নামাজের মাধ্যমেই খোদা প্রেম অর্জন ও তাঁর দর্শন লাভ।

লিখেছেন লিখেছেন Ruman ১৯ জুলাই, ২০১৭, ০৬:০২:০০ সকাল

দয়ালূ মাবুদ বড়ই কৃপা করে আমাদেরকে তাঁর দরবারে পৌছানোর নিমিত্ত এক মহা মূল্যবান বাহন দান করেছেন যাতে আরোহন করা মাত্রই আমরা মুহুর্তের মধ্যে তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁর দিদার লাভে ধন্য হই। এই মূল্যবান-মহামূল্যবান বাহনটির নামই “সালাত” অর্থ্যাৎ নামাজ। দয়ালু নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হে অসাল্লাম তাঁর পবিত্র মুখে বনর্ণা করেছেন “আসসালাতু মি’রাজুল মু’মিনিন” নামাজ মোমেন দিগের জন্য মেরাজস্বরুপ। “মেরাজে গমন পূর্বক হুজুর পাক (সঃ) যেভাবে মহান মাওলার দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁর সাথে কথোপকথন ও বাক্যলাপ করেছিলেন এবং তাঁর সাথে ভাবের আদান-প্রদান করে ধন্য হয়েছিলেন অনুরুপ ভাবেই প্রত্যেকটি মুসল্লী প্রতিদিন পাঁচ বারই তাঁর পাকদরবারে হাজির হয়ে অনুরুপ সৌভাগ্যের অধিকারী হয়।

আল্লাহপাকের সহিত কথোপকথন যা কেরাত পাঠের মাধ্যমেই হয়ে থাকে এবং নামাজ পাঠকালিন আল্লাহপাক তাঁর সম্মুখে দন্ডায়মান আছে এরুপ বিশ্বাস মনে পোষন করে মানস চক্ষে তাঁকে নিরীক্ষন করাই হবে তার দিদার বা দর্শন লাভ এবং সেজদা ও তাশাহুদের মাধ্যমে বান্দা একেবারে মাওলার কাছাকাছি হয়ে যায় ও তাঁর সান্নিধ্য লাভ করে থাকে। নবী করিম (সঃ) বলেছেন “সেজদা কালিন বান্দা তাঁর প্রভুর অধিক নিকটবর্তী হয়ে যায়। অতএব, ঐ সময় খুব বেশী করেই দোয়া করো”। আমরা অধিকাংশ নামাজী অবগত নই যে, নামাজ কি ও কেন? ইহা কত বড় দৌলত! কত মহামূল্যবান সম্পদ! আমরা অধিকাংশ নামাজী কেবল মাত্র যন্ত্রচালিতের ন্যায় বা অভ্যাস বশত রুকু-সেজদা, কুয়ুদ-কেয়াম, উঠা-বসা, ইত্যাদি করে থাকি, এবং মুখস্তের জোরেই কিছু আবৃত্তি করে নামাজ সমাধা করে থাকি। না আছে তার উলব্ধি না তাঁর অনুভুতি। আমাদের এহেন উঠা-বসা অঙ্গভঙ্গি বা মুখুস্তের জোরে কিছু আবৃত্তি করার নামই কি সত্যিকারের নামাজ? না, কখনই নয়। মহান মাবুদ নামাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বর্ননা করেছেন- “আকিমুস সালাতা লিজিক্রি” আমাকে স্মরন করার উদ্দেশ্যে নামাজ প্রতিষ্ঠিত করো” এই আয়াতে কারিমার দ্বারা সুস্পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ কে বিস্মরন বা তাঁকে ভুলে যাওয়ার নাম কখনই নামাজ নয় অথচ আমরা অধিকাংশ মুসল্লিই নামাজ পাঠ কালে কত বস্তু, ব্যক্তি, কত কাজ, কারবার ইত্যাদির কথাই না চিন্তা করে থাকি, কারো সংসারের চিন্তা, কারো চাকরি-বাকরির চিন্তা, কারো ক্ষেত-খামারের চিন্তা, কারো ব্যবসা-বাণিজ্যের চিন্তা ইত্যাদি ইত্যাদি। এই রুপ অসংখ্য চিন্তা নামাজ পাঠকালীন আমাদের মানস পটে ভেসে উঠে ও ভীড় করতে থাকে। সুধী পাঠক! চিন্তা করুন এটা আমাদের কেমন নামাজ? কোন ধরনের নামাজ ? একে কি কখনও নামাজ বলে আখ্যায়িত করা যায়? আমরা কি নামাজে আল্লাহকে স্মরণ করলাম, না তাঁকে বিস্মৃত হলাম? যে নামাজে না আছে আন্তরিকতা, না আছে অনুভুতি ও উপলদ্ধি, না আছে প্রেম-ভালবাসা, না আছে অশ্র“পাত, না আছে তৃপ্তি বা শান্তি তা কেমন করে সত্যিকারের নামাজ হতে পারে?

বিষয়: বিবিধ

৮৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File