লিখাটি অবিবাহিতদের জন্য উৎসর্গিত।

লিখেছেন লিখেছেন Ruman ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:২১:০৫ সকাল

আমার বাল্য কালের বাংলা শিক্ষক আজ ফোন দিয়েছিলেন। বললেন তার মেয়ের কথা। ইংলিশ নিয়ে অনার্স-মাষ্টার্স কম্পিলিট। বিয়ে হচ্ছেনা। আমি যেন কোন তাবীজ-তদবীর দেই।

আমি আমার অপারগতার কথা বললাম। অন্য কোন আলেমের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ করলাম।

মনে মনে অনেক কিছুই ভাবলাম।

হাদীস শরীফে এসেছে "বালেগা হলেই বিয়ে দিয়ে দাও"!

আমার অভিজ্ঞতায় আমার বাংলা স্যারের মত বেশ কিছু পিতা-মাতা কন্যাদায়গ্রস্থ।

(সাধারনতঃ) ক্লাশ সিক্সেই বুলুগিয়াত প্রকাশ পায়। নবযৌবনের কঠিন বোঝা বহন করতে হয় অনেক বছর। মেট্রিক পর্যন্ত ৫ বছর, ইন্টারে ২ বছর, অনার্স-মাষ্টার্স শেষ করতে আরো ৫ বছর (সেশন জট সহ)। অর্থাৎ (৫+২+৫)=১২ বছর স্বীয় যৌবনকে পবিত্র রাখা সহজ?

হয়তবা মেয়েটার সতীত্ব অটুট। কিন্তু, পাত্র পক্ষ কি ভাবে জানেন? সে ভাবে বাংলাদেশের সুশীল (!) সমাজের রুচি অনুযায়ী বেপর্দা-ফ্রীসেক্স পরিবেশে অবশ্যই সতীত্ব পবিত্র নেই। মোবাইল, টিভি, স্যাটালাইট, ইন্টারনেট ইত্যাদির বদৌলতে কানেকশন, কালেকশন, ফিল্ডিং, ডেটিং ইত্যাদি হয়নি তা কেউ মানতেই পারেনা। তাই অধিক শিক্ষিতা কন্যাকে বিয়ে করতে অনেকে অনেক অংক কষে। যোগ, বিয়োগ, ভাগ, পূরণ করে যখন দেখে ফলে মিলেনা তখনই বলে "নো লাইক"।

এ ছাড়া অবিবাহিত যুবকদের মধ্যে মেট্রিক পাশ বা তার চেয়ে কম শিক্ষিতদের সংখ্যাই বেশী। আনুপাতিক হারে ইন্টার পাশের সংখ্যা ওদের চেয়ে কম। ডিগ্রী পাশের পরিমান আরো কম। অনার্স-মাষ্টার্স বা তার উপরের শিক্ষায় শিক্ষিত অবিবাহিত যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। সুতরাং, অধিক শিক্ষিতা কন্যাদের চাহিদা একেবারেই কম। কারন, দেশীয় রেওয়াজ হচ্ছে 'স্বামীর শিক্ষা স্ত্রীর চেয়ে কম হওয়া (যেন) কবীরা গুনাহ'।

আরও একটি বিষয় রয়েছে। অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, অধিক শিক্ষিতা নারীদের চেয়ে কম শিক্ষিতা নারীদের দ্বারা সংসার সুখের হয় বেশী। তাই খুব বেশী শিক্ষিতা নারীদের বিবাহের ব্যাপারে পাত্রপক্ষ বেশ ভাবে। ভাবনার পর ভাবনায় বসে।

পবিত্র ইসলাম নারীদের দ্বীনী শিক্ষা অর্জনের প্রতি আদেশ করলেও অধিক শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করেনি। হাদীস শরীফে এসেছে, "দীনী ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক (নর-নারীর) উপর ফরজ"। তাই, হযরত উলামা হযরতগণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেনঃ 'একজন নারীর নিজে দীনী হুকুম ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাব পালন করতে যতটুকু ইলম প্রয়োজন ততটুকু অর্জন করা ফরজ। অন্য কাউকে শিখানোর নিমিত্তে উচ্চ শিক্ষা লাভ করা ফরজ নয়। বরং খেলাফে শরা' উচ্চ শিক্ষা অর্জন করা হারাম'।

বুঝতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১২০৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381644
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাত ০৯:১২
হতভাগা লিখেছেন : পুরুষেরা যেহেতু স্ত্রীদের জন্য ব্যয় করে সেহেতু স্ত্রীদেরকে বলা আছে স্বামীদের অনুগত থাকতে এবং তার অবর্তমানে তার সংসারের হেফাজত করতে আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে ।

কোন শিক্ষিত নারী যে কি না চাকুরি করে এবং স্বামীর চেয়ে বেশী শিক্ষিত সে কি তার চেয়ে কম যোগ্যতা সম্পন্ন একজনের অনুগত হয়ে চলবে ? যতই শরিয়তের দোহাই দেই না কেন ।

কোন শিক্ষিত মেয়ে কি তার চেয়ে কম শিক্ষিত ছেলের সাথে বিয়ে বসবে যেরকম ছেলেরা করে। ছেলেরা তো পড়াশুনা না জানা মেয়েকেও নির্দ্বিধায় বিয়ে কর নেয় । মেয়েরা কি সেরকমটা করার মত উদারতা দেখায় ? আয় রোজগার করে না , পড়াশুনাও তেমন একটা জানে না - এরকম ছেলেকে কি কোন শিক্ষিত + চাকুরিজীবী মেয়ে বিয়ে করে?

দাম্পত্য জীবন যাপনের জন্য , সংসার চালানোর জন্য - একজন মেয়ের হাত পা বড় হয়ে গেলেই হয় (সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন) । কারণ তাকে তো ভরণপোষন করবে তার স্বামী। হোক সে স্নেহা উলালের মত স্ট্রাগলার বা ঐশ্বরিয়ার মত বিশাল আইকন । এখানে স্ত্রীর টাকা যশ স্বামীর জন্য ভালোর চেয়ে মন্দ হিসেবেই দেখা দেবে।

কারণ শরিয়ত মোতাবেক তার খরচের ভার স্বামীর - যেটার অধিকার সে কখনই ছাড়ে না বরং ১৬ আনার উপর ৩২ আনা উসুল করে নেয় প্রতি নিয়ত।

আর কর্তব্যের সময় শরিয়তের ব্যাপারে সে টিনের চশমা পড়ে থাকে। কারণ সে আরও লেখাপড়া করতে চায় , ক্যারিয়ারিস্ট হতে চায় । স্বামীর সংসারের হেফাজত না করে সে আরেকজনের (প্রতিষ্ঠানের ) প্রতি কর্তব্য করে যায় ।


অধিকারের সময় শরিয়তকে নারীরা যেভাবে ব্যবহার করে কর্তব্য পালনের ব্যাপারে শরিয়তকে ফলো করার মত দূর্বলতা দেখানোর বোকামী উনারা কখনই করেন না ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File