কয়েকটি বর্জনীয় দৃশ্য ।
লিখেছেন লিখেছেন Ruman ০৯ এপ্রিল, ২০১৭, ০৮:৪০:৩৫ সকাল
কিছু বিষয় আছে, যা নিজেরটা নিজে দেখা যায় না বা অনুভব করা যায় না। আবার কিছু বিষয় আছে, যা নিজে একটু খেয়াল করলেই আমরা বুঝতে পারি, কিন্তু অনেক সময় ওদিকে নযর যায় না।
এক.
আমি কারো সাথে সামনা-সামনি কথা বলছি তার অর্থ হল, সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন সময় যদি হাই ওঠে আর আমি তা প্রতিহত না করি বা মুখে হাত না দিই তাহলে কেমন দৃশ্য হয়?
সেটা বোঝার জন্য হাই ওঠা অবস্থায় মুখে হাত না দিয়ে একবার আয়নার সামনে দাঁড়ালেই বোঝা যাবে। আমার নিজের এ দৃশ্য যদি আমার নিজের কাছেই খারাপ লাগে তাহলে অন্যের কাছে দৃশ্যটি কেমন লাগে একটু ভেবে দেখি।
ইসলাম আমাদেরকে এধরনের ছোট ছোট বিষয়ের আদবও শিক্ষা দেয়; নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কারো হায় আসে সে যেন তা যথাসাধ্য প্রতিহত করার চেষ্টা করে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২২৬) আরেক বর্ণনায় আছে, “...সে যেন তা আড়াল করে।” (শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৮৮৭৯) আরেক বর্ণনায় আছে, “... সে যেন তার মুখের উপর হাত রাখে।” (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৩৩২৩)
দুই.
তেমনি আরেকটি অপছন্দনীয় দৃশ্য হল, মজলিশে বা কারো সামনে থাকা অবস্থায়, কিংবা রাস্তায় চলতে চলতে নাকে আঙ্গুল দেয়া।
দৃশ্যটি কেমন লাগে অন্যকে দেখেই আমরা বুঝতে পারি। অন্যকে দেখতে যেমন বাজে লাগে, তার দিকে তাকিয়ে থাকতে আমার অস্বস্তি লাগে, তেমনি আমাকে দেখতেও বাজে লাগে এবং অন্য মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে অস্বস্তি বোধ করে।
অনেক সময় এটা মুদ্রাদোষ, অনেক সময় প্রয়োজন। যদি মুদ্রাদোষ হয় তাহলে একটু আয়নার সামনে দাঁড়াই বা বারবার অন্যের দৃশ্যটা স্মরণ করি।
আর যদি মানুষের সামনে থাকাবস্থায় বাস্তবেই এর প্রয়োজন হয় তাহলে কোনোভাবে নিজেকে একটু আড়াল করে নিই, যাতে আমার প্রয়োজনও পুরা হয় এবং অপসন্দনীয় দৃশ্যের অবতারণাও না হয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের আমলের তাওফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
৮৭১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন