নাস্তিকতা ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

লিখেছেন লিখেছেন আবরার আকিব ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:৪৪:৩৭ সকাল

নাস্তিক কী ...?

যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী না, পরকালে বিশ্বাসী না।

কিন্তুু আমি যত গুলা নাস্তিক দেখছি এ পর্যন্ত সবগুলাই ইসলাম বিদ্ধেসী নাস্তিক। তারা কিন্তুুু নিজেদের নামগুলো পরিবর্তন করে না। নিজের পরিবার কেও না। তারা নিজ নিজ ধর্মের সাথে যুক্ত থেকে নিজেদের ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে। এ ক্ষেত্রে এদের কে মুনাফিক বলা চলে । কিন্তুু বাংলাদেশ প্রেক্ষিত অধিকাংশ নাস্তিক ইসলাম বিদ্ধেসী। কিন্তুু তারা হিন্তুুত্ববাদে বিশ্বাসী। নিজে মুসলমান হওয়া সত্বেও হিন্দুদের সকল অনুষ্ঠানে তাদের পা চাটতে তারাই সবার আগে উপস্থিত হয় ।

আমার প্রশ্ন হল ,

আপনারা তাহলে নাস্তিক হলেন কীভাবে?

কোন হিন্দুু নাস্তিক এত সহজে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা। যতটা সহজে মুসলমান রুপী নাস্তিক রা বলতে পারে।

তবে প্রশ্ন হল আপনাদের মৃত্যুপরবর্তী সময় আপনাদের লাশ নিয়ে কী করব আমরা? ?

কবর দিব, না পুরিয়ে ফেলব, না মাটিতে পুতে ফেলব, না মমি করে রেখে দিব।

কোন ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তি নিজ ধর্মীয় অবমাননা গুলো সহ্য করতে পারে না।

আর মানবতাই হল নাস্তিকদের প্রধান যুক্তি।

কাজী নজরুল ইসলাম মানবতায় বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তুু তার কোন কবিতায় ,কোন প্রবন্ধে ,কোন লেখায়, কোন বক্তব্যে, কোন ধর্মের বিরুদ্ধে আমরা কোন কথা পাইনি। মানবতাবাদ এই শিক্ষা দেয়নি আপনাকে যে কোন ধর্মকে অবমাননা করে মানবতাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আর নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা - এক মহিলা মুসলিম রুপী নাস্তিক এর মতে, ইসলামে নারীর অধিকার সবচেয়ে কম, হিন্দু ধর্মে সবচেয়ে বেশী। দেব দেবীর প্রাধান্য কেই তিনি এর কারন মনে করেন। তবে রাসুল (স) এর আগের যুগ ছিল আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ। তখন দেব দেবীর প্রাধান্য বেশী দেওয়া হত।

তবে আপনি যদি সে যুগের মেয়ে হতেন হয়তো আপনাকে জন্মের পরপরই জীবন্ত দাফন করা হত । নয়তো ভোগের সামগ্রী হিসেবেই আপনি বড় হতেন। ইসলাম ই নারীদের কে অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছে। যা অন্য কোন ধর্মের উর্ধ্বে।

আর আপনারা ত অবাধ যৌনচারে বিশ্বাসী । আপনারা কীভাবে বুঝবেন নারীর কোনটা অধিকার, আর কোন টা অনাধিকার।

বিষয়: বিবিধ

৮২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File