নানকদের গণকের ভূমিকা পালনের কারণ কি?
লিখেছেন লিখেছেন আপোষহীন কলম ০১ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৩:০৬:৩০ দুপুর
আজকাল আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হাসান মাহমুদকে মিডিয়াতে এখন খুব একটা দেখা যায় না।নিন্দুকেরা অবশ্য বলে থাকেন ওবায়দুল কাদের ও জাহাঙ্গীর কবির নানক কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ হবার পর হাসান সাহেব এখন আর chance পান না।নিন্দুকদের এই কথার কিছুটা হলে ও সত্যতা পাওয়া যায় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনায়। গতকাল রাতে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা ১ আসনের সরকার দলীয় সংসদসদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন।(যিনি ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর গোলাপচরণ এলাকায় ভোর বেলা মাতাল অবস্হায় সৌরভ নামের ১২ বছরের এক শিশুকে পায়ে গুলি করে সারাদেশ তোলপাড় সৃষ্টি করেন এবং ২৪ দিন জেল খাটেন)।এই ঘটনার পর শুরু হয় চিরাচরিত দোষারোপের রাজনীতি। রাতেই আওয়ামীলীগের কর্মীরা বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ঘর, বাড়ি দোকানে অগ্নি সংযোগ শুরু করে।কিন্তু বিস্ময় যেন আরো কিছু বাকী ছিল আমাদের জন্য। আজ সকাল ৯ টায় কোন প্রমাণ ছাড়াই আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক রংপুর মেডিকেল কলেজের সামনে বলে বসেন এই ঘটনায় জামায়াত- শিবির জড়িত।(কারণ হিসেবে অভিহিত করেছেন গাইবান্ধা নাকি জামায়াত নিয়ন্ত্রিত এলাকা!!)।উনার এই বচনের পর শুরু ঢাকায় বসেই কোরাস গাওয়া শুরু করলেন পুলিশের আইজি শহীদুল ইসলাম।যার ফলে পুরো রংপুর বিভাগে সাড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে এবং বিরোধী দলগুলোর নিরীহ নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।এখন গাইবান্ধার ভাগ্য যদি ঝিনাইদহ বা সাতক্ষীরার মত হয় তাহলে আমরা নাটক প্রিয় সাধারণ জনতা মোটেও আশ্চর্য হব না।এই হত্যাকান্ডকে সংসদসদস্য লিটনের স্ত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ জাহান স্মৃতি দলীয় কোন্দোল বলে অভিহিত করেছেন। আমরা সাধারণ মানুষ চাই এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার হোক তা যে দলের হোক না কেন।সংসদসদস্য লিটনকে এখন ও দাফন করা হয় নি,এখনো থানায় মামলা হয় নি কিন্তু নানকরা গনকের মত অবলীলায় দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন বিরোধী দলের উপর।তারা লাশ সামনে নিয়েই শুরু নির্মম ও নিলজ্জ প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতি ।এ ভাবে বিচার ও তদন্তকে প্রভাবিত করে গনকের মত আজবগুবী কথা বলে নানকরা কাদের বাচাতে চাচ্ছেন জাতি তা জানতে চায়।
বিষয়: বিবিধ
২১৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন