কমপারেটিভ
লিখেছেন লিখেছেন লণঠন ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০৫:০৭ দুপুর
ভারত বিশাল অর্থনীতির দেশ, আমাদের থেকে gdp তিন থেকে চার গুন বড়। কিন্তু তারা কি ভাবে না তাদের জনসংখ্যা আমাদের থেকে ১০ গুন বেশি, হ্যাঁ খাদ্য উতপাদনে তারা বিশ্বের মধ্যে ৩য় । আর আমরা ১০ম, কিন্তু তাদের জনসংখ্যা আমাদের থেকে ১০ গুন বেশি, সম্প্রতি দ্যা ইকোনমিষ্টের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম এবং ভারত তৃতীয়। তালিকায় চীন ১ম এবং যুক্তরাষ্ট্র ২য়। তালিকায় দেখা যায়,প্রতিবছর ভারত ২৯.৩৯ কোটি টন এবং বাংলাদেশ ৫.৫০ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করে।মজার ব্যাপার কি জানেন,গড় হিসেবে খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের তুলনায় ভারত অনেক পিছিয়ে আছে। ভারতের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি এবং বাংলাদেশের ১৬ কোটি।সে হিসেবে দেশের ১কোটি মানুষের জন্য প্রতিবছর ভারত ০.২২৬ কোটি টন খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হলেও বাংলাদেশ ১কোটি মানুষের জন্য ০.৩৪৪ কোটি টন খাদ্য উৎপাদন করে যা ভারতের চেয়ে দেড়গুনেরও বেশী।অর্থাৎ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।ভারতের পান্জাব,হারিয়ানা ও কেরালা প্রদেশের অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে একটু উন্নত হলেও বাকি অঞ্চল বাংলাদেশের মত অথবা বাংলাদেশ থেকে অনুন্নত।কিছু কিছু অঞ্চল এতটাই অনুন্নত যে সেসব এলাকার সাথে আফ্রিকান গরীব রাষ্ট্রগুলোর মাঝে পার্থক্য নেই।আসলে আপনারা ভুলের জগতে আছেন, ভারত কোন দিনই বাংলাদেশকে অনুদান অথবা ভিক্ষা দেয় নি, যারা নিজেরাই আমির শাহী থেকে ৬ বিলিয়ন বিনা সুদে ধার আনে,জার্মানি ২ মাস আগে ৯ বিলিয়ন রুপি খয়রাতি সাহায্য দিল ভারতকে,তারা কি ভাবে, বাংলাদেশকে ভিক্ষা দেবে??ভিক্ষা নেওয়া হাত কি কখন ও ভিক্ষা দেয়? হ্যাঁ এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশ কে ১০০ কোটি ঋণ দিয়েছিল, কেন জানেন? কারন ঐ টাকা দিয়ে যে স্থাপনা হবে সেটা ভারত ব্যাবহার করবে, ঐ টাকা দিয়ে রাস্তা হবে আর ভারত বিনা শুল্কে ট্রানজিট ব্যাবহার করবে,যে রেল লাইন হবে মংলা পর্যন্ত তা দিয়ে ভারতের মাল যাবে মংলা বন্দর থেকে। সব কিছু মাগনা??? এতই যদি ভারতের দেবার খমতা থাকত তবে উত্তর প্রদেশে মানুষ ঘাস খেত না, চা শ্রমিকেরা মৃত্যুর মিছিল দিত না, পঃবঙ্গে কৃষক আত্মহত্যায় মেতে উঠত না, পঃবংঙ্গ রাজ্যটি আড়াই লক্ষ হাজার কোটি ঋণের সুদ টানত না, আগে নিজেদের রাজ্যের খবর নেন, তার পর বাতেলা মারেন, কেন্দ্র ৪০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক নিয়ে যায় পঃবংগ থেকে প্রতি বছর আর কেন্দ্র অনুদান দেয় ৬-৭ হাজার কোটি টাকা পঃবঙ্গকে। গত ১৪/১৫ অর্থ বছরে পঃবঙ্গে কেন্দ্রে শুল্ক আর সুদ দিয়ে মোট আয় মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা। এবার বুঝলি স্বাধীনতা কি???? স্বাধীনতা ঐ কেন্দ্র ৪০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক... স্বাধীনতা ঐ সুদ। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের রেলমন্ত্রী আমলে ২০০০ সালে পঃবঙ্গের মধ্যে চালু ট্রেনগুলির যাত্রী টিকিট, এবং যাত্রী সংরক্ষণ-তালিকা সহ সর্বত্র আগে যেখানে বাংলা ও ইংরেজি ছিল, সেখানে বাংলাভাষা মুছে হিন্দি বসিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীদের ৯৯% বাঙালি। যারা হিন্দি বা ইংরেজি জানেনা তাদের খুবই অসুবিধা সৃষ্টি হল। অসুবিধা ছাড়াও বাংলার মধ্যে বাংলা ভাষা জোর করে তুলে দিয়ে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া বাঙালির আত্ম- সম্মানে চরম আঘাত করা হল তা ও তোরা বুঝলি না। নিজেদের বুঝ বোঝ, পরে বাংলাদেশ নিয়ে গালি দিস, তোদের কপালে চরম অস্মমান আসছে, প্রস্তুত হ,যে ভাবে গুজরাটি, মাড়ওয়ারি,তোদের বাবসা বাণিজ্য দখল করছে, তাতে হয়তো কেন্দ্রই একদিন বলবে কলকাতায় কোনদিন বাঙালি ছিল না ।
বিষয়: বিবিধ
৯৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন