এক স্বৈরশাসকের পলায়ন
লিখেছেন লিখেছেন আপোষহীন কলম ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৮:০২:৩৪ সকাল
ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্হা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়।জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মহান আল্লাহ তায়ালার সার্বভৌমত্বের কাছে আত্মসমর্পণ এবং ইসলামের সকল বিধিবিধান স্বেচ্ছায় নিঃশর্ত ভাবে মেনে নেওয়ার মাধ্যমে একটি ইসলামী সমাজব্যবস্থার সৃষ্টি হয়।এই স্বাভাবিক পদ্ধতি বাদ দিয়ে যারাই অস্বাভাবিক ভাবে কিছু করতে গিয়েছেন তারা সফল হন নি। এর জ্বলন্ত ও বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ "গাম্বিয়া"।৯০% মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশকে ২০১৫ সালে অনেকটা হঠাৎ করে আকস্মিক ভাবেই "Islamic Republic" ঘোষণা করেন দেশটির ২২ বছরের তৎকালীন স্বৈরশাসক "ইয়াহিয়া জামেহ।"এ খবর টা তখন বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরী করেছিল।আমরা অনেক আবেগী বাঙ্গালীরা ও "ইয়াহিয়া জামেহ" কে মুসলিম জাতির "বীর সন্তান" আখ্যায়িত করে সমগ্র অনলাইন জগত কাপিয়ে তুলেছিলাম।কিন্তু বছর না যেতেই গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর দেশটির সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে "প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে" তার প্রতিদ্বন্দ্বী "অ্যাদমা ব্যারো" এর কাছে বিপুল ভোটে হেরে
গিয়ে পালিয়ে যান মুসলিম বিশ্বের তথাকথিত "বীর পুরুষ " ইয়াহিয়া জামেহ"।এ দিকে ক্ষমতা গ্রহণ করে কালই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে গাম্বিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট"আদ্যামা ব্যারো" ঘোষণা করেন "গাম্বিয়ার"অফিসিয়াল নাম থেকে Islamic শব্দ বাদ যাবে।গাম্বিয়া এখন থেকে Islamic Republic এর পরিবর্তে শুধু Republic হিসেবে পরিচিত হবে।গাম্বিয়ার এই ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের শাসকদের জন্য দুইটি শিক্ষা আছে বলে মনে করি।এক, জনগণের চিন্তা চেতনার পরির্বতন না করে,সমাজে ও মানুষের অন্তরে ইসলামী ভাবধারা সৃষ্টি না করে শুধু ঘোষণা দিলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় না আবার যদি হয় ও তা টিকিয়ে রাখা যায় না।দুই,ইসলামের নাম দিয়ে স্বৈরশাসকরা সাময়িক ভাবে ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরে রাখলে ও শেষ পর্যন্ত তাদের নিকৃষ্ট ভাবে বিদায় নিতে হয় তা তিনি যত জনপ্রিয়,কঠোর,অত্যাচারী বা ক্ষমতাশালী শাসক হন না কেন।সূত্রঃhttp://aje.io/n2cz
বিষয়: আন্তর্জাতিক
৯৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন