আজকের রোজনামচা
লিখেছেন লিখেছেন মুহিববুল্লাহ খন্দকার ০৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:১২:৩৯ রাত
রোজনামচা কাকে বলে সবাই তো জানেনই। যদি রোজনামচা না জানেন তাহলে দিনলিপির ব্যাপারে তো শুনেছেন। দিনলিপি আর রোজনামচা একই। দৈনন্দিন লেখাকে সাহিত্যের ভাষায় রোজনামচা বলা হয়। আগে সময় করে রোজনামচা লিখতাম। এখন আর তেমন সময় হয় না। ডায়েরিতে লিখতাম তো, তাই। এখন তো ফেসবুক আছে। টাইম পাস করার জিনিস। তাই নিয়মিত ফেসবুক দেখা হলেও রোজনামচা লেখা হয় না।
তো আজকের রোজনামচাটা লিখে ফেলি।
আজকের দিনটা হল শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন। মুসলিমদের জন্য পবিত্র দিন। জুমার দিন। বাড়িতে এসেছি গতকাল। আগেই বলে রাখা আছে, আজকে তাদের বাড়িতে যেতে হবে। তাদের বাড়ি মানে চাচার বাড়ি। চাচা পরবর্তীতে হয়েছেন শশুর। ডাকি অবশ্য চাচা। বহুদিন হল যাওয়া হয় না। বহুদিন মানে খুব বেশি দিন নয়। কেবলই দেড়মাস। কদিন হল চাকরি করছি। চাকরি নেওয়ার পর আর সেদিকে যাওয়া হয় নি।
প্রতি শুক্রবার বাড়িতে থাকা হয়, তবুও যাওয়া হয় না। এবার ঠিক করলাম যাবো। জামাই হিসেবে আমি চার নম্বর। ভাতিজা বলে শশুর মশাই আবার কম করেন তা কিন্তু নয়। যথেষ্ট আদরও করেন। তাই সকালে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু হল কি? সকাল হতেই বাবা বলল, ধান কাটবে না? আমি বললাম না কাটা যাবে না। এর মাঝে সে আবার রুটি সেকতে শুরু করল। একটা রুটি খেয়ে আমি গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলাম। মা বলেছিল, গাইয়ের লাগি কতগুলো ঘাস কাইট্টা দে। আমি কাঁচি হাতে নিয়ে বাড়ির পেছন থেকে এক জায়গা থেকে অর্ধেক খাঁচা ঘাঁস কাটলাম। তারপর বাড়িতে আসতেই বলল, যা কতক্ষণ ধান কাইট্টা আয়। আমিও বড় একখানা কাঁচি নিয়ে গেলাম। গিয়ে দেখি আব্বা কাটতেছেন। আমিও কাটা শুরু করলাম। বেলা ১১ টায় যাব চাচার বাড়ি মানে শশুর বাড়ি। বাড়িতে এসে দেখি সে রান্না করে শেষ করতে পারেনি। সে মানে আমার বাড়িওয়ালি। আর রান্না মানে দুপুরের রান্না। দুপুরের রান্না শেষ করে যাবে। তারপর আরো কিছু কাজ শেষ করতে করতে জুমার আযান দিয়ে দিল। মানুষজন মসজিদের দিকে যেতে শুরু করেছে। কি করব। গোসল করে মসজিদ পানে ছুটলাম। নামাজ পড়ে এসে দেখি সে বোরকা পরে অপেক্ষমান। আম্মার কাছে বলে বের হলাম। রিকশায় করে অল্প সময়েই তাদের বাড়িতে চলে যাওয়া যায়। তবে বাড়ি থেকে রাস্তায় যেতে তিন চার মিনিট লাগে। হাটা দিলাম। পথিমধ্যে দেখা হল এক দুর্সম্পর্কের চাচা আবুল হাশেম এর সাথে। তিনি মজা করেন। মজার মানুষ। আমাদের দুজনকে একসাথে দেখে বলেই উঠলেন: কই যাও? আমি বললাম: তাদের বাড়িতে। তিনি আবার বললেন: তাগর বাড়ি কাগর বাড়ি। কও শশুর বাড়ি নাইলে চাচার বাড়ি। যাহোক রাস্তায় উঠে কিছুক্ষণ হাটতেই রিকশা পেয়ে গেলাম। রিকশায় উঠে পৌঁছে গেলাম কয়েক মিনিটের মধ্যেই। গিয়েই সালাম দিলাম চাচা চাচি দুজনকে এবং বাড়ির সবাইকে। দুয়েক মিনিট পরই খাবার দাবার শুরু। খাবার শেষে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলাম। বিকেলবেলা পিঠা বানাবে, পুলি পিঠা। বাড়িতে চার বোন একসাথে আজ। ওরা মোট পাঁচ বোন। বড় বোন আসেনি। পিঠা বানানোর পর খাওয়া দাওয়া সেরে সন্ধার সময় বাড়ি ফিরলাম।
বিষয়: বিবিধ
৫১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন