সঙ্গীত
লিখেছেন লিখেছেন আবরার আকিব ২১ মে, ২০১৭, ০৪:০০:৩০ বিকাল
বহুমাত্রিক যন্ত্রের প্রভাবে সঙ্গীতে প্রতিভা যেন আজ মৃতপ্রায়।
গায়কের গলার সুরে নয় যন্ত্রের ব্যবহারে বেজে উঠে যে সুর, সে সুরেই মজেছে আজ তরুন প্রজন্ম। তরুন প্রজন্মের হাতে গোনা কয়েকজন ব্যতীত কজনই বা আর রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, লালনগীতি, বাউল সঙ্গীত, ভাটিয়ালি গান, ময়মনসিংহ গীতিকার সাথে পরিচিত।
এ প্রজন্ম মজেছে বিকৃত সঙ্গীতে। বিকৃত সঙ্গীত শুধু ক্ষানিক সময়ের মনের খোরাক জোগায়। ধরুন মান্না দের গাওয়া গান, ' কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই '। গান টা কালজয়ী কোন কালে কী কখনো গান টা পুরনো হবে নাকী। মানুষ চায় নতুন কিছু গ্রহন করতে পুরনো কে বর্জন করতে। এটাই মানুষের ধর্ম।
কিন্তুু যেসব গান শুনে শুধু সাময়িক উত্তেজনা তৈরী করবে, কিন্তুু নিজেকে সে গানের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবেনা সে তান শুনে কী লাভ?
সাম্প্রতিক সময়ের একটা ব্র্যান্ড এর গান শুনলাম আমি, তাদের গানের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান যেটি হলো, ' তুমি তামাক ধরো তামাক ছাড়ো আগুন জ্বালাইয়া দাও, নেশা কেটে গেলে তুমিও কেটে যাবে।
নেশার ভেতরে গাজা গুরে গাজার ভেতরে তুমি, তামাক বৃক্ষের পাতা।
তারা গানের ম্যাসেজ টা কী দিলো...
তুমি প্রেম করো, যদি ব্যার্থ হও তবে গাজা ধরো, আর গাজার মাঝে প্রেমিকা কে খুঁজে পাবে।
কী বুঝলেন আজকের তরুন প্রজন্ম মাদক বিরোধী র্যালি করে, আর এসব বাজে গান শুনে মাদকের দিকে অগ্রসর হয়। ভাইরাসরুপী এসব গান আমাদের বর্জন করতে হবে। ভাইরাসের উপকারী দিক যতটাই আছে তাঁর ক্ষতিকারক দিক টাই বেশী। যেমন বাংলাদেশের বিখ্যাত সাথে সাথে কুখ্যাত লেখিকা তছলিমা নাসরীন।
তছলিমা নাসরীন যেমন নারীবাদ নিয়ে চিল্লাচিল্লি করেন, ধর্ষণের বিরুদ্বে কথা বলে নিজেকে মানবতাবাদী দাবী করে, তেমনি তার চটিখ্যাত বই গুলো ধর্ষণ কারী দের ধর্ষণের রসদ জোগায়। ধর্ষণ কারী দের উৎসাহ দেয়।
আহ কেমন নারীবাদী মহিলা রে......
আমাদের ভাল মানুষ রুপী অমানুষ দের আগে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৯৪৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাই হোক সঙ্গীতের ব্যাপারে চমৎকার বলেছেন ।
ইনশাল্লাহ চিন্তাভাবনা হবে আরো বিস্তৃত আর লিখাও হবে আরও গতিশীল ।
অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন