যে পথে ছুটে গেছে স্বপ্নের জান্নাত!
লিখেছেন লিখেছেন উম্মে হাফসা ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ০৯:৩৬:২৯ রাত
প্রতিটি ভাল কথা এক একটী বীজ এর মত, একটি সাদকা স্বরুপ!
এই ছোট একটি বীজ একদিন পরিণত হতে পারে অধিক শাখা-প্রশাখাময় বৃক্ষে! সুবহানআল্লাহ!
এই বৃক্ষটি সেই কঠিন দিনের নাজাতের উপায় হয়ে উঠতে পারে,যে দিন আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি ছোট ছোট কাজেরও হিসেব গ্রহণ করতে সমর্থ!
"তারা বলবেঃ হায় আফসোস এ কেমন আমল নামা ,এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি সবই এতে রয়েছে ,তারা তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত পাবে। (সূরা আল ক্কাহাফঃ৪৯)
আধার-ঘর কবরে কিছুই কাজে আসবে সাদকায়ে-জারিয়া ছাড়া। এটি তা-ই যে কাজের সওয়াব কিয়ামত পর্যন্ত আমলনামায় লিখিত হবে।
ধরুন, আপনি কাউকে একটি সৎ উপদেশ দিলেন। সে তা মেনে চলল। পরবর্তীতে, সে ব্যক্তি আপনার এই উপদেশটি অপর এক ব্যক্তিকে দিল।সেও মেনে চলল। এভাবে প্রতিটি ব্যক্তির সৎকর্মের সওয়াব আপনার আমলনামায় লিখিত হবে।
আল্লাহ সুবহানআল্লাহ তায়ালা সূরা আসরে সময়ের কসম খেয়ে ৪ শ্রেণীর মানুষের কথা বলেছেন,তারা ছাড়া সবাই ক্ষতিগ্রস্থ।আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!
"সময়ের কসম।মানুষ আসলে বড়ই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।তবে তারা ছাড়া,যারা ঈমান এনেছে,সৎ কাজ করেছে,একে অপরকে সৎকাজের উপদেশ দিয়েছে এবং একে অপরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছে।"
-সূরা আসর
ইমাম রাযী বলেছেনঃ "একজন বরফওয়ালার কাছ থেকে আমি সূরা আসরের অর্থ বুঝেছি।সে বাজারে জোর হেঁটে চলছিল-দয়া করো এমন এক ব্যক্তির প্রতি যার পূঁজি গলে যাচ্ছে।একথা শুনে আমি বললাম,মানুষকে যে আয়ুষ্কাল দেয়া হয়েছে তা বরফ গলে যাবার মতো দ্রুত অতবাহিত হয়ে যাচ্ছে।একে যদি নষ্ট করে ফেলা হয় অথবা ভুল কাজে ব্যয় করা হয় তাহলে সেটিই মানুষের জন্য ক্ষতি।"
এই সূরাটির গুরুত্ব এতখানিই যে, রাসুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীগণের মধ্য থেকে দুই ব্যক্তি যখন মিলিত হতেন তখন তারা একজন অপরজনকে সূরা আসর না শুনানো পর্যন্ত পরস্পর থেকে বিদায় নিতেন না।
এক-এক সেকেন্ড করে প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের সময় ,আয়ু কমে যাচ্ছে। তাই এই অল্প সময় কাজে লাগিয়ে আখিরাতের পুঁজি অর্জন করি।
আসুন, একটি সৎকাজের আমল ও এটির উপদেশ দানের মাধ্যমে, এক বৃক্ষ পরিমাণ সওয়াব অর্জন করি।
আমাদের অর্জিত ছোট্ট আমলটি পাশের জনের মাঝে ছড়িয়ে দিই। এটিই সে দিন কবরে আলো ছড়াবে ইনশাআল্লাহ প্রতিটি ভাল কথা এক একটী বীজ এর মত, একটি সাদকা স্বরুপ!
এই ছোট একটি বীজ একদিন পরিণত হতে পারে অধিক শাখা-প্রশাখাময় বৃক্ষে! সুবহানআল্লাহ!
এই বৃক্ষটি সেই কঠিন দিনের নাজাতের উপায় হয়ে উঠতে পারে,যে দিন আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি ছোট ছোট কাজেরও হিসেব গ্রহণ করতে সমর্থ!
"তারা বলবেঃ হায় আফসোস এ কেমন আমল নামা ,এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি সবই এতে রয়েছে ,তারা তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত পাবে। (সূরা আল ক্কাহাফঃ৪৯)
আধার-ঘর কবরে কিছুই কাজে আসবে সাদকায়ে-জারিয়া ছাড়া। এটি তা-ই যে কাজের সওয়াব কিয়ামত পর্যন্ত আমলনামায় লিখিত হবে।
ধরুন, আপনি কাউকে একটি সৎ উপদেশ দিলেন। সে তা মেনে চলল। পরবর্তীতে, সে ব্যক্তি আপনার এই উপদেশটি অপর এক ব্যক্তিকে দিল।সেও মেনে চলল। এভাবে প্রতিটি ব্যক্তির সৎকর্মের সওয়াব আপনার আমলনামায় লিখিত হবে।
আল্লাহ সুবহানআল্লাহ তায়ালা সূরা আসরে সময়ের কসম খেয়ে ৪ শ্রেণীর মানুষের কথা বলেছেন,তারা ছাড়া সবাই ক্ষতিগ্রস্থ।আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!
"সময়ের কসম।মানুষ আসলে বড়ই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।তবে তারা ছাড়া,যারা ঈমান এনেছে,সৎ কাজ করেছে,একে অপরকে সৎকাজের উপদেশ দিয়েছে এবং একে অপরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছে।"
-সূরা আসর
ইমাম রাযী বলেছেনঃ "একজন বরফওয়ালার কাছ থেকে আমি সূরা আসরের অর্থ বুঝেছি।সে বাজারে জোর হেঁটে চলছিল-দয়া করো এমন এক ব্যক্তির প্রতি যার পূঁজি গলে যাচ্ছে।একথা শুনে আমি বললাম,মানুষকে যে আয়ুষ্কাল দেয়া হয়েছে তা বরফ গলে যাবার মতো দ্রুত অতবাহিত হয়ে যাচ্ছে।একে যদি নষ্ট করে ফেলা হয় অথবা ভুল কাজে ব্যয় করা হয় তাহলে সেটিই মানুষের জন্য ক্ষতি।"
এই সূরাটির গুরুত্ব এতখানিই যে, রাসুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীগণের মধ্য থেকে দুই ব্যক্তি যখন মিলিত হতেন তখন তারা একজন অপরজনকে সূরা আসর না শুনানো পর্যন্ত পরস্পর থেকে বিদায় নিতেন না।
এক-এক সেকেন্ড করে প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের সময় ,আয়ু কমে যাচ্ছে। তাই এই অল্প সময় কাজে লাগিয়ে আখিরাতের পুঁজি অর্জন করি।
আসুন, একটি সৎকাজের আমল ও এটির উপদেশ দানের মাধ্যমে, এক বৃক্ষ পরিমাণ সওয়াব অর্জন করি।
আমাদের অর্জিত ছোট্ট আমলটি পাশের জনের মাঝে ছড়িয়ে দিই। এটিই সে দিন কবরে আলো ছড়াবে ইনশাআল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
১০০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন