১৮ বছরের নিচে বিয়ে থামান !!! কিন্তু ১২ বছরের মেয়েকে পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেন কেন ? বলেন ?
লিখেছেন লিখেছেন Ruman ৩০ জুলাই, ২০১৭, ০৯:১০:১২ সকাল
বাল্যবিয়ে নাকি বাংলাদেশের আইনত নিষিদ্ধ।একজন নারী-পুরুষ পরস্পর সম্মতিতে বৈধ উপায়ে বিয়ে করবে, এটা মানতে পারেন না বাংলাদেশ সরকার।
কিন্তু এই সরকার-ই ১৮ বছরের নিচে বহু নারীকে পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেয় !!!
বাংলাদেশের সংবিধানে বড় করে লেখা আছে- গণিকাবৃত্তি নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
(অনুচ্ছেদ ১৮ (২)
কিন্তু তারপরও সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশে ১৪ থেকে ১৮টি গনিকা বা পতিতালয় আছে।
এগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইল শহরের বেবীস্ট্যান্ড কান্দাপাড়া যৌন পল্লী,
রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী,
খুলনার সুন্দরবন সংলগ্ন বানীশান্তা পতিতা পল্লী,
যশোরের বাবু বাজার পতিতা পল্লী,
মাড়োয়ারী মন্দির পতিতাপল্লী,
ঝালাইপট্রি পতিতাপল্লী,
ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লী, ময়মনসিংহ গাঙ্গিনাপাড় যৌনপল্লী, জামালপুরের রাণীগঞ্জ পতিতাপল্লী উল্লেখযোগ্য।
এসব যৌনপল্লীতে সরকার অনুমোদিত লাইসেন্সধারী পতিতা রয়েছে। সংখ্যা জানতে চান ? কত ?
মজার বিষয় হচ্ছে, এই সব লাইসেন্সধারী পতিতাদের একটি বড় অংশ হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে।
এরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে।
The Global March Against Child Labour - এর হিসেব মতে বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার !!!
২০০৫ সালে মার্কিন সরকারের মানবাধিকার রিপোর্ট অনুসারে অবশ্য ১৮ এর নিচে পতিতার সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজারের বেশি। এসব শিশু পতিতারা শরীরবৃদ্ধির জন্য গরু মোটতাজাকরণ ট্যাবলেট খায় এবং দৈনিক ১৫-২০ জন পুরুষের সাথে মিলিত হয়।
গত ২০১৬ সালের ৩১শে অক্টোবর ব্রিটেনের ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কান্দাপাড়া পতিতাপল্লী নিয়ে একটি রিপোর্ট করে। রিপোর্টে সাংবাদিক জানায়, এ পতিতাপল্লীতে একটি নারী প্রবেশ করে ১২-১৪ বছর বয়সে। (http://ind.pn/2dUUOgO)
গত বছর বিদেশী কয়েকটি মিডিয়ায় বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কান্দাপাড়া পতিতাপল্লী পতিতাদের ছবিসহ নাম প্রকাশ পায়। সেখানে ১৪ বছর বয়সের আসমা,
১৭ বছর বয়সের কাজল,
১৫ বছর বয়স্ক পাখি,
১৭ বছর বয়সের সুমাইয়াকে দেখা যায়,
খদ্দেরকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় (http://bit.ly/2vgGsj3)।
একটু চিন্তা করে দেখুন, কেউ ফোন করে বল্ল ১৮ বছর বয়সের নিচে কোন নারীর বিয়ে হচ্ছে, এটা শুনে
ইউএনও, --------->>>>>
ম্যাজিস্ট্রেট ------->>>>>>>
দৌড় দিয়ে যায় বিয়ে ভাঙ্গতে।
টাঙ্গাইলের ইউএনও ইসরাত সাদমীন দৌড়ে যান মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দিতে। এরপর ঐ মেয়ের সাথে পোজ দিয়ে ছবি তুলে সেই ছবি দেশজুড়ে ছড়িয়ে কৃতিত্ব জাহির করেন।
কিন্তু বিদেশী মিডিয়ায় যখন সেই টাঙ্গাইল জেলার ১৪ বছর বয়সের আসমা, ১৭ বছর বয়সের কাজল, ১৫ বছর বয়স্ক পাখি, ১৭ বছর বয়সের সুমাইয়া নামক পতিতাদের দেখা যায় খদ্দেরকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় (http://bit.ly/2vgGsj3)
তখন কেন ইসরাত সাদমীন দৌড়ে যান না ? কেন তাদের পতিতালয় থেকে উদ্ধার করেন না ?
বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রায় আইন প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু শিশু পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে আইন আছে। বিধির ৩৭২, ৩৭৩, ৩৬৪.ক ও ৩৬৬.ক ধারায় বেশ্যাবৃত্তির জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্রয় ও বিক্রয়ের শাস্তির বিধান বর্ণিত হইয়াছে।
এসব আইন অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তির ১০-১৪ বছরের জেল হতে পারে। এই আইন গুলো কেন ইসরাত সাদমীন প্রয়োগ করেন না ???
ইসরাত সাদমীনদের বলতে চাই, বৈধ বিয়ে হলে কেন আপনাদের এত কষ্ট, কেন এত আইন ?
আপনাদের আইনগুলো কেন পতিতাপল্লীর শিশু পতিতাদের জন্য বন্ধ থাকে?
কেন সেগুলো প্রয়োগ করেন না ?
জাতি আজ এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এর কিছুদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫জন ছাত্রী ও ৪ জন ছা্ত্র মিলে পাশের হোটেলে সেক্স মুভি বানানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর তাদেরকে ১০০ টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হলো! এই দ্বারা বুঝা যায়, সরকার নিজেই পতিতা চরিত্রের অধিকারী। তাই ইসলামকে এবং ইসলামি আইন কানুন কে পরওয়া করে না।
ধন্যবাদ আপনাকে
বেশ্যবৃত্তি পৃথিবীর আদিমতম পেশা । এ পেশায় কচি মালের রেট অনেক বেশী । কচি মাল পেতে বাল্য বিয়ে ঠেকানো আবশ্যক।
যারা বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা ক্লায়েন্টদেরকে কচি মাল সরবরাহ নিশ্চিত করে ব্যবসায় লাভবান হতে চায় । এজন্য চারদিকে এরা এত চিল্লা ফাল্লা করে , পাছে বাল্য বিয়ে একসেপটেড হয়ে গেলে তাদের ব্যবসা লাটে উঠবে।
চমৎকার
মন্তব্য করতে লগইন করুন