মানবতা পদধ্বলিত!! বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে!!
লিখেছেন লিখেছেন লেখক চাচা ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ০৮:০২:৫৫ সকাল
চাঁদপুর জেলাধীন কচুয়া উপজেলার কাদলা উত্তর পাড়া প্রধানিয়া বাড়িতে এক মাস আগে জনৈক জুলহাসের ভাগিনার সাথে মৃত রিয়াদ(ছবিতে রিয়াদের মৃত লাশ)খেলতে যায়। ওই সময় রিয়াদের আঘাতে জুলহাসের ভাগিনার চোখে জখম হয়।
-
এ ঘটনার পর ইউপি সদস্য আবুল কাসেম, সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, হাজি সফিউল্লাহ, ইমান,হাজী রুহুল আমিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ শালিসের মাধ্যমে রিয়াদের পরিবারকে ৩৫,০০০টাকা জরিমানা করে। জুলহাসের পরিবার বিচার না মেনে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের এস আই মোজাম্মেল পুনরায় বিচার করে ৫৫,০০০টাকা রায় দেয়। রিয়াদের পরিবার সেই রায়ও মেনে নেয়। জুলহাসের পরিবার এই রায়টিও না মেনে কচুয়া থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) সাহেবের কাছে যায়। ওসি সাহেব বিচারকদের ডেকে আরও ২০,০০০টাকা জরিমানা করে, অর্থাৎ সর্বমোট ৭৫,০০০ টাকায় এর সমাধান হয়। এই রায়টিও রিয়াদের বাবা ইয়াকুব হোসেন মেনে নিয়ে জরিমানার ৭৫,০০০ টাকা ওসি সাহেবের কাছে জমা দেন।
ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান স্বত্ত্বেও মিমাংসিত বিষয়কে কেন্দ্র করে অন্যায়ভাবে জুলহাসের পরিবার মামলা দায়ের করে। আর সুষ্ঠু সমাধানের নেপথ্যে থাকা ওসি সাহেব রিয়াদের বাবা এবং বড় ভাইকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর আদালতে পাঠায়।
রিয়াদের বাবা ইয়াকুব ও তার বড় ভাইকে জেলে নিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এলাকার শালিস বিচারকগণ ওসি সাহেবের কাছে টাকা ফেরৎ চাইতে যান কিন্তু ওসি উক্ত জরিমানার টাকা ফেরত দেননি! এ বিষয়টি কচুয়া পৌরসভার মেয়র ও এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব অবহিত আছেন।
-
(তারপর শিশু রিয়াদ পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যায় ।)
-
প্রশ্ন????
-
৭৫ হাজার টাকা ওসি সাহেবের বিচারের মাধ্যমে জরিমানা দেয়ার পরও মামলা হলো... ওসি সাহেবের নির্দেশে আসামিরা গ্রেফতার হয়ে ২০দিন জেল খাটলো..., ভয়ে অবুঝ শিশুটি গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেলো...?
আর্তি....?
এতোকিছুর পরও ওসি সাহেবের কাছে থাকা জরিমানার টাকা ফেরৎ পেল না রিয়াদের পরিবার! ছেলে হারিয়ে, টাকা হারিয়ে দিনমুজুর ইয়াকুব এখন কি করবে? কার কাছে গেলে ন্যায় বিচার পাবে, কার কাছে গেলে ওসি সাহেব টাকা ফেরৎ দিবে একটু বলবেন কি?
বিষয়: বিবিধ
৬৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন