পতিতাদের রাতের শহরে সে পতিতা ছিল না।

লিখেছেন লিখেছেন আমি আল বদর বলছি ১৩ আগস্ট, ২০১৯, ০৪:৩৫:২২ বিকাল



রাত ১২টা সিলেট শহরে অলি গলি নিরব ঈদের দিন মানুষজন নেই বললেই চলে মাঝে মধ্যে এক দুটি পুলিশের গাড়ি যাচ্ছে !

ঈদের দিন বা সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাতে সিলেট শহরে চিত্র ভিন্ন থাকে আপনারা যারা রাতে সিলেট শহরে হাটা চলা করেছেন আপনার এই কথা নিশ্চই জানেন। রাত ১টার পর থেকে সিলেটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখলে থাকে পতিতাদের।

রাত ১২টারে পরে এমনই নজর পরে রাস্তা খন্দকের আশায় বসে পতিতাদের !বাসায় যাওয়ার জন্য দাড়িয়ে ছিলাম সিলেটের প্রাণ কেন্দ্র স্থান করিম উল্লাহ মার্কেটের সামনে......

মার্কেটে সামনে দুইজন মহিলা বসা দেখলাম একজনকে দেখে কনর্ফাম হয়ে গেলাম যে মেয়েটি পতিতা হবে ঠিক অপর পাশে বসে থাকা মেয়েটিকে দেখে কেন জানি পতিতা মনে হলো না ।

মেয়েটির দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম মার্কেটের সামনে ফেলে দেওয়া খাবারের দিকে বার বার তাকাচ্ছে। আর এক পা দু পা করে সামনে এগিয়ে আসছে.....

ঠিক এমনই সময় গাড়ি নিয়ে এসে হাজির আমার প্রাণের প্রিয় ইরফান ভাই আমি গাড়িতে চেপে বসলাম ইরফান ভাই একের পর এক প্রশ্ন করছেন। আমি গাড়ির ভিতর থেকে বার দেখছিলাম মেয়েটি কি করছে ইরফান ভাই গাড়ি না ছেড়ে দাড়ি আছে।

বেচারা হয়তো বুঝতে পারছে আমার নজর মহিলাটির দিকে,... টুপ টাপ বৃস্টির মধ্যেই ফেলে দেওয়া নস্ট হয়ে যাওয়া খাবার গুলি দেখি খাচ্ছে মেয়েটি।

মহিলাটি এই চিত্রটি দেখে আমি তারাহুরা করে গাড়ি থেকে নামলাম। এই দৃশ্যে দেখে কেন জানি বুকটা কেঁপে উঠলো। এইতো কিছুক্ষণ আগে শুধু আমার জন্য কতকিছু আয়োজন করেছিলেন আম্মু আমি এত কিছু রেখে না খেয়ে বেরিয়ে আসছি আশার সময় অবশ্য আম্মু প্রচুর গালি দিয়েছেন যা খেয়ে মুটা মুটি আমার পেঠ ভরা।

সোজা দৌরে গিয়ে সির্টি হার্ট রেস্তোরা ঢুকলাম রেস্তোরা ডাকাতের বাচ্চারা পার্সেল দিতে চাচ্ছিল না রুই মাছ দিয়ে ভাত দিলে ৫০০ টাকা লাগবে।যদিও এই রেস্তোরা ডাকাত আমি জানতাম আগে থেকেই আজ ভুলে ঢুকে গিয়েছিল ।

#আপনাদের কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ থাকবে কখনও সির্টি রেস্তোরা কিছু খেতে ঢুকবেন না প্লিজ...

তারাতারি ঐখান বেরিয়ে পাসেই অন্য একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে থেকে সামান্য কিছু খাবার নিলাম সাথে পানিও নিলাম আঁশে পাশে দাড়িয়ে থাকা কিছু অমানুষ দেখলাম খেয়াল করে তাকিয়ে দেখছে অবাক চোখে মনে হয় এমন মানুষ এর আগে দেখেনি।

দৌরে মেয়েটির কাছে গিয়ে ব্যাগটি দিলাম মেয়েটি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে হয়তো কিছু বলতে চাচ্ছে। কিন্ত আমার শুনতে ইচ্ছা করছিল না আরও কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলে হয়তো মেয়েটি দেখতে পেতো আমার চোখ পানিতে ভরপুর । এমনইতে আমার লজ্জা বেশি আর মেয়ে মানুষের সামনে সামনে তো এমনইতেই আমার হাটু কাপে।

কিছু না বলে ঐখান থেকে চলে আসলাম বৃস্টি বেরে গিয়েছে হাটার গতিও কমে গিয়েছে ইরফান গাড়ি থেকে নেমে গাড়ি উপর উঠে বৃস্টিতে ভিজে ভিজে দেখছে এইসব ইরফান ভাই তাকিয়ে মিস্টি একটি দশ টাকা দামের একটি হাঁসি দিলেন বললেন দুই বেটা এক আজব মাল....

উনার হাঁসি দেখে আমার চোখের কোনায় কেন জানি পানি চলে আসলো ভাই গাড়িতে উঠে পানির বোতল ছুরে দিয়ে বললেন মুখটা ধোয়ে নেয় মহা পুরুষদের চোখে জল মানায় না........... শুনেছি

বিষয়: বিবিধ

৯১০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386709
২৩ আগস্ট ২০১৯ সকাল ০৯:৫৮
শাহাদাত হুসাইন নবীনগর লিখেছেন : ক্ষুধায় কাতর এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা উচিত
386713
২৩ আগস্ট ২০১৯ রাত ০৯:০৮
চেতনাবিলাস লিখেছেন : Excellent! Zazak Allahu khairan.
386717
২৩ আগস্ট ২০১৯ রাত ১০:৩৯
টাংসু ফকীর লিখেছেন : আমি ও শালা কেমন জানি ফেত কান্দুরী, খালি কান্না আসে। লেখাটা পড়েই মনটা খারাপ হয়ে গেল। দূর শালা-------।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File