শীর্ষেন্দুর চিঠি ও কিছু কথা!
লিখেছেন লিখেছেন জুনেদ আহমদ ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৫:৪৮:০৮ বিকাল
অদ্ভুত এক বাংলাদেশ।যেখানে নেই স্নেহ-ভালোবাসা, আছে শুধু হিংসা-প্রতিহিংসার অভিশাপ। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু প্রধানমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই পায়রা নদীর উপর ব্রিজ তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।অথচ,সিলেটের বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর শিশু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে বাবাকে ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানালে,সেদিন প্রধানমন্ত্রী ইলিয়াস আলীর কন্যাকে ৪৮ ঘন্টার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ৪৮ ঘন্টা কেন? ৪৮ মাস পেরিয়ে গেলেও ইলিয়াস আলীর কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনির ছেলে মেঘ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার বাবা মায়ের খুনিদের বিচার চাইতে গেলে,সেদিন প্রধানমন্ত্রী শিশু মেঘের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন , ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাগর রুনির হত্যাকারীদের খোঁজ বের করে বিচারের মুখামুখি করা হবে । দুঃখের ব্যাপার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে ৪৮ মাস চলে গেলেও এখনও পর্যন্ত মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়া হয়নি।
গুম হয়ে যাওয়া যুবদলের এক নেতার ৪ বছরের বাচ্চা কেঁদে কেঁদে সাংবাদিক সন্মেলনে বলেছিল -
" মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাবার লাশটা ফেরত না দেন অন্তত বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে সেটা জানিয়ে দেন , মরে গেলে কবরটা দেখিয়ে দেন একবার হলেও বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বাবার কবরটা জেয়ারত করতে চাই " । আজ শীর্ষেন্দুর চিঠি গনভবনে পৌঁছালেও সেদিন যুবদলের নেতার ৪ বছরের বাচ্চার কান্না সহ সাংবাদিক সন্মেলনের আওয়াজ প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌছালো না ।
এভাবে আর কত নিষ্পাপ শিশুর কথা শুনবেন। সারা বাংলাদেশের হাজারো সন্তান ও লক্ষ লক্ষ বাবা মায়ের কান্নার আওয়াজ প্রধানমন্ত্রী বরাবর না পৌঁছালেও শীর্ষেন্দুর চিঠি ঠিকই ডাক বিভাগের সকল প্রতিকুলতাকে ভেঙ্গে দিয়ে গনভবনের বন্ধ হওয়া গেট খুলে দিয়েছে এক অলৌকিক ক্ষমতায় ।
বাঃ বাঃ আমাদের প্রধানমন্ত্রী।কী চমৎকার আপনার ন্যায়পরায়ণতা। আপনার ন্যায়পরায়ণতা খুব অদ্ভুত লাগছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন