জীবনের গলিপথ
লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল চাটখিল ১৪ নভেম্বর, ২০১৬, ০১:১৬:২৫ দুপুর
(১)
আবার রাস্তার ওপারে গেলি কেন?
- আরে দোস্ত, রাসূল (সাঃ) রাস্তার ডান দিক দিয়ে চলতে বলেছেন।
এই যে সব জায়গায় ধর্ম নিয়ে আসাটা একদম ভালো লাগেনা।
-ঠিক আছে চল।
মাহিম আর শরাফত দুই বন্ধু বাজারে যাচ্ছে সওদা করার জন্য। প্রথমে তারা মাংশের দোকানে গেলো। শরাফত যে দোকান থেকে সবসময় মাংশ কিনে সেখানে গিয়ে দাঁড়ালো। কিন্তু মাহিম তাকে অন্য আরেকটা দোকানে নিয়ে এলো। শরাফত একটু রাগ হয়ে বললো, ঐ দোকান থেকে কিনলে কি সমস্যা?
মাহিম বললো, এই যে দাঁড়িওয়াল লোকটা দেখছস না উনি নামাযী আমি উনাকে নামাযের সময় দোকান বন্ধ করে নামাযে যেতে দেখি । তাই উনার কাছ থেকে কিনবো বলে তোকে এখানে নিয়ে এলাম।
দাঁড়িওয়ালা থেকে কিনতে হবে কেন আর বাকীরা কি সবাই চোর?
না বন্ধু, আসলে আমাদের নবীজি কাউকে কোন কিছুতে প্রাধান্য দিলে সেটা তার ঈমানদারীর ভিত্তিতেই দিতেন।
ধুর, তোর সাথে কথা বলাই মুশকিল। সব কিছুতেই কেবল নবীজি এটা করেছেন, ওটা করেছেন। আচ্চা মানুষ হিসাবে কি আমাদের কোন ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই? সব কিছুই ধর্মের গন্ডির ভিতর থেকেই হতে হবে?
না বন্ধু, আমাদের মত করে স্বাধীন ভাবে চলার অধিকার আমরা রাখি না। তুমি যে অফিসে যাও তোমার বসের নির্দেশনার বাহিরে তুমি কিছু করতো পারো? যদি তুমি নিজের খেয়াল খুশি মত কিছু করো তাহলে কি চাকুরী করতে পারতে? আল্লাহ যখন আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তখন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্যই পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন : “আমি জ্বীন ও মানব জাতিকে কেবলমাত্র আমার ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।”
(সূরা যারিয়াত : আয়াত- ৫৬)।
সুতরাং আল্লাহ তা’য়ালার সন্তোষ অর্জনের লক্ষ্যে মানব জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত আল্লাহ তা’য়ালার বিধান ও রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ মোতাবেক অতিবাহিত করাকে ইবাদাত বলা হয়। গোলামের নিজের কোন মত বা পছন্দ থাকে না বরং তার প্রভুর মত ও পছন্দই গোলামের কাজ- এটাই ইবাদাতের মুল শিক্ষা।
এখন তুমিই বল আমরা কি আমাদের খেয়াল খুশিমত চলতে পারবো?
-তুমি আবার অফিসের সাথে এটাকে মিলাও কোন বুঝে? অফিস থেকে আমি পরিশ্রমের বিনিময়ে বেতন নেই, যে আমাকে বেতন দেয় আমি তার কথা শুনবোতো কি করবো?
কি হাস্যকর কথা তোমার! বন্ধু যে মালিক তোমাকে না চাইতেই এরকম একটা সুন্দর শরীর দিয়েছেন, যার বিনিময় হিসাবে তিনি তোমার কাছে কিছুই নেননি শুধু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বলেছেন । তুমি তাঁর কথা না মেনে একজন তোমাকে সারা মাস গাধার মত খাটার পর মাস শেষে কিছু টাকা দিচ্ছে বলে তার জন্য তুমি ব্যতিব্যস্ত হয়ে যাচ্ছ? এটা কেমন বেখাপ্পা হয়ে গেলো না?
- তোমার কথা ঠিক আছে কিন্তু দ্বীনধারী আর দুনিয়াধারী এক জিনিস না রাগত স্বরেই বলে উঠলো শরাফত।
তোমার ধারনা ভুল, মুসলমানের যেটা দুনিয়াধারী সেটাই দ্বীনদ্বারী কারণ কোন মুসলমানকে দ্বীনের বাহিরে তার দুনিয়া পরিচালনা করার এখতিয়ার আল্লাহ দেননি। এই কারণে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “স্ত্রীর দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানোও ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত এমনকি স্ত্রীকে আদর করে মূখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও”। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো তুমি আল্লাহর সীমার বাহিরে যাওয়ার এখতিয়ার রাখো কিনা।
বাদ দে এসব, তোমার ধর্মীয় এসব ঘ্যানর ঘ্যানর আর ভালো লাগেনা। তোমার সাথে কথা বলাই আমার ভুল হয়েছে, চল তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে বলে শরাফত কথার ইতি টানলো।
ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি টেনে শরাফাতের কাঁধে হাত রেখে মাহিম বাজারের বাকী কাজগুলো করার উদ্দেশ্যে চলতে লাগলো... (চলবে)আবার রাস্তার ওপারে গেলি কেন?
- আরে দোস্ত, রাসূল (সাঃ) রাস্তার ডান দিক দিয়ে চলতে বলেছেন।
এই যে সব জায়গায় ধর্ম নিয়ে আসাটা একদম ভালো লাগেনা।
-ঠিক আছে চল।
মাহিম আর শরাফত দুই বন্ধু বাজারে যাচ্ছে সওদা করার জন্য। প্রথমে তারা মাংশের দোকানে গেলো। শরাফত যে দোকান থেকে সবসময় মাংশ কিনে সেখানে গিয়ে দাঁড়ালো। কিন্তু মাহিম তাকে অন্য আরেকটা দোকানে নিয়ে এলো। শরাফত একটু রাগ হয়ে বললো, ঐ দোকান থেকে কিনলে কি সমস্যা?
মাহিম বললো, এই যে দাঁড়িওয়াল লোকটা দেখছস না উনি নামাযী আমি উনাকে নামাযের সময় দোকান বন্ধ করে নামাযে যেতে দেখি । তাই উনার কাছ থেকে কিনবো বলে তোকে এখানে নিয়ে এলাম।
দাঁড়িওয়ালা থেকে কিনতে হবে কেন আর বাকীরা কি সবাই চোর?
না বন্ধু, আসলে আমাদের নবীজি কাউকে কোন কিছুতে প্রাধান্য দিলে সেটা তার ঈমানদারীর ভিত্তিতেই দিতেন।
ধুর, তোর সাথে কথা বলাই মুশকিল। সব কিছুতেই কেবল নবীজি এটা করেছেন, ওটা করেছেন। আচ্চা মানুষ হিসাবে কি আমাদের কোন ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই? সব কিছুই ধর্মের গন্ডির ভিতর থেকেই হতে হবে?
না বন্ধু, আমাদের মত করে স্বাধীন ভাবে চলার অধিকার আমরা রাখি না। তুমি যে অফিসে যাও তোমার বসের নির্দেশনার বাহিরে তুমি কিছু করতো পারো? যদি তুমি নিজের খেয়াল খুশি মত কিছু করো তাহলে কি চাকুরী করতে পারতে? আল্লাহ যখন আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তখন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্যই পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন : “আমি জ্বীন ও মানব জাতিকে কেবলমাত্র আমার ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।”
(সূরা যারিয়াত : আয়াত- ৫৬)।
সুতরাং আল্লাহ তা’য়ালার সন্তোষ অর্জনের লক্ষ্যে মানব জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত আল্লাহ তা’য়ালার বিধান ও রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ মোতাবেক অতিবাহিত করাকে ইবাদাত বলা হয়। গোলামের নিজের কোন মত বা পছন্দ থাকে না বরং তার প্রভুর মত ও পছন্দই গোলামের কাজ- এটাই ইবাদাতের মুল শিক্ষা।
এখন তুমিই বল আমরা কি আমাদের খেয়াল খুশিমত চলতে পারবো?
-তুমি আবার অফিসের সাথে এটাকে মিলাও কোন বুঝে? অফিস থেকে আমি পরিশ্রমের বিনিময়ে বেতন নেই, যে আমাকে বেতন দেয় আমি তার কথা শুনবোতো কি করবো?
কি হাস্যকর কথা তোমার! বন্ধু যে মালিক তোমাকে না চাইতেই এরকম একটা সুন্দর শরীর দিয়েছেন, যার বিনিময় হিসাবে তিনি তোমার কাছে কিছুই নেননি শুধু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বলেছেন । তুমি তাঁর কথা না মেনে একজন তোমাকে সারা মাস গাধার মত খাটার পর মাস শেষে কিছু টাকা দিচ্ছে বলে তার জন্য তুমি ব্যতিব্যস্ত হয়ে যাচ্ছ? এটা কেমন বেখাপ্পা হয়ে গেলো না?
- তোমার কথা ঠিক আছে কিন্তু দ্বীনধারী আর দুনিয়াধারী এক জিনিস না রাগত স্বরেই বলে উঠলো শরাফত।
তোমার ধারনা ভুল, মুসলমানের যেটা দুনিয়াধারী সেটাই দ্বীনদ্বারী কারণ কোন মুসলমানকে দ্বীনের বাহিরে তার দুনিয়া পরিচালনা করার এখতিয়ার আল্লাহ দেননি। এই কারণে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “স্ত্রীর দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানোও ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত এমনকি স্ত্রীকে আদর করে মূখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও”। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো তুমি আল্লাহর সীমার বাহিরে যাওয়ার এখতিয়ার রাখো কিনা।
বাদ দে এসব, তোমার ধর্মীয় এসব ঘ্যানর ঘ্যানর আর ভালো লাগেনা। তোমার সাথে কথা বলাই আমার ভুল হয়েছে, চল তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে বলে শরাফত কথার ইতি টানলো।
ঠোঁটের কোনে মৃদু হাসি টেনে শরাফাতের কাঁধে হাত রেখে মাহিম বাজারের বাকী কাজগুলো করার উদ্দেশ্যে চলতে লাগলো... (চলবে)
বিষয়: বিবিধ
৮০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন