স্বাধীন বাংলার শ্রেষ্ঠ ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির
লিখেছেন লিখেছেন সব্যসাচী ব্লগার ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:০৯:১৬ দুপুর
স্বাধীন বাংলাদেশে যে সকল ছাত্রসংগঠন কাজ করছে তার মধ্যে সবার সেরা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা কাজের মাধ্যমে দেশের জন্য ভূমিকা রেখে আসছে।
যখন অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা কুকর্মে ব্যস্ত ঠিক তখন ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজকে দেখিয়েছে আশার আলো। ছাত্রশিবির অস্ত্রের রাজনীতির পরিবর্তে তরুণ ও মেধাবী ছাত্রসমাজের হাতে তুলে দিয়েছে জ্ঞানের বাহন কলম। দিয়েছে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার দিকনির্দেশনা। সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে তৈরি করেছে এক ঝাঁক মেধাবী নেতৃত্ব। যারা দক্ষতায় যেমন আকাশ ছোঁয়া, তেমনি সৎ এবং দেশ প্রেমিকও।
শুধু দেশপ্রেমিক কর্মী বাহিনী গঠনই নয়। তরুণ সমাজকে নিয়ে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে গত ৩৯বছরে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ছাত্রশিবির।
স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্রশিবিরের অবদান
স্বধীন বাংলাদেশে ছাত্রশিবির অনেক ভূমিকা রেখেছে। নিন্মে তার কিছু তুলে ধরা হল:
• দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরি : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের কর্মীবাহিনীকে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে এবং দেশ প্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে সমসাময়িক নানা কর্মসূচি গ্রহন ও ব্যাপক অধ্যয়নের ব্যবস্থা করেছে।
এছাড়া সংগঠনের ভিশনও তৈরি করা হয়েছে দেশ প্রেমের ভিত্তিতে। ফলে শুরু থেকেই শিবিরের কর্মীবাহিনী দেশপ্রেম বুকে নিয়েই গড়ে উঠছে।
• মেধা ও নৈতিকতার সমহ্নয়ের শিক্ষা: ছাত্রশিবির একজন মেধাবী ছাত্রকে মেধার সাথে নৈতিকতার সমহ্নয়ের শিক্ষা দেয়। সেজন্য সংগঠনটি একটি সু-নিদৃষ্ঠ সিলেবাসের মাধ্যমে তাদের কর্মীবাহিনীর অধ্যয়নের ব্যবস্থা করেছে। যার মাধ্যমে তারা অর্জন করছে নৈতিকতার শিক্ষা।
• ধর্মীয় শিক্ষা : কোন ধর্মই মানুষকে অমানুষ হতে শেখায় না। বরং যে মানুষ নিজের ধর্মের প্রতি যতটুকু শ্রদ্ধাশীল সে তত বেশি নমনীয়। তাই শিবির ছাত্রসমাজকে ধর্মের সঠিক শিক্ষা দেয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
• মেধাবীদের মূল্যায়ণ: ছাত্রশিবিরের সবচেয়ে বড় গুন তারা মেধাবীদের মূল্যায়ণ করে। তারা মেধাবীদের উৎসাহ দিতে প্রতিবছর সংবর্ধনা, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, গরিব মেধাবীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান, কোচিং, শিক্ষামূলক সভা বা সেমিনার আয়োজন, ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামসহ নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।
• জ্ঞান নির্ভর সংগঠন ও গতিশীল নেতৃত্ব: ছাত্রশিবির বাংলাদেশের একমাত্র ছাত্র সংগঠন যারা জ্ঞানের ভিত্তিতে ছাত্রদের মধ্য থেকে নেতা নির্বাচন করে। এখানে কোন অছাত্রের স্থান হয় না।
• মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বুকে ধারণ: ছাত্রশিবির সব সময় মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আদর্শকে অনুসরণ ও মূল্যায়ণ করে। তারা আজও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। দেশ বিরোধী সড়জন্ত্র রুখে দেয়।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে ধারণ করে শিবির প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সংবর্ধনা, বৃত্তি প্রদানসহ জাতীয় দিবস সমূহে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, শোভাযাত্রা, জাতীয় পতাকা বিতরণ, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।
• শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা: দেশের শিক্ষা বিস্তারে ছাত্রশিবির বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। শিবির গরিব ছাত্রদের সহযোগিতায় ছাত্রকল্যাণ তহবিল গঠন, পাঠাগার প্রতিষ্ঠা, স্টাইপেন্ড, লজিং- টিউশনির ব্যবস্থা, কোচিং, ক্যারিয়ার গাইডলাইনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহন করে।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিতে ও ছাত্র সমস্যা সমাধানের আন্দোলনে সব সময় ছাত্রশিবির নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া: যখনই দেশ বিরোধী কোন ষড়যন্ত্র হয়েছে, ছাত্রশিবির ঠিক তখনই সেই ষড়জন্ত্র রুখে দিতে এগিয়ে এসেছে। দেশ বিরোধী নানা সড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রশিবিরকে হারাতে হয়েছে অসংখ্য সহপাঠীকে।
বিষয়: রাজনীতি
৯১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন