ছাত্রী সংস্থার এক জেলবন্দী রমনী-১

লিখেছেন লিখেছেন আমি আল বদর বলছি ১৮ মে, ২০১৯, ০২:০১:১৭ রাত



কুত্তা বাচ্চা -- শুয়োরের বাচ্চারা - সব কয়টাকে গুলি করে মারবো আজ। এই জসিম এই সব খান** চুত*** ধর।

কিছু বুঝে উঠার আগেই পুলিশ অফিসারের অশ্লীল গালি আর সিগারেটের গন্ধ ধম বন্ধ হয়ে আসছিল। আমি ছাত্রী সংস্থা করি শুধু আব্বু আর ভাইয়ার জন্য আজ আমি এই পথের পথিক আব্বু ভাইয়া জামাত শিবির রাজনৈতি ইসলামী আন্দোলনের সাথে যেন মিশে আছে। দিন রাত এদের মিছিল আর মিছিল। প্রতিবাদ।

আজ প্রথম বার কোনো কোরআনের বৈঠকে আওমিলীগ পুলিশকে দেখে সত্যিই চমকে গিয়েছি। আমি জানতাম আওমিলীগের লালিত পালিত পুলিশ গুলি খারাপ কিন্ত এতোটা খারাপ হবে আমি কখন্য কল্পনাও করতে পারিনি। আমি ভাবতাম ওরাও তো মুসলিম ওরাও তো আল্লাহ বিশ্বাস করে। একজন আল্লাহ বিশ্বাসী মানুষ কখনও কোরআনের বৈঠকে এইভাবে এসে অশ্লীল গালি কথাবার্তা বলবে না। আমার ধারণা ভুল ছিল আমার মনে রাখা উচিত ছিল যারা দুনিয়ায় পূজারি মুসলিম ওরা কখনও আল্লাহ বিশ্বাসী হতে পারে না । আমাদের টেনে হেচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে !

জসিম নামের এক পুলিশ আমার হাত ধরেছে এই প্রথম কোনো অচেনা পুরুষ আমার হাত ধরেছে। জানুয়ারে চেহারায় অধিকারী পুলিশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে গালাগাল করে যাচ্ছে পাইকারি ভাবে! পুলিশ গাড়িতে তুলা হলো আমাদের ২৫জন দ্বীন বোনকে গাড়ি চলছে আকাবাকা রাস্তা ধরে !গাড়ির ছোট জানালা দিয়ে মিস্টি বাতাস ডুকছে বাতাসের সেই মিস্টি হাওয়া আমি হারিয়ে গেলাম ভাবনার জগতে

১৪০০ বছর আগের ইসলামের সৈনিকের কথা কল্পনা করে কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেলাম মুসলিম সভ্যতার সেই সোনালি যোগে। রাজ পথ জিহাদের ময়দান কাপিয়ে বিজয় হয়ে তাক্বির ধন্নি দিয়ে এগিয়ে চলছে মুসলিম কাফেলা বাতিল মুশরিকের সাথে যুদ্ধ চলছে রক্তাক্ত মুসলিম মুজাহিদরা তবুও সংগ্রাম করছে আল্লাহর রাস্তায় শহিদ হচ্ছে প্রাণ দিচ্ছে তবুও পিছু হাটছে না। এ যেন বর্তমান শিবিরের কথা মনে করিয়ে দেয়। সেদিন আল্লামা সাঈদী হুজুের ফাঁসির রায় দিয়েছিল আওমিলীগ সরকার দেখেছিলাম ইসলামের কান্ডারি শিবিরের সেই ছেলে গুলিকে।পুলিশে ছুড়া বুলেটের গুলি খেয়ে পরে থাকা নিথুর দেহো।

ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়ে রাস্তার পাশে বসে পরা সেই শিবির ছেলেটির এগিয়ে গিয়েছিলাম রক্ত মাখা জায়গায় কাপড় দিয়ে বেঁধে দেওয়ার জন্য নিজের কাপড় ছিড়ে আঘাত পাওয়া জায়গায় বেঁধে দিতে যেই না আমি এগিয়ে গিয়েছি শিবিরের সেই ছেলেটি দেখি লজ্জায় রক্তে আরও লাল হয়ে গিয়েছে।

মাথা নিচু করে শুধু এইটুকুই বলছে আমি ঠিক আছি আপনি চলে জান এইখান থেকে। চেনা নাই যানা নেই কেন জানি খুবই আপন এবং মায়া হচ্ছিল এই ছেলেটির জন্য কি মায়াবি চেহারা এইরকম একটি ছেলেকে কেউ এইভাবে মারতে পারে ? আমার মনে হয় রক্ত ছেলেটি এর আগে কখনও দেখেনি কারো দেহো থেকে গড়িয়ে পড়তে ! আজ নিজেই নিজের রক্ত দেখছে নিজের দেহো থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে চুপ টিপ করে পড়তে!

ইস এখন যদি আব্বু দেশে থাকতে তাহলে কতই না ভাল হতো। আব্বু নিশ্চই ছেলেটিকে বাসায় নিয়ে যেতেন কারণ শিবিরের সব ছেলে গুলিকে নিজের ছেলের মতো আব্বু ভালবাসেন

ছেলেটি চোখ বন্ধ করে আছে লজ্জায় চোখ খুলছে না বার বার শুধু বলছে একটি কথাই যে আপনি চলে জান এইখান থেকে ওরা আপনাকেও ছাড় দিবে না। প্লিজ আমার কথা চিন্তা করতে হবে না আমার পাশে থাকতে হবে না আমার সাথী ভাইয়েরা আমাকে ঠিকই এইখান থেকে নিয়ে যাবে প্লিজ আপনি চলে জান!

এই কথাটি বলে মধুর শুরে আহত ভাইটি অসম্ভব সুরে তেলাঅয়াত করে যাচ্ছে -- ''আর রাহমান। আল্লামাল কুরআন। খালাকাল ইনসান

.

চলবে.......

বিষয়: বিবিধ

১০৩৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386642
২২ মে ২০১৯ সন্ধ্যা ০৭:৩১
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার ,https://islamisomaj.org/

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File