বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং বিদেশীদের আস্থা
লিখেছেন লিখেছেন Basherkella ৩১ আগস্ট, ২০১৬, ০৩:৩৯:০১ দুপুর
আর্থিক সহায়তার যাত্রা শুরু সেই সময় থেকেই, যখন বাণিজ্য শুরু হয়। বাণিজ্য প্রসারে সহায়তার রাজনীতিও চলে তখন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বৈদেশিক সাহায্যের ধরন পরিবর্তিত হতে শুরু করে। সহায়তা প্রক্রিয়ায় একটি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ শুরু হয় সে সময় থেকেই। এরপরেই বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ প্রতিষ্ঠানের জন্ম। মূলধনের আন্তঃপ্রবাহ অথবা অন্যকোনো সাহায্য স্বাভাবিক বাজার শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয় না। বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণের প্রধান লক্ষ্য সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মধ্যে বিরাজমান ফাঁক পূরণ করা এবং আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ঘাটতি দূর করা। উন্নয়ন কর্মকান্ডে অর্থ যোগানোর একটি প্রধান উপায় বৈদেশিক সাহায্য। সাহায্য পরিকল্পনা, অনুদান হোক বা ঋণে হোক, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখেছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) জুলাই মাসে বৈদেশিক প্রতিশ্রুতিতে রেকর্ড হয়েছে। আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে জুলাইতে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রায় এক হাজার ১৬৮ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের (২০১৫-১৬) একই সময়ে দাতারা চার কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি যে কোন একক মাস বিবেচনায় প্রতিশ্রুতির রেকর্ড। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে রাশিয়া প্রায় এক হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার দিতে রাজি হওয়ায় এমনটা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতি বিদেশীদের আস্থার প্রতিফলন।
বিষয়: বিবিধ
৬২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন