স্ত্রী হোক আখেরাতের সহযোগী

লিখেছেন লিখেছেন Ruman ০৯ মার্চ, ২০১৭, ০৭:৫৮:৩২ সকাল



বিশাল বাগান। বাগানের ভিতরে তাদের বাড়ি। যাকে বলে বাগানবাড়ি। ইচ্ছেমত বাগান থেকে ফল পেড়ে খায় তারা। উপভোগ করে বাগানের শীতল ছায়া ও মৃদুমন্দ হাওয়া। এমনই ছিল উম্মুদ দাহদাহ-এর সংসার। এ বাগান উম্মুদ দাহদাহের কাছে ছিল খুবই প্রিয়। কিন্তু উম্মুদ দাহদাহের বিশ্বাস ছিল, এ বাগান, এ সাজানো সংসার, এমনকি এ গোটা দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। কেমনক্ষণস্থায়ী? যারক্ষণ-কাল নির্ধারিত নয়; একদিনের, একমাসের, এক বছরের না ষাট-সত্তর বছরের -কিছুই জানা নেই। আবার ছায়াঘেরা এ সবুজ বাগান এ সম্পদও চিরস্থায়ী নয়; যখন তখন তা শেষ হয়ে যেতে পারে। ফলে তাঁর মনে আকাঙ্খাছিল এমন এক বাগানের, এমন এক জীবনের যা কোনোদিন শেষ হবার নয়।

ইসলামের বদৌলতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে তারা কিছুদিন হল লাভ করেছেন ঈমানের দৌলত, সন্ধান পেয়েছেন সেই চিরস্থায়ী জীবনের, চিরসবুজ সেই বাগানের। এমনই সময় হঠাৎ একদিন আবুদ দাহদাহ এসে বলল, হে প্রিয়তমা! হে উম্মুদ দাহদাহ!! চলো, আমাদেরকে বের হয়ে যেতে হবে এ বাগান থেকে, ছেড়ে যেতে হবে এ বাগানবাড়ি। আমি তো জান্নাতের খেজুর গাছের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছি আমার এ গোটা বাগান।

প্রথমে উম্মুদ দাহদাহ একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। এমন কী হল! আমার প্রিয় এ বাগান ছেড়ে আমাকেই চলে যেতে হবে!! কিন্তু পরবর্তী বাক্য শুনে তিনি যেন আবুদ দাহদাহ থেকে আরো বেশি খুশি হলেন। আবুদ দাহদাহ যেখানে চিমিত্মত ছিলেন, এ বিষয়টি শুনে উম্মুদ দাহদাহ না জানি কী বলে? কিন্তু উম্মুদ দাহদাহ ছিলেন সাচ্চা মুমিন, বিচক্ষণ এক নারী। তিনি বুঝলেন এ বেচা-কেনা হয়েছে রাসূলে আমীনের সাথে। বিনিময়ে পাওয়া গেছে জান্নাতে খেজুর গাছ; তার মানে সোজা জান্নাত। ফলে তিনি আবুদ দাহদাহকে অবাক করা প্রশামিত্মদায়ক এমন জবাব দিলেন যা আবুদ দাহদাহের কলিজাটা ঠা-া করে দিল। উম্মুদ দাহদাহ বলে উঠলেন, ‘রাবিহাল বাইউ’ (ইয়া আবাদ দাহদাহ!) -‘কতইনা লাভজনক বেচা-কেনা করেছ হে প্রিয়তম!’ (যে জান্নাতের আশা আমি লালন করছি আমার হৃদয়ে, তা আজ তুমি সত্যে পরিণত করেছ।)

এবার হাদীসের ভাষায় হযরত আনাস রা. থেকে শোনা যাক পুরো ঘটনা-

হযরত আনাস রা. বলেন, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, আল্লাহর রাসূল! অমুকের একটি খেজুর গাছ আছে। আমি তা দ্বারা আমার প্রাচিরটি দাঁড় করাতে চাই। আপনি তাকে একটু বলে দিন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে (গাছের মালিককে) বললেন, তুমি তাকে ঐ গাছটি দিয়ে দাও, বিনিময়ে তুমি জান্নাতে খেজুর গাছ পাবে। সে দিতে রাযি হল না। (এটা রাসূলের আদেশ ছিল না, বরং অনুরোধ ছিল।) তখন আবুদ দাহদাহ ঐ ব্যক্তির কাছে গিয়ে বলল, আমার বাগানের বিনিময়ে তুমি খেজুর গাছটি আমার কাছে বিক্রি কর। সে রাযি হয়ে গেল। তখন আবুদ দাহদাহ নবীজীর কাছে এসে বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমি আমার বাগানের বিনিময়ে ঐ খেজুর গাছটি খরিদ করেছি। এটি আমি আপনাকে দিলাম। আপনি চাইলে এখন এটি ঐ ব্যক্তিকে দিতে পারেন। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যারপরনাই আনন্দিত হয়ে বলতে লাগলেন-

كَمْ مِنْ عَذْقٍ رَدَاحٍ لِأَبِي الدَّحْدَاحِ فِي الْجَنَّةِ

‘‘আবুদ দাহদাহ জান্নাতে ফলে পরিপূর্ণ কত খেজুর গাছের/বাগানের মালিক হয়ে গেল!’’ (একথা তিনি কয়েকবার বললেন।)

তারপর আবুদ দাহদাহ বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে বললেন, হে উম্মুদ দাহদাহ! চলো আমাদেরকে এ বাগান(বাড়ি) ছেড়ে চলে যেতে হবে। আমি তো জান্নাতের খেজুর গাছের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছি আমার এ গোটা বাগান। (এবং উম্মুদ দাহদাহকে খুলে বললেন সবকিছু। খুলে বললেন, জান্নাতের খেজুর গাছের বিনিময়ে তার বাগান বেচে দেয়ার লাভজনক সওদার কথা।) একথা শুনে উম্মুদ দাহদাহ বলে উঠলেন, ‘রাবিহাল বাইউ’ বড় লাভজনক বেচা-কেনা করে এসেছ তুমি হে প্রিয়! -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২৪৮২; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৭১৫৯; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৩১৭৭

উম্মুদ দাহদাহের এ বাক্যটি আমাদের জন্য অনেক শিক্ষারেখে গেছে। স্বাভাবিকভাবে একজন নারীর কাছে তার সাজানো সংসার, তার বাড়ি (আরো যদি হয় বাগানবাড়ি) অনেক প্রিয়। আর মানুষ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়াকেই বেশি প্রাধান্য দেয় । আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার এত বড় সম্পদ হাতছাড়া হওয়া অনেকের কাছেই মেনে নেয়ার মত নয়। স্বামীর এ কাজে কোনো প্রকার উচ্চ-বাচ্য না করে বরং দিল ঠাণ্ডাকরা জবাব দিয়ে তিনি আখেরাতের সফরে স্বামীকে সহযোগিতা করলেন। প্রতিটি নারীর জন্য তিনি আদর্শ হয়ে রইলেন; আখেরাত বিনির্মাণে যদি দুনিয়া হাতছাড়া হয় হোক।ক্ষণস্থায়ী এ দুনিয়ার সামান্যক্ষতি আখেরাতের প্রাপ্তির কাছে তুচ্ছ, অতি তুচ্ছ -তা-ই তিনি আমাদের শিখিয়ে গেলেন

আমরা তো আখেরাতের যাত্রী। এ যাত্রায় স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সহযোগী। পরস্পর সহযোগিতা ছাড়া সুন্দরভাবে এ পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। স্বামী যদি আখেরাতের পথে এগিয়ে যেতে চায় আর স্ত্রী যদি পিছন থেকে টেনে ধরে বা স্ত্রী এগিয়ে যেতে চাইলে স্বামী টেনে ধরে তাহলে আখেরাতের পথে এগুনো সম্ভব নয়। বরং একে অপরকে হাতে ধরে এগিয়ে নিতে হবে। একজন এগিয়ে গেলে অপরজন উৎসাহ দিতে হবে, পিছিয়ে গেলে সতর্ক করতে হবে। স্ত্রী পর্দা করতে চাইলে স্বামী যদি বাঁধ সাধে; তোমাকে অমুকের সামনে যেতে হবে, পার্টিতে সেজেগুজে যেতে হবে, আমার আত্মীয়-স্বজনের সাথে পর্দা চলবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। তেমনি স্বামী যদি দাড়ি রাখতে চায় আর স্ত্রী যদি বলে; এই বয়সে দাড়ি রাখবে? তোমাকে বয়স্ক দেখাবে, ‘হ্যান্ডসাম’ লাগবে না, আমার বান্ধবীরা কী বলবে, তোমাকে হুযুর হুযুর দেখাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। (অথচ মানুষের ইচ্ছা হওয়া উচিত, আমাকে যেন আলেমদের মত দেখা যায়। আমাকে যেন তাঁদের একজন মনে হয়। কারণ এ সাদৃশ্য নবীজীর সাদৃশ্য। নবীর ওয়ারিছের সাদৃশ্য। সাহাবীদের সাদৃশ্য। গোটা উম্মতের হকের ঝাণ্ডাবাহীদের সাদৃশ্য। আর দাড়ি না রাখার কারণও কিন্তু ওই সাদৃশ্য। কাদের সাদৃশ্য?!... সুতরাং একটু ভেবে দেখি। কাদের সাদৃশ্যে আমার নাযাত বা আমার স্বামীর নাযাত।)

যাহোক, তেমনিভাবে হালাল উপার্জনে স্ত্রীকে স্বামীর সহযোগিতা করতে হবে। হালালের উপরই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তা না করে যদি অতিরিক্ত চাহিদার মাধ্যমে স্বামীকে হারামের পথে লেলিয়ে দিই, তাহলে হারামের এ আগুন আমাকেও জ্বালাবে আমার স্বামীকেও জ্বালাবে। সন্তানেরাদুনিয়ায় হয়ত কিছু বলবে না। কিন্তু আখেরাতে ঠিকই বাবা-মাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেবে। সুতরাং আমি এমন কোনো আচরণ স্বামীর সাথে করব না, যা তাকে হারামের পথে ঠেলে দেয়, তেমনি যেকোনো অন্যায়ের পথে ঠেলে দেয়।

এটা দিতে পারবে না, ওটা দেয়ার সামর্থ্য নেই তাহলে বিয়ে করেছ কেন? কোথা থেকে টাকা পাবে জানি না, আমার অমুক জিনিষটা চাই-ই চাই। তোমার দ্বারা কিছু হবে না। অমুকে তোমার থেকে ছোট চাকুরী করে এটা করে ফেলেছে ওটা করে ফেলেছে, আর তুমি...! এধরনের কথা স্বামীকে অন্যায় পথে অর্থ উপার্জনে ইন্ধন যোগায়। তার চেয়ে স্বামীকে হালাল উপার্জনে সহায়তা করা উচিত। অল্প খাব তবুও হালাল খাব। মোটা কাপড় পরব তবুও আমরা হারামের পথে পা বাড়াব না। হারাম টাকার গাড়ির আমার দরকার নেই। আমাদের শরীরের এক ফোটা রক্তও যেন হারাম দ্বারা তৈরি না হয় -এসব কথা স্বামীকে হালাল উপার্জনে উৎসাহিত করবে, সৎ বানাবে। সন্তানদের সৎ হতে, অল্পে তুষ্ট হতে সহায়তা করবে।

শুধু অন্যায় থেকে ফেরানোই নয়, ভালো কাজে এগিয়ে দেওয়া, উৎসাহ দেওয়া আরো বড় সহযোগিতা। নামায থেকে নিয়ে সকল ভালো কাজে যদি স্ত্রী স্বামীকে সহযোগিতা করে তাহলে দুজনেই সহজে ভালোর দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। আল্লাহর প্রিয় হবে। আল্লাহই তাওফীকদাতা।

বিষয়: বিবিধ

৮৯৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382169
০৯ মার্চ ২০১৭ দুপুর ১২:৫১
হতভাগা লিখেছেন :
'' তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম''


০ স্ত্রীর কাছে উত্তম হতে হলে তার পছন্দ অনুযায়ী চলতে হবে - এটা একটা আত্যাবশ্যকীয় বিষয় যদি উত্তম হতে চান।

কিভাবে আপনি পছন্দীয় হবেন স্ত্রীর কাছে ?

সহজ হিসাব - তার চাওয়া পাওয়া পূরণ করে , তার কথা মত চলে।

কি তার চাওয়া ?

০ ইমপ্রেসড্‌ করতে ঘন ঘন উপহার দিতে হবে ।
০ বাইরে বেড়াতে ও খাওয়াতে নিয়ে যেতে হবে ।

০ শাড়ী গহনা কিনে এনে চমকে দিতে হবে ।
০ তাকে সাংসারিক ও পারিবারিক কাজ থেকে যতদূর সম্ভব সেফ রাখতে হবে ।
০ যখন যেটা মন চাইবে কিনে বা নিয়ে আসতে হবে অনতিবিলম্বে - এতে টাকা পয়সা বা সময়ের অজুহাত দেখানো যাবে না ।

কি তার পছন্দ ?

০ স্বামীকে অবশ্যই তার (স্ত্রীর)বাবা মা ও ভাইবোনকে নিজের বাবা মা ও ভাইবোনের চেয়ে আগে রাখতে হবে।

০ মা (স্বামীর) ও তাকে নিয়ে কোন কনফ্লিক্ট দেখা দিলে স্বামী মাকে গুরুত্ব না দিয়ে তাকে (স্ত্রীকে) গুরুত্ব দেবে।

০ ঈদের সময় তার বাবা মা ও ভাইবোনের জন্য সে বেশী বেশী গিফট কিনবে।

০ স্বামীর আপনজনদের জন্য ব্যয় করবে একেবারে তলানী থেকে তার আবদার পূরণ হবার পর (যদি সে ইজাজত দেয় তো)।



এসব করে একজন স্বামী তার স্ত্রী নিকট সহজে উত্তম হতে পারবে। আখেরাতেও সহযোগী হতে পারবে।

382170
০৯ মার্চ ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:০৫
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ!‍ আপনার লেখাটা পড়ে সত্যিই খুবই ভালো লাগলো। বর্তমানে পুরুষেরাই তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ বুঝেও পালনও করেনা। পুরুষের দায়িত্ব তার স্ত্রীকে সৎ পথ দেখানো, সে পথে চলতে উৎসাহিত করা। জান্নাত পেতে কি কি করণীয় তা জানানো এবং জাহান্নাম থেকে পরিত্রানে উপায়। এযুগের অনেক স্বামীরা নিজেই জানেনা সৎ পথ কি? তাহলে তাদের বউদের তো এমন অবস্থাই হবে যা হতভাগা বলেছে। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দিন। আমিন।
১০ মার্চ ২০১৭ সকাল ০৮:৫৯
315947
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : @মাহবুবা সুলতানা লায়লা আপার সাথে একমত।
১১ মার্চ ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
315948
হতভাগা লিখেছেন : আল্লাহ জ্ঞান ,বুদ্ধি, বিবেক মানুষকে দিয়েছেন । একজন নারীকেও দিয়েছেন যেমন একজন পুরুষকেও দিয়েছেন । সে হিসেবে ভাল মন্দ চেনার চেষ্টা করা মানুষের উচিত , সেটা নারী হোক বা পুরুষ ।

শয়তান মানুষকে প্ররোচিত করে পাপ কাজের জন্য । মানুষ সেটার ফাঁদে পড়লে তার দায় দায়িত্ব শয়তান নেবে না ।

নারীরা আগের তুলনায় অনেক বেশী শিক্ষিত এখন । তাদের ভাল মন্দ তারা নিজেরা কম বুঝে না । তারা যেমন মার্কেটে গিয়ে কোন জিনিসটা ভাল বুঝে পুরুষদের চেয়ে , পড়াশুনায় তারা যেমন এগিয়ে গেছে , এগিয়ে গেছে চাকরীর জন্য (কোটা সুবিধাসহ) তেমনি ধর্ম কর্মের ব্যাপারে তারা কম বুঝার কথা না ।

যেহেতু ধর্ম হল পারলৈকিক পুরষ্কার লাভের মাধ্যম সেহেতু বিবেক সম্পন্ন মানুষ ধর্মের অনুশাসনকেই আগে রাখবে । তার মন যদি সাচ্চা হয় তাহলে কেউ তাকে ডিরেইলড করতে পারবে না ।

বাবার সংসারে লাক্সারীতে থাকা একজন মেয়ে যখন স্বামীর সংসারে আসে এবং দেখে যে তার লাক্সারী করা আর হচ্ছে না , তখন সে এটার সাথে না মানিয়ে বরং স্বামীকেই তাগাদা দেয় তার লাক্সারী পূরণে এগিয়ে আসতে । এবং এ নিয়ে সে বিভিন্ন তুলনা করে স্বামীকে ব্যতিব্যস্ত করে ফেলে ।

ফলে নীতিবান অনেকেই বাধ্য হয় বিপথে যেতে । একজন ডিরেইলড মানুষকে সুপথে আনার চেয়ে বরং একজন ভাল মানুষকে ডিরেইলড করে মেয়েরা ।

নেগেটিভ যা কিছুই হোক না কেন দোষ আসে পুরুষদের ঘাঢ়ে । অথচ আল্লাহ বলেই দিয়েছেন যে কেউ কারও বোঝা বহন করবে না । বিয়ে করা একজন ছেলে বা মেয়ে তো ম্যাচিউরড থাকে । একের বিপথে যাবার জন্য আকেরজনকে কেন দায়ী করা হবে যদি সে বাঁধায় দেয় বা না পারতে বাধ্য হয়?

আমাদের সমাজে একজন ছেলে একজন মেয়ের সাথে প্রতারণা করলে সেটা ভালই কাভারেজ পায় এবং ছেলেটার শাস্তির দাবীও তোলা হয় । কিন্তু কোন মেয়ে যদি কোন ছেলেকে একই ভাবে প্রতারণা করে তবে সেটা হেসে উড়িয়ে দেওয়া হয় । আল্লাহর কাছে উভয়টিই কিন্তু অপরাধ । মেয়ে বলে কি পরকালে আল্লাহর কাছ থেকে সে মাফ পেয়ে যাবে যেরকমটা আমাদের সমাজে হয়ে থাকে?

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাবার জন্য কিভাবে সাজগোজ করতে হবে , কোন আনুষ্ঠানে কোন সাজ মানাবে সেটা নারীরা ভাল বোঝে । তাকে কি এ ব্যাপারে পথ দেখায় কেউ ? তাহলে পুরুষকে সৎ পথ দেখানোর জন্য কেউ থাকার কথা ? নাকি পুরুষেরা সৎ থাকা জন্মগতভাবে স্বাভাবিক এবং নারীদের সৎ পথে আনতে হবে , কারণ তারা জন্ম থেকে সৎ পথ বিচ্যুত থাকে !!??

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File