Frustration.....! ধৈর্যশীলদের জন্যই তো জান্নাতের সুসংবাদ !
লিখেছেন লিখেছেন উম্মে হাফসা ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৮:৫০:২৪ রাত
জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে ,যখন আমাদের চারপাশটা বিষন্নতায় ভারী হয়ে উঠে। অন্ধকারে আচ্ছন্ন জীবন ধীরে ধীরে রং হারাতে শুরু করে। “হয়তো এমনই হওয়ার ছিল”, “ সবকিছু শেষ হয়ে গেছে“ টাইপ একটা ভাব নিয়ে আমরা নিজেদের গুটিয়ে রাখি প্রচেষ্টা থেকে।
.
এ সবকিছু হয় কারণ- অজান্তেই শয়তানের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে নিজের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন। শয়তান একদিনে আপনাকে দিয়ে তেমন কিছু করাতে পারেনা। একটু একটু করে আপনাকে সে পথভ্রষ্ট করাতে থাকে। বাহহ! আপনিও " বন্ধু আমার পথের সাথী হবে কি ……" ছন্দে শয়তানের সাথে সূর মিলাচ্ছেন । মাইন্ড সেট করে নিয়েছেন-‘ এই বুঝি আমার আর ফিরার পথ নেই…।
.
Frustration ………! It’s a alarming Site to you..! হতাশা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। সে আপনাকে স্রষ্টার রাহমাহ থেকে নিরাশ করার প্রয়াস চালায়। হতাশা- এটি স্রষ্টার পক্ষ থকে অসাধারণ নিয়ামত…! হ্যাঁ! অসাধারণ নিয়ামত। যদি আপনি বুঝে থাকেন। এটিই সেই বিশেষ মুহূর্ত, যেখান থেকে হতে পারে আসমান ও জমীনের স্রষ্টার পথে প্রত্যাবর্তন ! তাঁর দিকে আপনার প্রত্যাবর্তনের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন।
.
আপনি কি সব ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ্ সুবহান’আল্লাহ তায়ালার রাহমাহ’র কথা ভুলে গেছেন? প্রতিরাতে এমন একটি মুহূর্ত আছে যখন আল্লাহ্ সুবহান’আল্লাহ আপনাকে ডাকতে থাকে তাঁর কাছে প্রার্থনার জন্য। অবাক হচ্ছেন?
হুম্মম! তাহাজ্জুদের কথাই বলছি ! অশ্রুসিক্ত নয়নে হৃদয়ের সবটুকু চাওয়া , তাঁর কাছেই নিবেদন করুণ। আপনি নিশ্চয়ই রাত্রির সেই বিশেষ মুহূর্তটি হাতছাড়া করবেন না!
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “আমাদের মহান প্রভু প্রতিদিন শেষ রাতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে বলতে থাকেনঃ “কে আছ এমন ,যে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দিব। ওগো কে আছ এমন, যে আমার কাছে কিছু চাইবে , আমি তাকে তা দিয়ে দিব। ওগো! কে আছ এমন, যে এ সময় আমার কাছে গুনাহ হতে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। -(বুখারী ও মুসলিম)
.
না নাহ! একদম তাড়াহুড়ো করবেন না। স্রষ্টার উপর পুরোপরি ভরসা রাখুন, আশ্বস্ত হোন। বিনীত হৃদয়ে প্রার্থনা করতে থাকুন।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-“ বান্দার দু’আ বারবার কবুল করা হয় যতক্ষণ সে কোন গুনাহ করার দু’আ করে এবং যতক্ষণ সে তাড়াহুড়ো না করে। জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! তাড়াহুড়া কি? তিনি বললেনঃ দোয়াকারী বলতে থাকে আমি অনেক দো’আ করেছি, কিন্তু আমার দু’আ কবুল হতে দেখলাম না। ফলে সে নিরাশ হয়ে আফসোস করে এবং দো’আ করা ত্যাগ করে। - (মুসলিম)
.
পার্থিব জগতটা ক্ষণস্থায়ী। এখানে চলে প্রতি মুহূর্তে ভাঙ্গা-গড়া। বেদনাপীড়িত হৃদয়কে প্রতিক্ষণ ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।
“ ধৈর্যের চাইতে উত্তম ও প্রশস্ত পুরস্কার আর কাউকে কিছু দেওয়া হয়নি।“- (মুসলিম)
জীবনের প্রতিটি কঠিন মুহূর্তে ধৈর্য ধারণের জন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই কথাটিই কি যথেষ্ট নয়!
.
আলহামদুলিল্লাহ ! আপনি এখন সবর অবলম্বন কারীদের একজন। স্রষ্টা ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন। হুম্ম! পবিত্র কুরআনে আপনার জন্য জন্য অসাধারন পুরস্কারের কথা বলা আছে-
“ আর তাদের ধৈর্যশীলতার পুরস্কার স্বরুপ তাদেরকে জান্নাত ও রেশমী পোশাক দান করবেন।“ – ( সূরা দাহরঃ ১২)
এমন জান্নাত যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহমান।
কি চমৎকার প্রতিদান! সুবহানআল্লাহ!
কষ্ট-হতাশা ভুলে এবার একটা মুচকি হাসি দিন তো!
Keep smiling…It’s a sunnah!
বিষয়: বিবিধ
১৯৬৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন