ভর্তি পরীক্ষাঃ আস্থা ও হেনস্থা
লিখেছেন লিখেছেন দাবী আদায়ের বালক ০৫ নভেম্বর, ২০১৬, ০২:০০:১৮ দুপুর
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’
ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ১০০
জনের মধ্যে ৯৪ জন শিক্ষার্থীই ফেল
করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান)
শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় ‘ডি’
ইউনিটে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার
শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ৯১টি আসন।
সেখানে পরীক্ষায় পাস করেছেন
মাত্র ১৯ জন পরীক্ষার্থী! জিপিএ
নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক্ষেত্রে নমনীয়
হওয়া প্রয়োজন।
একবার না পারিলে দেখো শতবার। এই
দেখার সুযোগটাই কিছু বিশ্ববিদ্যালয়
গলা টিপে ধরেছে। যে ছেলেটা
খেয়ে না খেয়ে বাবার দোকানে
সাহায্য করে, কিংবা পত্রিকা
বিক্রি করে পড়াশোনা চালিয়ে
অন্তত ৩.৫ পেয়েছে তার চেষ্টার
কোনো ত্রুটি ছিলোনা। তাকে অন্তত
পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার প্রমাণ
দেয়ার সুযোগ করে দেয়া উচিত।
এক্ষেত্রে দিত্বীয়বার পরীক্ষার
সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করা উচিত
না।
একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একেক নিয়ম
কেন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যা করে ওর
দেখাদেখি জগন্নাথও তাই করে।
আফসোস।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও সেকেন্ড
টাইম বন্ধ করেছে।
সেকেন্ড টাইম সুযোগ দেয়া উচিত এ
কারণেই যে সেই শিক্ষার্থী চেষ্টা
করে এবং সফল হয়।
আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একেকটা
ইউনিটের পিছনে ৫০০ থেকে ১০০০
টাকা ফর্ম এর ফি নির্ধারণ করে।
যাচ্ছেতাই নিয়ম বন্ধ করা উচিত। একটা
শিক্ষার্থীর পিছনে এতো টাকা খরচ
হয় নাকী!
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই
করার যোগ্যতা থাকলেও সবাই
পরীক্ষা দিতে পারবেনা। মানে
আসনের বিপরীতে ১০-১৫ গুণ শিক্ষার্থী
মেরিট করা হয় যারা পরীক্ষা দিতে
পারবে। যেখানে জিপিএ ফাইভ
নিয়ে বিতর্ক সেখানে এ নিয়ম ঠিক
না। প্রস্তুতি ভালো থাকা সত্বেও
জিপিএ না থাকার কারণে এখানে
শিক্ষার্থীটি তার মেধার প্রমাণ
দিতে পারলো না।
আর এপ্লাইয়ের পয়সাটাতো ফেরত
দিলোনা।
বলাবাহুল্য, জিপিএ দ্বারা প্রকৃত মেধা
যাচাই হয়না। জিপিএ টা হলো একটা
ফর্মুলা, স্ট্রাকচারড পড়াশোনা।
কোচিং এবং প্রাইভেট টিউশন
যেখানে সফল। গরীবরা যার কাছে
ঘেষতে পারেনা।
ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থী
অভিভাবকদের ছোটাছুটি নাভিশ্বাস
ওঠে। এতো সময় নষ্ট, এতো পয়সার খরচ
অথচ জিপিএওয়ালারা সব জায়গায়
সামনে বসে থাকে। পড়বে একজায়গায়
অথচ সব জায়গায় শুরুতে দখল দিয়ে
থাকে। এই বিরম্বনার শেষ কোথায়।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি কমাতে
কেন্দ্রীয়ভাবে অথবা আঞ্চলিকভাবে
শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানে
পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভাইস
চ্যান্সেলরদের প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির এ আহ্বান
আসলেই একটা সমাধান। দ্রুত তা কার্যকর
করা উচিত।
তথ্যসুত্রঃ
১। ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
২। রাবির ভর্তি পরীক্ষা
৩। কেন্দীয়ভাবে পরীক্ষা নেয়া
হোক
বিষয়: বিবিধ
৮৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন