একটি ভয়াবহ দুঃসংবাদ.!!!

লিখেছেন লিখেছেন Ruman ১৭ জুলাই, ২০১৭, ০৭:৫৩:১৯ সকাল

বাংলাদেশে বর্তমান নিঃসন্তান দম্পতির সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। সত্যিই অবাক হওয়ার মত। আবার এই রেট ক্রমেই বাড়ছে। ইনফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট সেন্টারগুলোতে গেলেই বুঝা যায় কি হারে বাড়ছে এই হার। আর নিঃসন্তান দম্পতির দীর্ঘশ্বাস সত্যিই খুব করুন। আমার এক সিনিয়র ডাক্তার ফ্রেন্ড বলছিলেন এক রোগীর কথা, যে দুই হাত জড়ো করে বলতেছিলেন, ডাক্তার সাহেব একটা বাচ্চা চাই তার বিনিময়ে যা করতে হয় সব করতে রাজি আছে।

এই স্ট্যটাসটা শুধু তাদের জন্য, আমার ফ্রেন্ডদের ভিতর যারা নতুন বিয়ে করছেন। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য নয়। কিঞ্চিত ১৮+।

কিছু তথ্য মনে হয় অনেকেরই অজানা, যেটা শেয়ার করলে হয়ত কেউ উপকৃতও হতে পারে।

একটা প্রশ্ন সহজেই মাথায় আসে, আজ থেকে মাত্র ১০০ বছর আগেও অর্থাৎ আমাদের নানা দাদাদের সময়ত এরকম শোনা যায়নি। বরং অনেকেই বলতে লজ্জা পায় আমরা ১১ ভাই ৯ বোন। কেন এই সামান্য সময়ে এত পরিবর্তন?

কারনগুলোর ভিতর আমার কাছে মনে হয় প্রথমত, বিয়ের পর পর আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করা। সন্তান আল্লাহর নেয়ামত।

অনেকেই মনে করেন সবেমাত্র বিয়ে হল আরও ২-৪ বছর এনজয় করি, ক্যারিয়ার গড়ি তারপর বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা করব। তো এরপর পিল খাওয়া শুরু হয়। হ্যা, সব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এড দেয় সম্পূর্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত আমাদের এই পিল। একটা জিনিস সহজে বোঝা যায় সিগারেট কোম্পানীগুলো কখনও সিগারেটের বদনাম করবেনা। যেটুকু করে সরকার বাধ্য করে তাই করে।

একটা জিনিস চিন্তা করি প্রতি মাসে একজন মহিলা ৩০ টা পিল খাচ্ছেন। যেটা প্রতি পিরিওড সাইকেলে হরমোনাল চেন্জ নিয়ে আসছে যেটা স্পার্ম এবং ওভামকে উর্বর করতে দিচ্ছে না। এইভাবে ৩ বছর চলার পর স্বাভাবি হরমোনাল কন্ডিশন অনেক ক্ষেত্রেই ফিরে আসে না।

বিজ্ঞানের আর এক আবিষ্কার ইমারজেন্সি পিল। নো রিস্ক বা যাই বলেন। এক্সিডেন্টাল প্রেগন্যান্সি এড়াতে ব্যবহার হয়। একটোপিক প্রেগন্যান্সির সবচেয়ে বড় কারন এই ইমারজেন্সি পিল। একটোপিক প্রেগন্যান্সি ভয়াবহ জিনিস। যেটা সংক্ষেপে, বাচ্চা হবে কিন্তু বাচ্চা ইউট্রাসে না হয়ে অন্য কোন যায়গায় হবে। এবং বাচ্চা বড় হয়ে যাওয়ার পর আল্ট্রাসোনোতে ধরা পড়লে ইউট্রাস কেটে ফালানো ছাড়া আর উপায় থাকে না।

হ্যা, বাচ্চা কনসিভ হয়ে গেছে এরপর আর এক আবিস্কার এম এম কিট। যেটা ইউট্র্স থেকে বাচ্চা সদৃশ বস্তুকে ছুড়ে ফেলে দেয় প্রচুর রক্তক্ষরন হয়।

একটা মায়ের উপর এতগুলো ধক্কল চালানোর পর যখন ৩-৪ বছর পার হয় তখন চিন্তা করে এবার একটা বাচ্চা চাই। আল্লাহ ততদিনে অসন্তুস্ট হয়ে নেয়ামতকে উঠিয়ে নেন। এবার দৌড় শুরু হয় ইনফার্টিলিটি সেন্টারে, মাজারে, তাবিজ কবজ কত কি?

শুধু যে ইনফার্টিলিটি মেয়েদের হয় তা নয় ছেরেদেরও কম নয়।

মহিলাদের প্রধান কারনগুলোর মধ্যে কয়েকটিঃ -Stress অর্থাৎ অতিরিক্ত চাপে থাকা। বিশেষ করে চাকুরিজীবি মহিলাদের ক্ষেত্রে। ঘরেও চাপ অফিসেও চাপ।

এ জন্যই দেখা যায় গৃহীনি মহিলা থেকে চাকরিজীবি মহিলাদের ইনফার্টিলিটি রেট বেশি।

-অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ও শব্দে বেশি সময় অবস্থান। যেটা গার্মেন্টস কর্মীদের দেখা যায়।

- আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কারন অধিক সময় জন্মনিয়ন্ত্রন করা।

অন্যদিকে পুরুষের প্রধানত, কোন ক্ষেত্রে প্রতি mL এ যদি স্পার্ম সংখ্যা ২০ মিলিয়নের কম হয়ে যায় তখন ইনফার্টিলিটিতে চলে যায়।

এর অনেকগুলো কারনের মধ্যেঃ

- বড় একটা কারন স্মোকিং, ড্রাগস বা যেকোন ধরনের নেশা।

-এছাড়া পরিবেশ দূষনও একটা বড় কারন।

- অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা শব্দে যারা লম্বা সময় কাজ করে এটাও একটা কারন।

-আর একটা উল্লেখযোগ্য কারন হল টাইট পোষাক। স্কিন টাইট জিন্স। যেটা পরলে অতিরিক্ত চাপের কারনে স্পার্ম সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে।

এর বিপরীত কারনেই মনে হয় যারা পায়জামা, পান্জাবী পরে অর্থাৎ হুজুরদের সন্তান অনেক হয়।

শেষ কথা, ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার করে পারিবারিক ক্যারিয়ার ধ্বংস না করি। বিয়ের পরপর প্রথমবার আল্লাহ দিলেই বাচ্চা নিয়ে নেওয়া। ২-১ টা বাচ্চা হওয়ার পর যা ইচ্ছা করি। তাতে অন্তত পারিবারিক বন্ধন ঠিক থাকবে। তা না হলে বিয়ের পরের রোমান্স দুই চার বছর পর সন্তান না হলে জানালা দিয়ে পালাবে। সন্তানই হল পারিবারিক বন্ধনের প্রধান হাতিয়ার।

বিষয়: বিবিধ

৯০৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383569
১৭ জুলাই ২০১৭ দুপুর ০২:৩৯
আবু জারীর লিখেছেন : তাহলেতো দেখছি হুজুর হওয়াতেই লাভ।
বাস্তব কথা লিখেছেন।
ধন্যবাদ।
১৮ জুলাই ২০১৭ সকাল ০৯:৪৪
316618
Ruman লিখেছেন : আপনি তাহলে হুজুর?
383570
১৭ জুলাই ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:৪২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শিক্ষনিয় লিখাটির জন্য ধন্যবাদ।
383574
১৭ জুলাই ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:০১
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার
১৮ জুলাই ২০১৭ সকাল ০৯:৪৪
316619
Ruman লিখেছেন : ধন্যবাদ
383578
১৮ জুলাই ২০১৭ দুপুর ০২:৩৬
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরন রোধে সরকার - দুটি সন্তানের বেশী নয় , একটি হলে ভাল হয় এই নীতি নিয়েছে।

আধুনিকযুগের মেয়েরা অনেক ফিগার কনসাস বিধায় গর্ভধারণ করতে চায় না , করলেও সিজার করায়।

সন্তান ধারণ করলে বাল্কি হয়ে যায় বিধায় সন্তান ধারণ অনেক মেয়েই করতে চায় না ততদিন যতদিন তার রেট/কাটতি ভাল থাকে।

যেহেতু বিয়ে পুরুষ মানুষদের জন্য সম্পূর্ণরুপে একটা লস প্রজেক্ট তাই ফার্দার আরও লস থেকে বাঁচতে সে সন্তান নিয়ে বাড়তি ঝুট ঝামেলায় যেতে চাইবে না। লিভ টুগেদার , পর্ণ মুভি দেখে ও মাস্টারবেশন করে নিজের জৈবিক চাহিদা মেটানোর পথ খুঁজে নেবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File