝে কোন পরিবর্তন আসে না। খুব সুন্দর একটি মেয়ে-তার সৌন্দর্য স্থির, অপরিবর্তনশিল, বৈচিত্রহিন। আর মানুষকে আল্লাহপাক বৈচিত্রের প্রতি অনুসন্ধানি করে বানিয়েছেন। সে বৈচিত্র পছন্দ করে। বৈচিত্রহীনতায় একঘেয়েমি চলে আসে। আর একটু সহজ করে বলি। একজন বিরিয়ানি খুব পছন্দ করে। এখন তাকে যদি প্রতি বেলায় বিরিয়ানি দেয়া শুরু করা হয় তখন সেই প্রিয় বিরিয়ানির প্রতি তার অনিহা চলে আসবে। সে হয়ত তখন সবজি ডাল ভাতের তালাশ করবে। তাই দুনিয়ার যে কোন জিনিস সেটা যত ভাল বা যত সুন্দরই হোক না কেন তা মানুষকে পূর্ণ তৃপ্তি কখনই দিতে পারে না। দুনিয়ার যেই সব মোহ মানুষকে ধোকায় ফেলার জন্য খুব বিপদজনক সেগুলোর মধ্যে আল্লাহ্‌ পাক কুরআনে সূরা আল-ইমরানে মেয়েদের কথা প্রথমে উল্লেখ করেছেন। বড় বড় ওলী আওলিয়াদের ধোকা দেয়ার জন্য শয়তান অস্ত্র হিসেবে মেয়েদের ব্যবহার করার ইতিহাস অতি সমৃদ্ধ। মেয়েদের সৌন্দর্য যেমন বৈচিত্রহিন, তাদের দ্বারা যে আনন্দ লাভ হয় তাও বৈচিত্রহিন। আব্দুল কাদের জিলানি (রহঃ)-এর কাছে বোরকা পড়া একটি মেয়ে এসে বলল- হুজুর, যদি শরিয়তের বাধা না থাকত তাহলে আমি আমার নেকাব সরিয়ে আপনাকে দেখাতাম আমি কত সুন্দর। কিন্তু তারপরও আমার স্বামি অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখে! দুনিয়ার বস্তুতে যখন একঘেয়েমি চলে আসে তখন মানুষ নতুনের তালাশ করে। এক্ষেত্রে গোনাহগাররা জিনায় লিপ্ত হয়, যাদের সেই সুযোগ থাকে না তারা নগ্ন মেয়েদের ভিডিও দেখে, হস্তমৈথুন করে, আর পরহেজগাররা আল্লাহ্‌র ভয়ে সবর করে। কিন্তু জান্নাতে এরকম হবে না। জান্নাতি লোক যখন প্রথমবার তার স্ত্রির নেকাব সরাবে, সেই সৌন্দর্যের সে নেশায় পরে যারে। যখন চোখের পলক পরবে, তখন তার স্ত্রীর সৌন্দর্য আগের থেকে ৭০ গুন বেড়ে যাবে, তার শরিরের গন্ধে পরিবর্তন আসবে। আবার চোখের পলক পরবে, আবারও সৌন্দর্য ৭০ গুণ বাড়বে। এভাবে প্রতিনিয়ত তার সৌন্দর্য আগে বারতে থাকবে। তাই তাকে দেখার নেশা, আকর্ষণ ও আগ্রহ বাড়তেই থাকবে, কখনও একঘেয়েমি আসবে না। দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ি, এখানকার মিষ্টতা ক্ষণস্থায়ি, এর জন্য জীবনের হায়াতের মূল্যবান শ্রম ও অর্থকে নষ্ট করা বোকামি। দুনিয়া শুধু দ্বায়িত্ব পালন করার জায়গা, এটি দিল লাগাবার উপযুক্ত নয়। দুনিয়ার সাথে যে দিল লাগাবে তার স্থান জাহান্নামের ষষ্ঠ গভিরতম স্থান জাহিমে মুশরিকদের সাথে। দুনিয়াতে অল্প হায়াত নিয়ে এসেছি আমরা, সবার সাথে উত্তম আখলাকের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে ও আল্লাহ্‌র বন্দেগী করে আখিরাতে আল্লাহ্‌র সামনে হাজির হই। আল্লাহ্‌ পাক সকল চাহিদা সেখানে পুরা করবেন।

বিষয়: বিবিধ

১৫২০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383900
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : যথার্থ সুন্দর লেখেছেন । জাজাকাল্লাহ মুহতারাম
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ০৮:১৬
316774
Ruman লিখেছেন : ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠّٓﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ
384119
০২ অক্টোবর ২০১৭ রাত ০৮:১৫
হারেছ উদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই;

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File