বন্ধু এসো নিজেকে এবার প্রস্তুত করি...
লিখেছেন লিখেছেন Ruman ১২ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:২৮:১৬ রাত
কওমি মাদরাসার আলেমরা রাষ্টিয়ভাবে সামান্য কোন সুবিধা নিবে তা তারা মেনে নিতে পারে না। গতকাল রাত থেকে কয়েকটি গোষ্টির অনলাইন আক্রমন, টকশো অপপ্রচার, হিংসাত্তক বিরোধীতা কওমিওলাদের উপর বর্তমান সময়ের সকল আঘাতকে হার মানিয়েছে।
এটা শত্রু বন্ধু দালাল চক্র চেনার বড় একটি সময় আমরা পার করছি আমরা। বিবেক বন্ধক দেয়া জামাতি বন্ধুদের চেনা রাখার এখন মুখাম্মা সুযোগ। স্বীকৃতি আর আলেমদের প্রভাবসৃষ্টিকারী সাহসী ভূমিকা দেখে কেউ, কোন পক্ষই আজ সন্তুষ্ট নয়। কথিত ডান বামরা আজ কওমিয়ানদের বিরোধীতায় এক মোহনায়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা, কওমির ছেলেরা সরকারি চাকুরি নিতে পারবে, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে সহ কওমি মাদরাসা নিয়ে চির সত্য কিছু মন্তব্য, বেদাতি আর জামাতিদের মাথা খারাপ করে দিয়েছে। প্রতিযোগিতার বাজারে কওমির মেধাবীদের কাছে পরাজিত হয়ে চাকুরী হারানোর ভয়ে তারা উম্মাদের প্রলাপ বকছে। বামরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ছে, হুজুররা এভাবে সরকারের সাথে কাজ করলে, এদেশে আমাদেন আর বেইল থাকবে না। আমাদের প্রযোজন পুরিয়ে যাবে। তাই তাদের অবস্থা হল, পাগলের মাথা খারাপ।
এখন বামপাড়া সরকারের টুটি চেপে ধরার চেষ্টা করবে।
এখন সেক্যুলাররা পথ আগলে দাঁড়াতে ভুল করবে না।
এখন মাজারপন্থীরা কাঁটা বিছিয়ে রাখতে পিছপা হবে না।
এখন কম্বল জিহাদিরা কামান দাঁগাবে আরো শক্তভাবে।
এখন মওদুদিপন্থীরা ব্যর্থ আক্রোশে হম্বিতম্বি করবে।
এখন কুতার্কিকরা কওমি সিলেবাসের যৌক্তিকতা নিয়ে ময়না তদন্ত করবে।
বন্ধু! স্বীকৃতির ঘোষণা যতো সহজ, তা রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর করা ততো বন্ধুর। এজন্য আরো কঠিন পথ অতিক্রম করতে হবে। ঐক্যবদ্ধবাবে পথ চলতে হবে। নিজেদের ঐক্য সংহতি পারস্পারিক হৃদ্যতা সহমর্মিতা ও যৌত্র সিদ্ধান্ত, একে অপেরর প্রতি আস্থা বজায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের সমকালিন ইতিহাসে আলেমদের এই বিরল ঐক্যের প্রভাব কতোটা কার্যকর, আপোষহীন ও ফলপ্রসু হতে পারে তা গত রাতে পুরো পৃথীবী দেখেছে।
প্রিয় ভাই আমার! পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্যে তৈরি হোন। নিজেদের মধ্যে তর্ক ও ট্রল প্রচুর হয়েছে। এবার তা বন্ধ করুন। আসুন হাতে হাত রেখে কাজ করি। শত্রু মিত্র চিনে চলি। আকাবিরদের কৌশলি কাজ না বুঝে হিংস্রাে বসে বিরোধীতা না করি।
আমরা আমাদের বড়দের ঐক্যবদ্ধ সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে আকড়ে থাকি। বিজয় আমাদের আসবেই। পৃথিবীর ইতিহাসে নজির বিহীন ঘটনা, রাজদরবারে দাড়িয়ে আলেমরা হুংকার দিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর চোঁখে চোঁখ রেখে নানা অনৈসলামিক কাজের তীব্র প্রতিবাদ করা। এবং প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি নগদ মানাতে বাধ্য করা। এটা এদেশে কেন পৃথীবীর অন্য কোন মুসলিম দেশেও সম্ভব কিনা আমার জানা নেই। এটা সম্ভব আমাদের ইস্পাত কঠিন ঈমানি বলে বলিয়ান আকাবিরদের দ্বারাই।
মাত্র ক'দিন আগে ইফাও একটি উলামা মাশায়েখ সম্মেলন করলো। আল্লামা! এরশাদ বোখারিরা তেল মর্দন করলেও মাইকের সামনে ইসলামি বিরোধী কোন কাজের প্রতিবাদের দুঃসাহস দেখানোর মতো সামর্থ মেরুদণ্ডহীনদের ছিল না। মনে রাখতে হবে আলেমরা স্বীকৃতির কোন করুনা আনতে যান নি, গিয়েছেন অধিকারে দাবী নিয়ে। সরকারকে নিজেদের ঈমানী জাতীয় দাবীগুলো মানতে বাধ্য করাতে।
আলেমদের প্রধানমন্ত্রীর বিরল সম্মান, প্রতিবাদের সাথে একাত্ত্বা ঘোষনা করে মুর্তি সড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেখে
পুরো পৃথিবীর সামজ্রবাদের দোষরদের গাথাদাহ, মস্তিস্ক বির্কত দালাল মিডিয়া, আর বিদাতিদের ইনকিলাব, জামাতিদের নয়া দিগন্তের নতুন থিউরি যেন আমাদের বিভ্রান্ত না করে।
বন্ধু এই
অভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রস্তুত করুন। আসুন হাতে হাত রেখে বড়দের পাশে ইস্পাত কঠিন হয়ে দাড়াই। সরকারেকে নিজেদের দ্বারা প্রভাবিত করার লড়াই করি। কওমির চির দুশমন মওদুদীবাদ ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি। বুদ্ধিভিত্তিক লড়াই আর ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের কোন বিকল্প নেই আজ আমাদের
বিষয়: বিবিধ
৮৯৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমৎকার
মন্তব্য করতে লগইন করুন